আউলিয়া-ই কেরামের সুহবতের মর্যাদা

আউলিয়া-ই কেরামের সুহবতের মর্যাদা

মুহাম্মদ ওসমান গনি>

একজন প্রকৃত মুমিন বান্দার জন্য আতœশুদ্ধি বা ‘তাযকিয়া’ অর্জন করা অতীব জরুরী। যেমন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই ঠিক তদ্রুপ অন্তরের রোগসমূহ, যেমন- ক্রোধ, লোভ-লালসা, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, অহংকার প্রভৃতির চিকিৎসার জন্যও একজন রূহানী-আত্মিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। যাঁর সান্নিধ্য দ্বারা এই রোগসমূহের সু-চিকিৎসা সম্ভব, অন্যথায় রূহানী রোগে আক্রান্ত হয়ে বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর এ চিকিৎসার নাম হলোصحبة সুহবত (সঙ্গ, সাহচর্য, সান্নিধ্য, বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ও সঙ্গী-সাথী)
সুহবত হলো সঙ্গ লাভ করা। সাথী হওয়া। প্রবাদে আছে, ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। সৎ সঙ্গের সুহবতের মাধ্যমে স্বর্গ তথা জান্নাত লাভ হয়। মানুষ মহামানব ও অতুলনীয় হয়ে যায়। অসৎ সঙ্গের স্পর্শে সম্ভাবনাময় জীবন অংকুরে বিনাশ হয়ে যায়। ফুল ফোটার পূর্বে ঝরে যায়। বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. নাজমুল করিম তার ‘সমাজ সমীক্ষণ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘অমলা ও কমলা দুই বোনকে কিছু দিন বাঘের বাচ্চার সাথে থাকতে দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর দেখা যায় অমলা ও কমলা এ দু’জন শিশুর আচরণ বাঘের বাচ্চার ন্যায় হয়ে গিয়েছিল’। একটি শিশু যে পরিবেশ ও সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে বেড়ে উঠে। তার আচার-আচরণের উপর সে পরিবেশ ও সমাজ ব্যবস্থার একটি প্রভাব থাকে। শিশু তার আশপাশের পরিবেশের সাথে অভ্যস্থ হয়ে বেড়ে উঠাকে সামাজিকীকরণ বলে।
কবি কতইনা সুন্দরভাবে বলেছেন, ‘‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলেছে তা বহুদূর, মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক মানুষের মাঝে সুরাসুর’’।
সৎ মানুষের সোহবতে থাকলে স্বর্গের সন্ধান পাওয়া যায়। ভালো মানুষের নিকট স্বর্গের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। আল্লাহ্ পাকের খাস রহমত লাভ করার জন্য আল্লাহ্র প্রিয় মকবুল বান্দাদের সুহবত (সান্নিধ্য-সাহচর্য) গ্রহণ করতে হয়। আল্লাহ্ পাকের নীতি বা সুন্নাত হল আম্বিয়া ও ডআউলিয়া-ই কেরামের মাধ্যমে তিনি বান্দাদেরকে হিদায়াত করেন। খাস রহমত দান করেন।
যেমনিভাবে সাহাবায়ে কিরামগণ জাহেলিয়াতের ঘোর অমানিষা অন্ধকারের যুগে থাকার পরও একমাত্র নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সংশ্রবের মাধ্যমে লাভ করেছিলেন হিদায়াত, ঈমানী-রূহানী তরক্কী, সম্মানের সুউচ্চাসন, উচ্চ মর্যাদা আল্লাহর সন্তুষ্টি। অনুরূপভাবে তাবেঈনগণও হেদায়াত ও উচ্চ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছিলেন সাহাবায়ে কিরামদের সুহবত ও সংশ্রবের মাধ্যমে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর রিসালাত যেহেতু শেষ নবী হিসাবে কিয়ামত পর্যন্ত নির্ধারিত সেহেতু তাঁরই ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারী হিসাবে পরবর্তীকালে সিদ্দিকীন, সালেহিন, ওলামায়ে আরেফীন ও আমেলীনগণ লোকদেরকে হেদায়াত ও আল্লাহ্ তা’আলার দিকে আহ্বানের দায়িত্বে তাঁরা সদা নিয়োজিত। এই জন্যই যারা তাদের সম্পর্ক লাভ করবে, নূরে নবুওয়তের আলো তাদের দিকে সম্প্রসারিত হবে।
পবিত্র কুরআনেও আওলিয়া-ই কেরামের সাহচর্য হাসিলের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে প্রার্থনা শিখিয়ে দিয়েছেন, যা আমরা প্রতিনিয়ত নামাযের প্রতি রাকাতে পড়ে থাকি। আল্লাহ বলেন-صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ــ
আমাদেরকে ঐ পথে পরিচালিত করুণ, যাদেরকে আপনি নেয়ামত দান করেছেন।
যাদের উপর আল্লাহর নি’মাত দান করেছেন তাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ নিজেই বলেন-
اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ مِّنَ النَّبِيَّنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَآءِ وَالصّٰلِحِيْنَ وَحَسُنَ اُولٰٓـئِكَ رَفِيْقًا ــ
