আল্লাহ্ ও তাঁর পয়গাম্বরের আনুগত্যে উভয় জাহানের সাফল্য

আল্লাহ্ ও তাঁর পয়গাম্বরের আনুগত্যে উভয় জাহানের সাফল্য

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান

মহান শ্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামীন পবিত্র ক্বোরআনে এরশাদ করেছেন- 
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اسْتَجِیْبُوْا لِلّٰهِ وَ لِلرَّسُوْلِ اِذَا دَعَاكُمْ لِمَا یُحْیِیْكُمْۚ-وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ یَحُوْلُ بَیْنَ الْمَرْءِ وَ قَلْبِهٖ وَ اَنَّهٗۤ اِلَیْهِ تُحْشَرُوْنَ তরজমা: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের আহ্বানে হাযির হও! যখন রসূল তোমাদেরকে ওই বস্তুর জন্য আহ্বান করেন, যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহর নির্দেশে মানুষ ও তার মনের ইচ্ছাসমূহের মধ্যে অন্তরায় হয়ে যায় এবং একথাও যে, তোমাদেরকে তাঁর প্রতি উঠতে হবে। [সূরা আনফাল: আয়াত-২৪: কানযুল ঈমান]

এ আয়াত শরীফে তিনিটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়:
১. ‘ইয়া’ দ্বারা সম্বোধন, ২. আহ্বানে সাড়া দেওয়ার হুকুম এবং ৩. ‘তোমাদেরকে জীবন দান করুন’-এর বিস্তারিত আলোচনা। এখন প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে আলোচনার প্রয়াস পাচ্ছি-
এক. পবিত্র ক্বোরআনে সমস্ত উম্মতকে তাদের নাম নিয়ে আহ্বান করা হয়েছে। যেমন- يَآاَيُّهَا الَّذِيْنَ هَادُوْا (হে ইহুদীগণ?) কিন্তু হুযূর-ই আকরামের উম্মতকে অতি প্রিয় খেতাব امَنُوْا (ঈমানদার নামে) হে ঈমানদারগণ! বলে ডেকেছেন। যদিও তাদের মধ্যেও ঈমানদার ছিলো, কিন্তু এ খেতাব (সম্বোধন)কে মুসলমানদের জন্য খাস করা হয়েছে। কেননা, মুসলমানদের পয়গাম্বর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালামকেও তাঁর নাম শরীফ দ্বারা আহ্বান করা হয়নি; বরং উত্তম ও সুন্দর সুন্দর খেতাব দ্বারা আহ্বান করা হয়েছে। তাছাড়া, আহ্বান দ্বারাই বুঝা যায় যে, এরপর ক্রোধ রয়েছে, না কি দয়া। যদি কাউকে বলা হয়, ‘হে না-লায়েক্ব!’ তখন বুঝা যাবে যে, সেটা দ্বারা তিরস্কার করা হবে। আর যদি কাউকে বলা হয় ‘ওহে প্রিয়!’ তখন বুঝা যাবে যে, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। আয়াতের প্রারম্ভের এ সম্বোধন দ্বারা বুঝা যাচ্ছে- আল্লাহ্ তা‘আলা মু’মিনদেরকে দয়া দ্বারা ধন্য করবেন। এটাও হুযূর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এরই কারণে।
দুই. اِسْتَجِيْبُوْا (তাঁর ডাকে সাড়া দাও!) দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্সালাম-এর বরকতম-িত ফরমান (আহ্বান) পেতেই সাড়া দেওয়া ও হাযির হয়ে যাওয়া যে কোন অবস্থায়ই ওয়াজিব বা অপরিহার্য। চাই নামাযে থাকুক কিংবা স্ত্রীর সাথে মিলনের অবস্থায় থাকুক! যেকোনো অবস্থাতেই আনুগত্য করা জরুরী।
আলোচ্য আয়াতের শানে নুযূল দ্বারা বিষয়টি একেবারে সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। বোখারী শরীফে হযরত সা‘ঈদ ইবনে মু‘আল্লা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আমি মসজিদে নামায পড়ছিলাম। আমাকে রসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আহ্বান করলেন। আমি জবাব না দিয়ে নামায পূর্ণ করলাম। অতঃপর আমি হুযূর-ই আক্রামের দরবারে হাযির হলাম। আর আরয করলাম, ‘‘এয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি নামায রত ছিলাম।’’ হুযূর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমালেন- আল্লাহ্ তা‘আলা কি একথা এরশাদ করেননি, ‘‘আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের আহ্বানে হাযির হয়ে যাও?’’
