রমযানে কদরের রাতে বিশেষ নফল নামায কত রাকাত পড়তে হবে?

রমযানে কদরের রাতে বিশেষ নফল নামায কত রাকাত পড়তে হবে?

 মাওলানা আহসান উল্লাহ কাদেরী-
মুরাদপুর,সীতাকুন্ড ,চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: রমযানে কদরের রাতে বিশেষ নফল নামায কত রাকাত পড়তে হবে? তা জামাতে পড়তে/আদায় করতে পারবে কিনা?
উত্তর: পবিত্র রমজানে কদরের রাত্রের বিশেষ নফল নামায তথা সালাতুর রাগাইব (আযান ও ইকামত ব্যতীত) এশার নামায জামাত সহকারে আদায়ের পর উক্ত বরকতমন্ডিত রজনীর বরকত লাভের আশায় উক্ত নফল নামায জামাত সহকারে বা একাকী উভয়ভাবে আদায় করা জায়েয ও বৈধ। অসংখ্য আউলিয়ায়ে কেরাম ও প্রখ্যাত হক্কানী রব্বানী বুযুর্গানে দ্বীন বিশেষ বরতকমন্ডিত রাত সমূহে বিশেষত শবে বরাত-শবে কদর ও রজবের ১ম রজনী সহ বিশেষ বিশেষ রাত সমূহে নফল নামায জামাত সহকারে আদায় করেছেন। এ বিষয়ে তরজুমান প্রশ্নোত্তর বিভাগে বিস্তারিত নির্ভরযোগ্য কিতাবের উদ্ধৃতি সহ আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ রাত সমূহে যেমন শবে বরাত ও কদর রাতে এশার ফরজ নামায জামাতে আদায় করার উদ্দেশ্যে উপস্থিাত মুসলমান এশার ফরজ নামায জামাতে আদায় করার পর দু’রাকাত সুন্নাতে মোয়াক্কাদা পড়ে দু’ রাকাত, দু’ রাকাত করে ১২/১৬/২০ রাকাত বা আরো বেশি রাকাত পবিত্র কদর রাত্রে বিশেষ নফল নামায জামাত সহকারে আদায় করতে পারবে। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে অসুবিধা নেই বরং জায়েয। অধিকাংশ ফক্বিহগণের দৃষ্টিতে- নফল নামায, আযান-একামত ও জামাত সহকারে ফরজ নামাযের মত আদায় করা মাকরূহ হলেও এ ধরনের বিশেষ বরকতমন্ডিত রাত সমূহে অনেক বুযুর্গানে দ্বীন বিশেষত গাউসুল আযম পীরানে পীর দস্তগীর রাহমাতুল্লাহি আলায়হি, ইমাম ইসমাঈল হক্কী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এবং আল্লামা গাজী সৈয়্যদ আজিজুল হক শেরে বাংলা রহ. বলেছেন- এশার নামাযের পর এ বিশেষ রাত সমূহে নফল নামায জামাত সহকারে পড়া জায়েয। তবে এগুলো যেহেতু নফল ইবাদত তাই এ নিয়ে বাড়াবাড়ি ও তর্ক না করাই উত্তম। কেউ পড়তে চাইলে বাধা না দেয়া বা নিরুৎসাহিত না করা উচিত। তেমনিভাবে কেউ পড়তে না চাইলে তাকে জোর করা বা বাধ্য করা উচিত নয়। সুতরাং যেখানে যে নিয়ম-রীতি প্রচলিত সেখানে সেভাবে আদায করা যাবে।
[গুনিয়াতুৎ তালেবিন কৃত: গাউসুল আযম পীরানে পীর দস্তগীর রাহ., তাফসীরে রুহুল বয়ান সূরা কদরের তাফসীর কৃত: ইমাম ইসমাঈল হক্কী হানাফী রহ., দিওয়ানে আজিজ ফার্সী কাব্য কৃতঃ ইমাম শেরে বাংলা রাহ: ইত্যাদি]

Share:

Leave Your Comment