আল্লাহ যাদেরকে নি’মাত দান করেছেন তাঁরা হলো নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদগণ, সালেহ তথা আওলিয়া-ই কামেলীন পীর মাশায়েখগণ তারা কতই না উত্তম সঙ্গী-সাথী।
তাফসীরে কাবিরের লেখক ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাস্সির, দার্শনিক ও জগত বিখ্যাত আল্লামা যাঁর কিতাব না পড়ে কেউ নিজেকে আলেম দাবী করতে পারবে না। তিনি যখন মৃত্যুর বিছানায় শয্যাশায়ী তখন শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি? তখন তিনি আল্লাহর একত্ববাদের উপর শয়তানের মোকাবেলায় মোট ৩৬০টি দলিল উপস্থাপন করলেন। শয়তানের কাছে তাঁর সব দলিলই নিষ্ফল হয়ে যায়। আর একটি দলিল মাত্র বাকী। শয়তান যদি এটাকেও হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে ইমাম রাযী‘র মত আলেমকে ইহজগত থেকে ঈমান হারা হয়ে বিদায় নিতে হবে।
এদিকে তাঁর পীর হযরত নজমুদ্দীন কোবরা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি সে সময় আসরের নামাযের জন্য ওযু করছিলেন। শেষে কাশফ কারামাত ওয়ালা আল্লাহর বন্ধু নজমুদ্দিন কোবরা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ইমাম রাযী‘র এ দুরাবস্থা দেখে তাঁর নিকট জালালিয়াত এসে গেল। তখন তিনি ওযুরত ছিলেন, এমতাবস্থায় তিনি ওযুর বদ্না চার শত মাইল দূর থেকে শয়তানের দিকে নিক্ষেপ করে উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, হে ইমাম রাযী! তুমি শয়তানকে বলে দাও, আমি অন্তর দিয়ে আল্লাহকে এক স্বীকর করছি। আমার নিকট দলিলের কোন প্রয়োজন নেই। “বিনা দলিলে আল্লাহ্ এক”।
আল্লাহর অলীর ক্ষমতার মাধ্যমে, নিক্ষিপ্ত ঐ বদ্না তাঁর আস্তানা থেকে কয়েক’শ মাইল দূরে ইমাম রাযীর মৃত্যু শয্যায় তাঁর মাথার পাশে গিয়ে পড়ল। তিনি স্বীয় মোর্শেদের সেই আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং বলিষ্ঠ কন্ঠে বলে দিলেন, “বিনা দলিলে আল্লাহ এক।” আর কলেমা শরীফ পাঠ করতে করতে তিনি ইহজগত ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিখ্যাত ইমাম আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী‘র সাখারাতের ঘটনার দিকে খেয়াল করলেও সুহবত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সহজে অনুভব করা যায়। বিশুদ্ধ ঈমানী, আমলী ও সৎ সঙ্গ জিন্দেগী গড়ে তুলতে আওলিয়ায়ে কেরামের সুহবতে আসা অত্যাবশ্যক ও বাঞ্ছনীয়।
আল্লামা জালাল উদ্দীন রুমী রাহমাতুল্লাহি আলাযহি এত বড় আলেম হওয়ার পরও তিনি হযরত শামস তাবরিযী‘র কাছে বায়াত গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ মসনবী শরীফে উল্লেখ করেন:
مولوی ہرگز نہ بشد مولائے روم تا غلامِ شمس تبریزی نہ شد
“আমি নিজে নিজে মাওলানা রুমী হতে পারিনি, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি শামছ তাবরিযী‘র গোলাম হয়েছি।
সুতরাং স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন হৃদয় নিয়ে আমাদেরকে সত্যিকার আওলিয়ায়ে কেরাম ও পীর-মুরশিদের সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করতে হবে এবং প্রেম ও ভক্তির সাথে অলী-বুজুর্গগণের খেদমত ও সুহবতে থেকে খোদার সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে ও রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর শাফায়াত দ্বারা ধন্য হবার খোশ নসীবের যোগ্য হবার চেষ্টা করতে হবে। তবেই আমাদের পার্থিব ও ইহ-পরকালীন জীবন সার্থক ও সুন্দর হবে। অন্যথায় আমরা গন্তব্যস্থলে কোনদিন পৌছতে পারব না।
কাউকে বন্ধু ও আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে তার সাথে ভালবাসার বন্ধন রচনা করার আগে একজন মুসলিমকে ভালভাবে চিন্তা করতে হবে, যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে, সে কাকে ভালবাসবে? আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُم بِٱلْغَدَوٰةِ وَالْعَشِىِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهُ-
আপন আত্মাকে তাদেরই সাথে সম্বন্ধযুক্ত রাখুন, যাঁরা সকাল-সন্ধ্যায় আপন রবকে আহ্বান করে তাঁর সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য।”
