রোযাদারকে ইফতার করানোর মধ্যে ফজিলত কি?

রোযাদারকে ইফতার করানোর মধ্যে ফজিলত কি?

 সৈয়্যদা মাদিহা আল বাতুল-
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসা,
চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: রোযাদারকে ইফতার করানোর মধ্যে ফজিলত কি? বিস্তারিত জানানোর আবেদন রইল।
উত্তর: মাহে রমযান মুসলিম জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় এবং অসীম সাওয়াব লাভের মাস। এ মাসে সিয়াম ও রোযা পালনকারীর জন্য সেহরী ও ইফতার গ্রহণ করা উভয়টি সুন্নাত ও বরকতময় আমল। সাওয়াবের নিয়তে রমযানুল মোবারকে কোন রোযাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সাওয়াবজনক ও ফজিলতপূর্ণ কাজ। আল্লাহর প্রিয় রাসূল তাজেদারে মদিনা সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
من فطر صائما كان له مثل اجره غير انه
لا ينقض من اجر الصائم شيئًا
অর্থাৎ- যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমান সাওয়াব লাভ করবে। কিন্তু এতে রোযাদারের সাওয়াবের কোন ঘাটতি বা কমতি হবে না। [সুনানে তিরমিযী: হাদীস নং ৭৩৫]
এ প্রসঙ্গে মিশকাত শরীফে উল্লেখ রয়েছে- বিশিষ্ট সাহাবী হযরত সালমান ফারসী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- কোন ব্যক্তি যদি রোযাদারকে ইফতার করায় এটা তার জন্য গুনাহ্ সমূহের মার্জনা ও কাফ্ফারা হবে এবং রোজাদারের সাওয়াবের ন্যায় সেও সাওয়াবের ভাগী হবে। তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হবে এবং আল্লাহ্ তা’আলা তাকে হাউজে কাউসার হতে পানি পান করাবেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে- প্রিয়নবী রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- আল্লাহ্ তা’আলা জিহাদের সামগ্রী কিনে দেয়ার সমতুল্য সাওয়াব তাকে দান করবেন। যদি রোযাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য না থাকে অন্তত সামান্য পানি বা খেজুর দিয়ে ইফতার করায় তার জন্যও অনেক সওয়াব ও ফজিলতের বর্ণনা বিভিন্ন হাদিস শরিফে এসেছে। রোযাদারকে ইফতার করানোর বিষয়ে আরো অনেক বর্ণনা ও ফজিলত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে লোক দেখানো ও লৌকিকতার নিয়ত বা ইচ্ছা যেন না হয়। শুধু যেন সাওয়াবের নিয়ত হয়- এদিকে দৃষ্টি রাখা জরুরি। আর ইফতার যেন হালাল রুজী দিয়ে করানো হয়- সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। যেহেতু হারাম ও অবৈধ উপার্জনের কোন সাদকা খায়রাত আল্লাহ্ তা’আলার দরবারে কবুল হয় না।
[জামে তিরমিজি, সুনানে বায়হাকী ও মিশকাত শরীফ: সওম বা রোযা অধ্যায় ইত্যাদি ]

Share:

Leave Your Comment