সম্পাদকীয়-ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন

সম্পাদকীয়-ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন

ইসলামের সোনালী যুগের অবসানের পর বিশ্বব্যাপী মাথাচাড়া দিয়ে উঠে নানা ভ্রান্তমতবাদ। নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে মুসলিম সমাজে দেখা দেয় বিভ্রান্তি, ধর্মীয় ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও নির্লিপ্ততায়, আর শাসকদের মধ্যে বেড়ে যায় স্বেচ্ছাচারিতা ও ভোগ বিলাসিতা। এমন ক্রান্তিকালে মুসলমানদের দিক নির্দেশনা প্রদানে অপরিহার্য হয়ে উঠে একজন পথপ্রদর্শকের। এমন যুগসন্ধিক্ষণে দিকভ্রান্ত মানুষের মাঝে আশার আলো নিয়ে বিশ্বের বুকে আবির্ভূত হন এক জোতির্ময় শিশু। যার মধ্যে মুসলমানদেরকে অতি গৌরবান্বিত আসনে সমাসীন করার যাবতীয় যোগ্যতা ও ক্ষমতা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ও তাঁর হাবীবের পক্ষ থেকে গচ্ছিত হয়েছে। তিনি হলেন মাহবূবে সুবহানী ক্বুত্বুব-ই রাব্বানী শায়খ সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। তাঁর শুভাগমনে মৃত প্রায় ইসলাম পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠে। এ জন্য ‘মুহিউদ্দীন’ তাঁর অন্যতম উপাধি শোভিত হয়ে আছে। তিনি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র একজন বংশধর, তিনি সত্যিকার প্রতিনিধি হিসেবে দ্বীন রক্ষার সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দেন। আর পবিত্র ক্বোরআন হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা দানের মাধ্যমে ইসলামের আসলরূপ জন-সম্মুখে তুলে ধরেন। ভ্রান্ত মতবাদের অসারতা প্রমাণ করে অধঃপতিত বিভ্রান্ত মানব সমাজকে তিনি ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেন। মুসলমানদের সঠিক পথের দিশা দানের লক্ষ্যে এ আধ্যাত্মিক সাধক প্রবর্তন করেন- এক বরকতময় সিলসিলা; যা সিলসিলায়ে কাদেরিয়া নামে সুবিদিত। তিনি এ জগৎ থেকে পর্দা করার পর তাঁর মনোনীত খলিফাগণ এ সিলসিলার কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন। ফলে প্রধান চার তরিকার মধ্যে এ তরিকার অনুসারীর সংখ্যাই বেশি। বিশেষত পাক-ভারত উপমহাদেশে কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে এ সিলসিলার প্রচার-প্রসারে যাঁদের ভূমিকা অগ্রগণ্য তাঁরা হলেন আওলাদে রসূল হযরতুল আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ও তাঁর সন্তান ও খলীফা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ও তাঁর খেলাফতপ্রাপ্ত শাহ্জাদাদ্বয় আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মু.জি.আ.) ও পীরে বাঙ্গাল আল্লামা পীর সাবির শাহ্ (মু.জি.আ.)। হুজুর গাউসে পাকের শিক্ষা ও আদর্শের ছোঁয়ায় যেমন তৎকালীন আত্মবিস্মৃত দ্বিধাগ্রস্ত মুসলমানদের হৃদয়ে নবচেতনা ও প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল, তেমনি বর্তমানেও তাঁর প্রতিষ্ঠিত তরিকার শিক্ষা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হলে বর্তমান মুসলমানদের দুনিয়া-আখিরাত উভয় জগতে প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। ১১ রবিউস্ সানী তাঁর ওফাত বার্ষিকীতে গোটা মুসলিম বিশ্বে পালিত হবে ফাতেহা এয়াজদাহুম। এ মহান আধ্যাত্মিক সাধকের শিক্ষা ও আদর্শ জীবনে ধারণ পূর্বক অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধ করে আল্লাহ্ ও রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্বমুসলিম আত্মনিবেদন করুন- পবিত্র ফাতেহা ইয়াজদাহুমে এ কামনা রইল।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন
বিগত ৭৫ বছর ধরে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিসি মুসলমানদের উপর জুলুম-অত্যাচার ও নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস, মসজিদুল আকসা এখন অভিশপ্ত ইহুদীদের দখলে। বহু-নবী রাসূলের স্মৃতি বিজড়িত ফিলিস্তীন ইহুদীদের শিকারে পরিণত হয়েছে। ইহুদীদের নির্বিচারে বিমান হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনী মুসলমানদের প্রাণহানি ঘটছে। শক্তিশালী বোমার আঘাতে ঘর-বাড়ী, মসজিদ-হাসপাতাল ধুলোয় মিশে গেছে, ধ্বংসকৃত দালান ও বহুতল ভবনের নিচে চাপা পড়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী। তাদের গগন বিদারী আর্তনাদ শোনার যেন কেউ নেই। হাসপাতালগুলো কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের পক্ষে। কিন্তু ইঙ্গ-মার্কিন মদদে ইসরায়েল সভ্য দুনিয়ার সকল আইন অমান্য করে চলছে। ইসরায়েল পর্যায়ক্রমে ফিলিস্তিনে যে নারকীয় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে জাতিসংঘ কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ওআইসি, আরবলীগও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যুদ্ধ কোন সমাধান নয়, চলমান এ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববাসীর অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে। তাই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বশান্তির উন্নতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ সংকটের স্বায়ী সমাধান জরুরি। আর ্এ জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসরায়েল দখলকৃত সকল এলাকা মুক্ত করা। এসব ন্যায্য দাবি আদায়ে সকল মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের স্বাধীন ও শান্তিময় জীবন দান করুন।