একথা সুস্পষ্ট যে, সুহবতের প্রভাব সত্বর বিস্তার করে থাকে। সৎ হোক বা অসৎ হোক তার যথাযথ প্রভাব রয়েছে। আল্লামা জালালুদ্দিন রুমী‘র রহ. ভাষায়,
صحبت صالح ترا صالح كند صحبت طالح ترا طالح كند
তোমাকে ভালো সংশ্রব ভালো করবে এবং খারাপ সংশ্রব খারাপ করবে।
ভালো মন্দের উপমা দিতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنَّمَا مَثَلُ الجليس الصالحُ والجليسُ السوءِ كحامِلِ المسك، ونافخِ الكِيْرِ فحاملُ المسك: إِما أن يُحْذِيَكَ، وإِما أن تبتاع منه، وإِمَّا أن تجِدَ منه ريحا طيِّبة، ونافخُ الكير: إِما أن يَحرقَ ثِيَابَكَ، وإِما أن تجد منه ريحا خبيثَة (أخرجه البخاري، باب المسك)
“সৎ লোকের সংশ্রব ও অসৎ লোকের সংশ্রব যথাক্রমে কস্তুরি বিক্রেতা ও কর্মকারের ভাট্টিতে ফুঁক দেয়ার মতো। কস্তুরি বিক্রেতা হয়তো তোমাকে এমনিতেই কিছু দান করবে অথবা তুমি তার নিকট থেকে কিছু কস্তুরি ক্রয় করবে। আর অন্ততঃ পরে কিছু না হলেও তার সু-ঘ্রাণ তোমার অন্তর ও মস্তিস্ককে সঞ্জীবিত করবে। পক্ষান্তরে ভাট্টিতে ফুঁক দানকারী তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দেবে। আর কিছু না হলেও তার দুর্গন্ধ তুমি পাবে।
উক্ত হাদিস শরীফ গবেষণা করলে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, ভালো বা নেককার আল্লাহ ওয়ালা লোকদের সুহবতে থাকলে ঈমান-আমল সব ঠিক থাকবে, পক্ষান্তরে বদ সুহবত দ্বারা ঈমান-আমল সব ধ্বংস হয়ে যাবে।
আল্লামা জালালুদ্দিন রুমী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তার বিখ্যাত মসনবী শরীফে বলেছেন, “হে ভাই খারাপ বন্ধু হতে দূরে থেকো, কেননা খারাপ বন্ধু বিষাক্ত সর্প হতেও ভয়ঙ্কর। বিষাক্ত সর্প দংশনে শুধু মাত্র তোমার প্রাণ হরণ হবে, কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু তোমার ঈমানকে ধ্বংস করবে।”
আমাদের উঠা-বসা যদি খারাপ বা বাতিল ফেরকার লোকদের সাথে হয় তাহলে আমাদের ঈমান-আমল এমনকি আক্বীদা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ব্যাপারে আল্লামা জালালুদ্দিন রুমী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, “পৃথিবীতে বহু মানবরূপী শয়তান আছে, তাই সাবধান যে কারো হাতে বায়াত হবে না”।
ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা সুহবতের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
لولا السنتان لهلك النعمان
“আমি যদি দু’বছর না পেতাম (খেদমতে না আসতাম), তাহলে অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যেতাম।”
ইমামে আ’যম, আবু হানীফা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি সে দু’বছরের কথা উল্লেখ করেছেন, যে দু’বছর তিনি আহলে বায়তের বার ইমামের একজন হযরত ইমাম জাফর সাদিক্ব‘র রাহমাতুল্লাহি আলায়হি সুহবত লাভ করেন। তিনি আরো বলেন- “ইলমে শরিয়ত বাহিরের দিককে পরিশুদ্ধ করে। আর ইলমে তাসাউফ বা তরিকতের শিক্ষা ভিতরের-আত্মার দিককে পবিত্র করে”। তাহলে আরো খোলাসা হয়ে গেল যে, আওলাদে রাসুলের হাতে বায়‘আত হতে পারা অত্যন্ত খোশ নসিবের ব্যাপার। সাধারণ পীর মাশায়েখগণ হতে আউলাদে রাসূল অনেক উত্তম। যাঁদের বংশীয় ও তরিকতের শাজরা উভয়ই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সাথে মিলিত। তাই আল্লামা রুমী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন-
ایک زمانہ صحبت با اولیا * بہتر از صد سالہ طاعت بے ریا
“আল্লাহর অলীর সাথে এক মুহূর্তের সান্নিধ্য লাভ করা, শত বছরের ইবাদতের চাইতে উত্তম”।
তিনি আরও বলেন, “অলিগণ আল্লাহর নিকট হতে এমন ক্ষমতা লাভ করে যে তাঁরা নিক্ষিপ্ত তীরকে মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন”। তিনি আরো বলেছেন, “যারা অলী আল্লাহর সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকবে তারা খোদার রহমত লাভের পথ থেকে দূরে সরে পড়বে”।
মহান আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে আউলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ও আওলিয়া-ই কেরামের সাহচর্য-সৎসঙ্গ হাসিল করে ইহ-পরকালীন জীবনের আমূল পরিবর্তন সাধন করার তাওফিক দান করুন। আমিন বিহুরমাতি সায়্যেদিল মুরসালিন।

লেখক: সহকারী মৌলভী, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।