নবী-ই আকরাম ’র সৌন্দর্য ও গুণাবলী

নবী-ই আকরাম ’র সৌন্দর্য ও গুণাবলী

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান> 

ঐতিহাসিক হিজরতের যামানা। নবী-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সশরীরে মক্কা মুকাররামাহ্ থেকে মদীনা মুনাওয়ারার দিকে সদয় রওনা দিলেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সাথে ছিলেন। পূর্ণ সফরই সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত অলৌকিক ঘটনাবলীতে ভরপুর। নবী-ই আকরাম হিজরতের রাতে হযরত আলী কাররামাল্লাহু তা‘আলা ওয়াজহাহুল করীমকে নিজের বিছানা শরীফে শু’ইয়ে দিলেন। যাত্রার শুরুতে তিনদিন যাবৎ সওর পর্বতের গুহায় অতিবাহিত করলেন। তারপর মদীনা মুনাওয়ারার দিকে সফর শুরু করলেন। কিছুদূর এগিয়ে গেলে পথিমধ্যে একটা তাঁবূ নযরে পড়লো। তাঁবুর বাইরে এক সম্ভ্রমসমৃদ্ধ মহিলা বসেছিলেন। তাঁর নাম ছিলো উম্মে মা’বাদ। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁকে বললেন, ‘‘ওহে খাতুন! যদি তোমার নিকট খেজুর কিংবা কোন খাবার থাকে, তাহলে আমাদের নিকট বিক্রি করতে পারো।’’ মহিলাটি বললেন, ‘‘যদি আমার নিকট খেজুর কিংবা কোন খাবার থাকতো, তবে আমি তা বিক্রি নয় বরং সানন্দে তা দিয়ে আপনাদের আতিথ্য করার সৌভাগ্য লাভ করতাম। কিন্তু কি করবো? দুর্ভিক্ষ তো আমাদেরকে অবর্ণনীয়ভাবে মুখাপেক্ষী করে দিয়েছে।’’

ইত্যবসরে আমাদের নবী-ই আক্রামের দৃষ্টিগোচর হলো- তাঁবুর এক কোণায় একটি ছাগী পড়ে আছে। তখন তিনি এরশাদ ফরমালেন, ‘‘হে উম্মে মা’বাদ! ওই ছাগীর অবস্থা কি? সেটার স্তনে কি দুধ আছে?’’ তদুত্তরে উম্মে মা’বাদ আরয করলেন, ‘‘এটা অতি শীর্ণকায় ছাগী। সেটা অতি দুর্বল, চলাফেরা করতেও অক্ষম। তাই সেটা আমাদের অন্য ছাগলগুলোর সাথে চরতে যেতে পারেনি। সেটার স্তনে দুধ কোত্থেকে থাকবে?’’ আমাদের নবী এরশাদ করলেন, ‘‘হে উম্মে মা’বাদ! তুমি অনুমতি দিলে আমি সেটার দুধ দোহন করতে পারি।’’ উম্মে মা’বাদ আরয করলেন, ‘‘হাঁ, যদি সেটার স্তনে সামান্য দুধও থাকে, তবে দোহন করে নিতে পারবেন।’’ তারপর কি ঘটলো দেখুন! ছাগীটাকে আমাদের নবী-ই আকরামের নিকট আনা হলো। তারপর তিনি সেটার স্তনের উপর আল্লাহর নাম মুবারক নিয়ে আপন হাত মুবারক বুলিয়ে দিলেন। অমনি সেটার স্তনে দুধ নেমে আসলো। তারপর নবী-ই আকরাম এরশাদ করলেন, ‘‘একটি বড় পাত্র নিয়ে এসো!’’ উম্মে মা’বাদ একটি কাঠের বড় ধরনের পাত্র নিয়ে আসলেন। আমাদের নবী দুধ দোহন করতে আরম্ভ করলেন। পাত্রটি দুধে ভরে গেলো, তারপর নবী-ই আক্রাম ওই দুধ উম্মে মা’বাদকে পান করিয়ে দিলেন। আমাদের নবী তারপর আবার দুধ দোহন করলেন। আর ওই দুধ ওই সফরে সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরকে পান করিয়ে দিলেন। তারপর নবী-ই আকরাম আবার দুধ দোহন করলেন এবং নিজে পান করলেন। আর এরশাদ করলেন, ‘‘মেজবান তো সবার শেষে পান করে।’’ সুতরাং তিনি নিজে দুধ পান করে আবার দুধ দোহন করতে লাগলেন এবং ওই পাত্র দুধে ভর্তি করে নিলেন এবং তা উম্মে মা’বাদের হাতে সোপর্দ করে দিলেন। তারপর সেখান থেকে রওনা হয়ে গেলেন। আর উম্মে মা’বাদ হতবাক হয়ে তাঁদের দিকে দেখেই রইলেন। আমাদের আক্বা ও মাওলার শানে বিজ্ঞ কবি বলেছেন-نه بن سكى هےنه بن سكےگا مثال تيرى جواب تيرا
অর্থ: এয়া রসূলাল্লাহ্! আপনার মত, আপনার সমকক্ষ না কেউ হতে পেরেছে, না হতে পারে।
কিছুক্ষণ পরে উম্মে মা’বাদের স্বামী আবূ মা’বাদ তার শীর্ণকায় বকরীগুলো তাড়িয়ে নিয়ে ঘরে আসলেন। আর ঘরের অবস্থা দেখে আশ্বর্যবোধ করলেন। তিনি দেখলেন- ঘরে দুধ ভর্তি বড় পাত্র। আশ্চর্যান্বিত হয়ে বললেন, ‘‘হে উম্মে মা’বাদ! ঘরে দুধের এ নহর কোত্থেকে প্রবাহিত হয়ে গেলো? ঘরে তো দুধ দোহনের উপযোগী কোন ছাগীও নেই। যেটা আছে সেটার স্তনে তো এক ফোঁটা দুধ নেই। এত বেশী দুধ তো এ দুর্ভিক্ষের দিনে পূর্ণ পালেরও থাকার কথা নয়। এতদ্সত্ত্বেও এত দুধ কোত্থেকে আসলো?’’ উম্মে মা’বাদ বললেন, لَا وَاللهِ اِنَّه مَرَّبِنَا رَجَلٌ مُبَارَكٌ আল্লাহরই শপথ! আমাদের ঘরে দুধ দেওয়ার মতো কোন ছাগী নেই; কিন্তু এ স্থান দিয়ে এমন এক বরকতম-িত ব্যক্তি অতিক্রম করে গেছেন, যিনি আমাদের ঘরে তাঁর বদান্যতার ফোয়ারা জারী করে গিয়েছেন।’’ তারপর উম্মে মা’বাদ সম্পূর্ণ ঘটনা বলে দিলেন।

