টেকনাফের এক জায়গায় কবরের নিচে ও চতুথর্পাশে কাঠ দিয়েছে। এটা শরিয়ত সম্মত কিনা জানালে উপকৃত হব।

টেকনাফের এক জায়গায় কবরের নিচে ও চতুথর্পাশে কাঠ দিয়েছে। এটা শরিয়ত সম্মত কিনা জানালে উপকৃত হব।

প্রশ্ন: আমরা স্বাভাবিকভাবে জানি কবরের চারপার্শে এবং উপরে কাঠ দেওয়া হয়। এখন টেকনাফের এক জায়গায় দেখলাম কবরের নিচে ও চতুথর্পাশে কাঠ দিয়েছে। এটা শরিয়ত সম্মত কিনা জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: কবর সাধারণত দুই প্রকার। ১. সিন্ধুকী কবর- যাকে শাক বলে। ২. বগলী কবর-যাকে লাহদ (কবর) বলা হয়। বগলি কবর সাধারণত খোদাই করে তৈরী করা হয় যা মধ্যপ্রাচ্যে অধিক প্রচলিত যা মাটি শক্ত হওয়া বগলি কবর খনন করা যায় এবং সহজে তাতে দাফন করা যায়। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের মাটি উর্বর হলেও নরম বেশি। বিধায় বাংলাদেশে প্রায় সিন্ধুকী কবর তৈরী করা হয়। এই কবরের গভীরতা বুক অথবা নাভি সমান। তবে যদি কবর খননের পর তড়িৎ ভরাট হয়ে যায় বা মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে কষ্ট সাধ্য হয়ে যায় বাক্স (গাছের কাঠ দিয়ে বিশেষভাবে তৈরী) ব্যবহার করা যাবে। একান্ত প্রয়োজন ও দাফন কার্য সম্পাদন করতে কাঠের বাক্স ব্যবহার করতে পারবে। তবে মৃত ব্যক্তিকে শোয়ানো হবে মাটির উপর। বেশী কাদার দরুন কবরের নিচে কাঠের পাটাতন ব্যবহার করলে ও কাঠের তখতার উপর অবশ্যই বালু দিতে হবে। বালুর উপর মৃত ব্যক্তিকে রাখা হবে।

Share:

Leave Your Comment