জশনে জুলুস কি ও কেন?
বেরাদরানে মিল্লাত!
আস্সালামু আলাইকুম,
সমস্ত প্রশংশা ও শুকরিয়া মহান মহিমাময় আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে দান করেছেন অসংখ্য নেয়ামত। বিশেষত “প্রধান নেয়ামত হিসেবে সর্বশেষ নবী খাতেমুল আম্বিয়া আপন প্রিয় হাবীব হুজুর করিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম”কে সৃজন করে ধন্য করেছেন সমস্ত সৃষ্টি জগতকে। অসংখ্য দরূদ ও সালাম প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র দরবারে, যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন- ‘লাওলাকা লামা খালাকতুল আফলাক’। অর্থাৎ (হে হাবীব! আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না।-(হাদীসে কুদসী) আরো এরশাদ হয়েছে,وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ (107) উচ্চারণঃ ‘ওয়ামা আরসালনা-কা ইল্লা রহমাতাল্লিল আলামীন’ অর্থাৎ (হে প্রিয় হাবীব) আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত (কল্যাণ) করে পাঠিয়েছি-(সুরা: আম্বিয়া : আয়াত-১০৭)। শুধু তাই নয়, নির্দেশও দেয়া হয়েছে যেন রহমত প্রাপ্তির জন্য খুশী উদযাপন করা হয়। এরশাদ হয়েছে- قُلْ بِفَضْلِ ٱللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ (يونس – 58) উচ্চারণ” ‘কুল বি-ফাদলিল্লাহি ওয়া বিরাহ্মাতিহী ফাবিযালিকা ফালইয়াফ্রাহু, হুয়া খাইরুম মিম্মা ইয়াজমাঊন’। তরজমাঃ হে মাহবুব; আপনি বলুন, আল্লাহর রহমত (অনুগ্রহ) ও করুণা প্রাপ্তির কারণে যেন তারা খুশী উদযাপন করে। এটা তাদের সঞ্চয়কৃত সবকিছু হতে উত্তম (সুরা: ইউনুস : আয়াত-৫৮) আল্লাহ্র উক্ত নির্দেশ পালনের লক্ষ্যে, আমরা রবিউল আউয়াল মাসে, হুজুর করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর দুনিয়ায় শুভ আগমনকে স্মরণ করে জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম পালন করি। কারণ, আমরা আল্লাহ পাকের নির্দেশকে মান্য করি এবং পবিত্র কোরআনকে বিশ্বাস করি এবং নিশ্চতভাবে জানি যে রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। কোরআন-ই করীমেও ঘোষণা করা হয়েছে যে, তিনি সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত। ১২ই রবিউল আউয়াল হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র বিশেষ শুভাগমনের দিন। তাই এদিন সারা দুনিয়ার জন্য ‘ঈদ অর্থাৎ খুশির দিন। এই দিনে শরীয়তসম্মতভাবে খুশি উদ্যাপনের যে কোন জাঁক-জমকপূর্ণ কর্মসূচিই আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উসীলা। আর যে ইবাদতই সম্মিলিতভাবে (জামাত সহকারে) হয় সেটার ছওয়াবও বেশী হয়। তাই সম্মিলিতভাবে জাঁক-জমকের সাথে বর্ণাঢ্য মিছিল সহকারে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে দরূদ ছালাম জানাতে জানাতে শহর প্রদক্ষিণ করা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। আর এই ব্যবস্থার নামই ‘জশ্নে জুলুছ-এ ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম। ‘ঈদ’ মানে খুশী। ‘জশনে জুলুছ’ মানে বর্ণাঢ্য মিছিল। সুতরাং মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল তথা ‘জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম একদিকে আল্লাহর মহান নেয়ামতের শোকরগুজারি, অপরদিকে সেটা আল্লাহর নির্দেশ- وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ উচ্চারণঃ “ওয়াযকুরু নিয়’মাতাল্লা-হি  আলাইকুম” তরজমাঃ (আমার প্রদত্ত নেয়ামতের স্মরণ তথা চর্চা করো)-এরই যথার্থ প্রতিফলন (সুরা: আ-লি ইমরান : আয়াত-১০৩) হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর দরবারে দো’আ করেছিলেন-اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনযিল আলায়না মা ইদাতাম মিনাস্সামা-ই তাকুনু লানা ঈ-দান….. (সুরা: মা-ইদাহ আয়াত: ১৪৪) এ আয়াত থেকে বুঝা গেলোযে যেদিন আল্লাহ তা’আলা খাস রহমত নাযিল হয়, ঐ দিনকে ঈদের দিন হিসাবে উদযাপন করা, খুশি প্রকাশ করা, ইবাদত করা, আল্লাহর শোকর আদায় করা আল্লাহর নেক বান্দাদের কাজ। এতে সন্দেহ নাই যে ১২ ই রবিউল আউয়াল বিশ্বকুল সরদার সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সমস্ত বিশ্বের জন্য আল্লাহর সর্ববৃহত নি’মাত ও রহমত হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছেন তথা তশরীফ এনেছেন। সুতরাং এদিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে উদযাপন করা মুস্তাহাসান, মাহমুদ ও আল্লাহর মাকবুল বান্দাদের তরীকাহ্-(তাফসীর-ই খাযাইনুল ইরফান) প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ৪০ তম বংশধর কাদেরিয়া তরিকার উজ্জ্বল নক্ষত্র, যুগশ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রহমাতুল্লাহির নির্দেশেই আন্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এদেশে সর্বপ্রথম জুলুস ১৯৭৪ সালের ১২ই রবিউল আউয়াল আয়োযন করেছেন। চট্টগ্রামের বলুয়ার দীঘি পাড়স্থ খানকায়ে কাদেরিয়া ছৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া হতে বের হয়ে এশিয়া বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ময়দানে এসে এক বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। প্রতি বছর এ দিনে এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকে এবং ব্যাপ্তি লাভ করে। বর্তমানে এ জুলুস চট্টগ্রাম আলমগীর খানকা শরীফ থেকে বের হয়ে জামেয়া ময়দানে সমাপ্ত হয়। পরবর্তীতে হুজুর কেবলার নির্দেশে আন্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ৯ রবিউল আউয়াল একই নিয়মে রাজধানী ঢাকায়ও জশনে জুলুসের আয়োজন করে আসছে। পরবর্তীতে এ জুলুছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থা ও সিলসিলার পীর-মাশায়েখদের উদ্যোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জুশনে-জুলুছ’ এর আয়োজন শুরু হয়। এমনকি বর্তমানে জাপান, আমেরিকা, মিশর, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে জশনে জুলুস উদ্যাপিত হচ্ছে। ব্রুনাই ও মালয়েশিয়াসহ কোন কোন মুসলিম দেশে বহু আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপিত হয়ে আসছে। পরিতাপের বিষয়, ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরোধী ষড়যন্ত্র বর্তমানে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। চক্রান্তকারীদের বক্তব্য হলো-১২ই রবিউল আউয়াল শুধু নবী পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম দিন নয় বরং ওফাত দিবসও। সুতরাং এদিন শোক প্রকাশ করা দরকার, ঈদ (খুশী) উদ্যাপন করা যাবে না। (নাউযুবিল্লাহ্) ভ্রান্ত মতবাদীদের উপরোক্ত বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের জবাবে আমরা বলতে চাই- প্রথমত, তাদের উপরোক্ত দাবির কোন ভিত্তি নেই। কারণ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত দিবস সম্পর্কে চারটি অভিমত (রেওয়ায়ত) আছে। যেমন ঃ ১২ই রবিউল আউয়াল, ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৫ই রবিউল আউয়াল এবং ১১ই রমজান। এর মধ্যে ১২ই রবিউল আউয়াল সংক্রান্ত অভিমতের বর্ণনাকারী মোহাম্মদ ইবনে ওমর আল্ ওয়াক্বেদী সম্পর্কেই ইমাম বোখারী, ইমাম আবু হাতেম, ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলসহ অনেক শীর্ষস্থানীয় ইমাম একমত যে, ওয়াক্বেদী মিথ্যাবাদী, হাদিস বিকৃতিকারী, মনগড়া হাদিস রচনাকারী ইত্যাদি। সুতরাং এ দিনে হুজুর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের দাবিও সঙ্গত কারণে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত। দ্বিতীয়ত ইসলামী শরিয়ত মতে ওফাতের শোক প্রকাশ ওফাতের ৩ দিন পর সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ তথা নাজায়েজ। সুতরাং ১৪শত বছর পর এরা কোন ধর্ম হতে ১২রবিউল আউয়ালকে শোক দিবস হিসাবে পালনের কথা বলে? তৃতীয়ত, হাদিস শরীফ মতে হযরত আদম (আ.) কে শুক্রবার সৃষ্টি করা হয়  এবং একই দিনে তাঁর ওফাতও। এজন্য শুক্রবারকে উৎকৃষ্ট দিন এবং ঈদের (খুশীর) দিন বলা হয়েছে। কিন্তু শোক দিবসতো বলা হয়নি? যেমন হাদিস শরীফে আছে ‘ইন্না হাজা ইয়াউমুল ঈদি জাআলাহুল্লাহু লিল মুসলেমীন’। অর্থাৎ এ জুমা দিবস হচ্ছে ঈদের দিন। যাকে আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদের জন্য নির্দ্ধারণ করেছেন। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য যুক্তি; অথচ ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বন্ধ করার ষড়যন্ত্র হিসেবেই এসব অবান্তর মন্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা সরকারী ব্যবস্থাপনায় যে কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। বলাবাহুল্য, ভ্রান্তমতবাদীরা তাদের দাবি প্রমাণে সাহাবা, তাবেঈন, তবে তাবেইনের সমর্থিত কোন দলিল পেশ করতে সক্ষম হয়নি। নবীই আকরামেরশুভ জন্ম সংবাদে আনন্দ প্রকাশ স্বরূপ আবু লাহাবের মত অভিশপ্ত কাফেরও সুয়াইবা নামের স্বীয় দাসীকে আজাদ করায় নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের জন্মদিনে অর্থাৎ প্রতি সোমবার ভয়াবহ শাস্তি হতে কিছুটা পরিত্রাণ পায়। একজন কট্টর কাফের হয়েও মিলাদুন্নবী অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম উপলক্ষে খুশী প্রকাশের কারণে আবু লাহাব আল্লাহর এমন করুণা লাভ করে। বাকী রইল জুলুস! নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এ ধরায় শুভ আবির্ভাবের মুহূর্তে হযরত জিব্রাইল আলায়হিস্ সালাম এর নেতৃত্বে অসংখ্য ফেরেশতার ‘জুলুস’ মরহাবা ধ্বনি সহকারে ধরাপৃষ্টে অবতরণ করেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনা উপকণ্ঠে পৌছঁলে মদীনাবাসীগণ ‘সানিয়াতিল বেদা’ নামক স্থানে জুলুস (মিছিল) সহকারে সালাত সালামসহ সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। তাঁদের অনুকরণে আমরা যদি রবিউল আউয়াল মাসে নবীই আকরামের সম্মানে জশ্নে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আয়োজন ও পালন করি তাহলে আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ হতে বঞ্চিত হবোনা; বরং অকল্পনীয় রহমত ও কল্যাণ লাভে ধন্য হব ইনশা-আল্লাহ। তাই আমরা বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জশ্নে জুলুছ করার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। পরিশেষে আসুন;শরিয়তসম্মত উপায়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করে আমরা জশ্নে জুলুছ-এ ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপন করি, যা দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদের শান্তি ও মুক্তির উছিলা এবং মহামহিম আল্লাহ ও তাঁর রাছুল সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টির উপায় হবে। আমিন। বেহুরমতে রাহমাতুল্লিল আলামীন।
জরুরি নিদের্শনা 
১. আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও মিডিয়ার গাড়ী ব্যতীত অন্য কোন যানবাহন কোন অবস্থাতেই জুলুসের সামনে ও পিছনে চলাচল করা কিংবা জুলুস প্রদক্ষিণের রাস্তাসমূহের পার্শ্বে কোন গাড়ী পার্কি করা যাবে না। 
২. জুলুসে ডেকসেটহ সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানো শরীয়তের বিধান মোতাবেক সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। জুলুস (মিছিল) এর আগে ও পরে এ ধরনের ইসলাম বিরোধী, গর্হিত কাজ হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৩. জুলুসে বাংলাদেশ’র জাতীয় পতাকা ও আনজুমান ট্রাস্ট’র নির্ধারিত সবুজ পতাকা ব্যতিত অন্য কোন রং এর পতাকা/ব্যানার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। 
৪. হুজুর কেবলার ছবি কিংবা ছবি সম্বলিত ম্যাগাজিন, ট্যাবলয়েড ম্যাগাজিন, মাসিক পত্রিকা ইত্যাদি বিক্রী করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। 
৫. উত্তর চট্টগ্রামের গাড়ীগুলো অক্সিজেন বাস টার্মিনাল অথবা সুবিধাজনক স্থানে জমায়েত করার অনুরোধ রইলো। 
৬.দক্ষিণ চট্টগ্রামের গাড়ীগুলো বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল অথবা সুবিধাজনক স্থানে জমায়েত করার অনুরোধ রইলো। উপরোক্ত বিষয়গুলো স্থানীয় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ও আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স প্রয়োজনীয় তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।