এবার আবূ মা’বাদ বললেন, ‘‘বলো, তিনি কে ছিলেন? তদুত্তরে উম্মে মা’বাদ মাথায় হাত মারতে মারতে বললেন, ‘‘আমি তাঁর নাম, ঠিকানা কিছুই জিজ্ঞাসা করিনি। একথাও জিজ্ঞাসা করিনি যে, তিনি কোত্থেকে আসছেন আর কোথায় যাচ্ছেন!’’ তখন আবূ মা’বাদ বললেন, ‘‘যাক! কমপক্ষে এতটুকু বলো যে, তাঁর শারীরিক গড়ন কেমন ছিলো? দেখতে কেমন ছিলেন?’’ সুতরাং উম্মে মা’বাদ হুযূর-ই আকরামের গড়ন শরীফ ও গুণাবলীর যেই বর্ণনা দিয়েছেন তা নিম্নরূপ-
فَقَالَتْ رَأَيْتُ رَجُلاً ظَاهِرَ الْوَضَاءَةِ حَسَنَ الْخَلْقِ مَلِيْحَ الْوَجْهِ ـ لَمْ تَعِبْهُ ثَجْلَةٌ ـ وَلَمْ تَزْرِيْهِ صَعْلَةٌ ، قَسِيْمٌ ، وَسِيْمٌ فِىْ عَيْنَيْهِ دَعْجٌ ، وَفِىْ اَشْفَارِه وَطَفٌ، وَفِىْ صَوْتِه صَهْلٌ، اَحْوَلُ اَكْحَلُ ، اَقْرَنُ ، فِىْ عُنُقِه سَطْعٌ، وَفِىْ لَحْيَتِه كَثَافَةٌ اِذَا صَمَتَ فَعَلَيْهِ الْوَقَارُ، وَاِذَا تَكَلَّمَ سَمَا ، وَعَلاَهُ الْبَهَاءُ، حُلُوُ الْمَنْطِقِ، فَضْلٌ، لاَ نَزَرَ، وَلاَ هَذَرَ، كَانَ مَنْطِقُه خَرَزَاتِ نَظْمٍ يتَحَدَّرْنَ، اَبْهى النَّاسِ وَاَجْمَلُهُمْ مِنْ بَعَيْدٍ، وَاَحْلاَهُمْ، وَاَحْسَنُهُمْ مِنْ قَرِيْبٍ ـ رَبْعَةٌ لاَ تَشْنُوْهُ عَيْنٌ مِنْ طُوْلٍ لاَ تَقْتَحِمُه عَيْنٌ مِّنْ قَصْرٍ ، غُصْنٌ بَيْنَ غُصْنَيْنِ فَهُوَ اَنْضَرُ الثَّلاَثَةِ مَنْظَرًا ، وَاَحْسَنُهُمْ قَدًّا، لَه رُفُقَاءُ يَحْفُّوْنَ بِه وَاِنْ قَالَ اِسْتَمَعُوْا لِقُوْلِهِ وَاِنْ اَمَرَ تَبَادَرَ اِلى اَمْرِه مَحْفُوْدٌ مَحْشُوْدٌ ، لاَ عَابِسٌ وَلاَ مُفَنَّدٌ [البدايه والنهاية، ج ـ ৪ـ صفحه ـ ৪৪৬ـ ৪৪৮، المستدرك ـ ج ـ ৩ـ كتاب الهجرة ، صفحه ـ ১০. حديث ـ ৪৩৩৩]

