মা-বোনরা পিরিয়ড (‘মাসিক’ ঋতুস্রাব) অবস্থায় কি করবে?

মা-বোনরা পিরিয়ড (‘মাসিক’ ঋতুস্রাব) অবস্থায় কি করবে?

প্রশ্ন: পবিত্র শবে বরাত, শবে কদর সহ কিছু পবিত্র রাতে ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত বেশী। কিন্তু ঐ পবিত্র রাত আসন্ন হলে কোন মহিলার (মাসিক) এর সময়ের পূর্বে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড এগিয়ে আনলে বা পিছিয়ে দিলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন অসুবিধা কিনা? জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর: পবিত্র শবে বরাত- শবে কদর ইত্যাদি রাতের ফজিলত নিঃসন্দেহে অত্যাধিক। তাই ইসলামী শরিয়ত এসব রাতে বেশী বেশী ইবাদত, দান-খায়রাত করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। এসব রাতে ইবাদতের লক্ষ্যে মহিলা তাঁর মাসিক শুরু হওয়ার পূর্বে ওষুধ সেবন করে পিরিয়ড আগে-পিছে করা অহেতুক ও স্বীয় নফসের উপর জুলুমের শামিল, কারণ এ রকম করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এ সব বরকতময় রজনীতে ঋতুস্রাব হলে মনে মনে আল্লাহ তা’আলার দরবারে যিকির-আযকার ও দোআ-মুনাজাত করবে। ইবাদতের সওয়াব হতে বঞ্চিত হবে না। তাছাড়া- ‘মাসিক’ ঋতুস্রাব যেহেতু আল্লাহর পক্ষ হতে একটি প্রাকৃতিক ধারা তাই এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সমীচিন নয়। এতে শারীরিক ভাবেও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক ঋতুস্রাবের সময় যেখানে আল্লাহ্ তা’আলা ফরয ইবাদত নামায-রোযা মওকুফ /স্থগিত করে দিয়েছেন সেখানে শবে বরাত ও শবে কদরের নফল ইবাদতের জন্য হিলা/বাহানার প্রয়োজন নেই।

Share:

Leave Your Comment