অনুরূপ, অপর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- হযরত উবাই ইবনে কা’ব নামায পড়ছিলেন। হুযূর তাঁকে আহ্বান করলেন। তিনি তাড়াতাড়ি নামায শেষ করে সালাম আরয করলেন। হুযূর এরশাদ ফরমালেন, ‘‘আমার ডাকে সাড়া প্রদানে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিলো?’’ তিনি আরয করলেন, ‘‘হুযূর! আমি নামাযের মধ্য ছিলাম’’, হুযূর এরশাদ ফরমালেন, ‘‘তোমরা কি ক্বোরআনে পাকে একথা পাওনি, আল্লাহ্ ও রাসূলের আহ্বানে হাযির হয়ে যাও?’’ তিনি আরয করলেন, ‘‘নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে এমনটি হবো।’’
উল্লেখ্য, কয়েক অবস্থায় নামায ভেঙ্গে ফেলা জায়েয: ১. মায়ের ডাক শুনলে, যখন মা একথা জানেন না যে, তাঁর সন্তান নামাযে আছে। আর নামাযও নফল হয়, ২. যদি কারো প্রাণ নাশের আশঙ্কা হয়। যেমন অন্ধলোক কূপের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। আর নামাযী নামাযের অভ্যন্তরে দেখে ফেলেছে, ৩. কমপক্ষে চার আনা পরিমাণ অর্থের লোকসান হচ্ছে দেখে, ৪. নামাযীর বাহন-পশু পালিয়ে যাচ্ছে অথবা রেলগাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে ইত্যাদি অবস্থায়। (দেখুন, ফাতাওয়া-ই শামী: কিতাবুস্ সালাত) তাছাড়া, পিতার ডাক শুনলে নামায ভঙ্গ করা জায়েয, মায়ের ডাক শুনলে নয়। কারণ, সম্মান পিতার বেশী। পিতার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাবে, আর মায়ের খিদমত বেশী করবে। (রূহুল বয়ান: এই আয়াতের তাফসীর) কিন্তু মায়ের ডাক শুনলে শুধু নফল নামায ভঙ্গ করা যাবে; ফরয নামায ভঙ্গ করা যায়না, তবে এসব অবস্থায় সাড়া দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে; কিন্তু হুযূর আলায়হিস্সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর আহ্বান শুনামাত্র ফরয নামাযও ছেড়ে দিয়ে হাযির হয়ে যাওয়া জরুরী। আর এ আসা-যাওয়ার কারণে নামায ভঙ্গ হবে না।
সাহাবা-ই কেরাম থেকে একথা প্রমাণিত যে, তাঁরা যেকোন অবস্থায় হুযূর মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আনুগত্য করতেন। তাহাভী শরীফে ‘বাবুল গোস্ল’-এ আছে- এক সাহাবীকে হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম ডাক দিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে সঙ্গমরত ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি উক্ত কাজ সমাধা না করেই চলে আসলেন। হুযূর-ই আক্রাম এরশাদ করলেন, لَعَلَّنَا اَعْجَلْنَا (সম্ভবত:আমরা ত্বরা করে ফেলেছি।) সাহাবী আরয করলেন, ‘‘হাঁ!’’ হুযূর এরশাদ করলেন, ‘‘বীর্যপাত ছাড়া স্ত্রী-সঙ্গম করলেও গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। অনুরূপ, হযরত হানযালাহ্ সাহাবী, গাসীলুল মালাইকাহ্, রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত জামীলার সাথে বিবাহ্ বন্ধনে আবব্ধ হয়েছিলেন। ফুলসজ্জার রাত ছিলো। সঙ্গম করেছিলেন, কিন্তু গোসল করেননি, ইত্যবসরে উহুদের যুদ্ধে শরীক হবার আহ্বান আসলো। তিনি এমতাবস্থায় আপন নব দুলহানকে রেখে যুদ্ধের জন্য চলে যান এবং শহীদও হয়ে যান। সাহাবীগণ দেখলেন, ‘শহীদগণের মধ্যে তাঁর লাশ মুবারক থেকে পানি টপকে পড়ছে। তাঁরা আর্শ্চবোধ করলেন, তাঁর স্ত্রী খবর দিলেন, ‘‘তিনি তো ‘জানাবত’-এর (ফরয গোসল বিহীন অবস্থায়) ছিলেন।’’ হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম এরশাদ করলেন, ‘‘তাকে ফেরেশতাগণ গোসল দিয়েছেন।’’ এ কারণে তাঁকে ‘গাসীলুল মালাইকাহ্’ (ফেরেশতাদের দ্বারা গোসলকৃত) বলা হয়। [মুক্বাদ্দামাহ্-ই হিদায়াহ্ ও ইতিহাস গ্রন্থাবলী]
হুযূর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন আপন পালকপুত্র হযরত যায়দ ইবনে হারিসাহর বিবাহের পয়গাম হযরত যয়নাবের নিকট পাঠালেন, তখন তিনি এবং তাঁর ভাই ওই প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। তখন এ আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছিলো-