অর্থ: হযরত উম্মে মা’বাদ বলেন, আমি ওই মুবারক ব্যক্তিকে দেখেছি, যাঁর চেহারা খুবই প্রিয় ছিলো, লাবণ্যময় চেহারা ছিলো। ‘(মালীহুল ওয়াজহি’ হচ্ছে-এমন চেহারা, যা দেখা মাত্র হৃদয়ে গেঁথে যায়, হৃদয় জুড়ে অবস্থান নিয়ে নেয়, একবার দেখার পর কেউ এগিয়ে গেলেও বারংবার পেছনে ফিরে দেখে, তারপর যায়। নিকট থেকে দেখলে প্রিয় লাগে, দূরে গিয়ে (দেখলে আরো বেশী প্রিয় লাগে।) দেহের গড়ন অতি সুন্দর, অতি প্রিয় ছিলো। প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অতি সুঠাম ও সাজানো, স্থায়ী সৌন্দর্যের অধিকারী, শৈশবে যেমন সুন্দর, কৈশোরেও সুন্দর, যৌবনেও সুন্দর, বার্দ্ধক্যেও সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।) খুশবুদার। উম্মে মা’বাদ বলেছেন, তিনি এমন খুশবুদার যে, কিছুক্ষণ আমাদের ঘরে অবস্থান করেছেন; কিন্তু তাঁর শরীর মুবারকের খুশবু দ্বারা সারা ঘর খুশবুদার হয়ে গিয়েছিলো। তাঁর চক্ষু যুগলে লাল বর্ণের রেখা ছিলো। চোখের পলকগুলো লম্বা লম্বা ছিলো। তাঁর কণ্ঠস্বর অতি শ্রুতিমধুর ছিলো। সুরমা বিশিষ্ট কালো চক্ষুযুগল, সে দু’টির শুভ্রতাও অতি প্রিয় ছিলো। সুরমাও কুদরতীভাবে লাগানো ছিলো। চোখের ভ্রুগুলো সরু ও পরস্পর মিলিত ছিলো। গর্দান শরীফ রূপার মতো চমকদার ছিলো। দাঁড়ি মুবারক ঘন ছিলো।

যখন নিশ্চুপ থাকতেন, তখন পূর্ণ সম্ভ্রমপূর্ণ হয়ে যেতেন, যখন কথা বলতেন, তখন চেহারা আরো বেশী উজ্জ্বল হয়ে যেতো। কথাগুলো মধুর ছিলো। (মুখ নিসৃত শব্দগুলো মুক্তার মতো ছিলো) মাঝারি গড়নের ছিলেন। (না এত বেশী দীর্ঘকায় ছিলেন যেন দেখতে ভাল লাগেনা, না এত বেশী খাটো যেন কেউ তুচ্ছজ্ঞান করতে পারে।) ব্যাস, তাঁর গড়ন ছিলো গাছের দু’টি শাখার মধ্যভাগে একটি শাখার মতো, যা অতিমাত্রায় সবুজ-সজীব। তাঁর এমন সাথী-সঙ্গী ছিলেন, যাঁরা তাঁর চতুর্পাশে বৃত্তাকারে বসে যেতেন। যদি তিনি কিছু বলতেন, তখন তাঁরা অতি মনযোগ সহকারে তা শুনতেন। যদি তিনি কোন কাজের নির্দেশ দিতেন, তবে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে তা পালন করতেন। তিনি সবার মাখদূম, সবার নিকট অতিমাত্রায় সম্মানিত ছিলেন।’’

যখন উম্মে মা’বাদ এভাবে আমাদের হুযূর-ই আকরামের গড়ন মুবারকের বর্ণনা দিলেন, তখন আবূ মা’বাদ বলতে লাগলেন, ‘‘খোদারই শপথ! তিনি হলেন ওই মহান ব্যক্তি, যাঁর সন্ধানে মক্কার ক্বোরাঈশ কাফিরগণ মরিয়া হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি আমি ওই মুবারক ব্যক্তির সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করতে পারতাম, তাহলে আমি অবশ্যই তাঁর সাথে চলে যেতাম। এর কিছুদিন পর আল্লাহ্ তা‘আলা উভয় দম্পতিকে ঈমানের মহা মূল্যবান সম্পদ দান করেছেন। তাঁরা উভয়ে হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় পৌঁছে গিয়েছিলেন।

জান্নাতে এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে হুযূর-ই আকরামের নাম নেই
বিষয়টি একটি সহীহ্ হাদীসের আলোকে সুস্পষ্টঃ
عَنْ كَعْبِ نِ الْاَحْبَارِرَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ ادَمُ يَا بُنَىَّ كُلَّمَا ذَكَرْتَ اللهَ فَاذْكُرْ اِلى جَنْبِه اِسْمَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِنِّىْ رَاَيْتُ اِسْمَه مَكْتُوْبًا عَلى سَاقِ الْعَرْشِ وَاَنَا بَيْنَ الرُّوْحِ وَالطِّيْنِ كَمَا اَنِّىْ طُفْتُ السَّمٰوَاتِ فَلَمْ اَرَفِىْ السَّمٰوَاتِ وَمَؤَضِعًا اِلاَّ رَأَيْتُ اِسْمَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكْتُوْبًا عَلَيْهِ وَلَقَدْ رَأَيْتُ اِسْمَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكْتُوْبًا عَلى حُوْرِ الْعِيْنِ وَعَلى وَرَقِ قَصَبٍ اجَامِ الْجَنَّةِ وَعَلى وَرَقِ شَجْرَةِ طُوْبى وَعَلى وَرَقِ سِدْرَةِ الْمُنْتَهى وَعَلى اطْرَافِ الْجُنُبِ وَبَيْنَ اَعْيُنِ الْمَلئِكَةِ فَاَكْثِرْ ذِكْرَهٗ فَاِنَّ الْمَلَئِكَةَ تَذْكُرُهٌ فِىْ كُلِّ سَاعَاتِهَا [ الخصائص الكبرى: جلد : ১: صفحه : ১৪]
অর্থ: হযরত কা’ব-ই আহবার রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম বলেছেন, হে আমার স্নেহের পুত্র! তুমি যখনই আল্লাহ্ তা‘আলার নাম উল্লেখ করবে, তখন সেটার সাথে হুযূর নবী-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নামও উল্লেখ করো। নিশ্চয় আমি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নাম শরীফকে আরশের পায়াগুলোর উপর লিপিবদ্ধ পেয়েছি; এমতাবস্থায় যে, আমি রূহ ও মাটির মধ্যভাগে ছিলাম। যেমনিভাবে (আমার মধ্যে রুহ ফুৎকার করার পর) আমি সমস্ত আসমান প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করেছি। তখন (দেখলাম) ওই সব আসমানে এমন কোন স্থান পায়নি, যেখানে আমি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নাম মুবারক লিপিবদ্ধ নেই। নিশ্চয় আমি হুরদের গলার উপর, জান্নাতের মহলগুলোর বাঁশের পাতার উপর, ত্বূবা বৃক্ষের পাতার উপর, সিদরাতুল মুন্তাহার পাতার উপর, দারোয়ানদের চক্ষুগুলোর উপর, ফেরেশতাদের চক্ষুগুলোর মধ্যখানেও হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নাম মুবারক লিপিবদ্ধ দেখেছি।
সুতরাং তোমরাও বেশী পরিমাণে তাঁর নামের যিকর করো। নিশ্চয় ফেরেশতাগণ প্রতিটি মুহূর্তে তাঁকে স্মরণ করেন।

মহাপরিচালক-আনজুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।