وَ مَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّ لَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللّٰهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ یَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِیَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْؕ-وَ مَنْ یَّعْصِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیْنًاﭤ(৩৬(
তরজমা: এবং কোন মুসলমান পুরুষ, না কোন মুসলমান নারীর জন্য শোভা পায় যে, যখন আল্লাহ্ ও রসূল কোন নির্দেশ দেন তখন তাদের স্বীয় ব্যাপারে কোন ইখ্তিয়ার থাকবে এবং যে কেউ নির্দেশ অমান্য করে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের; সে নিশ্চয় সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পথভ্রষ্ট হয়েছে। [সূরা আযহাব: আয়াত-৩৬, কানযুল ঈমান]
আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের কথা হচ্ছে- মুসলমান পুরুষ হচ্ছে হুযূর-ই আক্রামের গোলাম আর মুসলমান নারী হচ্ছে হুযূরের বাঁদী। সুতরাং যখন আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল কোন কিছুর ফয়সালা করে দেন, তখন কারো তা গ্রহণ না করার অধিকার বা ইখতিয়ার থাকে না। যেমন, মুনিব যেখানে চায় তার ক্রীতদাসীকে বিবাহ্ দিতে পারেন, দাসীর তা অস্বীকার করার কোন হক বা অধিকার থাকে না। এখানেও অনুরূপই ঘটেছে। অথচ বিবাহে নারী (কনে)’র অনুমতি (সম্মতি)’র প্রয়োজন হয়। কিন্তু হযরত যয়নব ওই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন।
হুযূর-ই আক্রামের উপর যাকাত ফরয ছিলোনা। কারণ, তিনি যাকাত দিলে কাকে দিতেন? সবাই তো হুযূর-ই আক্রামের গোলাম। মুনিবের জন্য নিজের গোলামকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। তবে শরীয়তের কোন কোন বিধান জারী করার জন্য এর ব্যতিক্রমও ঘটেছে। এটা তাঁর দয়া ও বদান্যতা। যেমন- নবী-ই আক্রামের পবিত্র স্ত্রীগণ মু’মিনদের মা; কিন্তু মীরাস নেই। সুতরাং মামলূকের জন্য মুনিবের আহ্বানে দৌঁড়ে গিয়ে সাড়া দেওয়া অপরিহার্য।
দ্বিতীয়ত, হুযূর-ই আক্রামের আহ্বান প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ তা‘আলারই আহ্বান। আল্লাহ্ তা‘আলা হুযূর-ই আক্রামের কাজকে নিজের কাজ বলে সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং আয়াতে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, আয়াতে এরশাদ হয়েছে- আল্লাহ্ ও রসূলের আহ্বানে হাযির হয়ে যাও! কিন্তু আহ্বান করার ক্রিয়াটি একবচনে (اذا دعاكم) আনা হয়েছে। তাই হুযূরের আহ্বানে সাড়া দিলে আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দেওয়া হবে।
এখানে শেষাংশে এরশাদ হয়েছে যে, তিনি এমন জিনিষের দিকে ডাকছেন, যা তোমাদেরকে যিন্দেগী (জীবন) দান করবে। বস্তুতঃ ওই জিনিষ হচ্ছে ঈমান, অথবা ইলম, অথবা জিহাদ, অথবা শাহাদত, অথবা নামায। এসব ক’টি রূহানী জীবনদাতা। এমনকি যদি তিনি নিজের কোন কাজের আনুগত্যের জন্য ডাকে, তবুও তাঁর আনুগত্য হচ্ছে মৌলিক আমল। সুতরাং তাঁর ডাকে শীঘ্র চলে যাও, হাযির হয়ে যাও! না নামাযের কথা চিন্তা করো, না অন্য কোন ইবাদতের। মাওলা আলী হুযূর-ই আক্রামের আকরামের জন্য নিজের নামায, তাও আসরের নামায ছেড়ে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ফলশ্রুতিতে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল তাঁর নামাযের ক্বাযা করতে দেননি। সূর্যকে তুলে আসরের ওয়াক্বতের শুরুতে নামায পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের স্পর্শে হায়াত বা জীবন আসার ঘটনাও কম নয়, হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস্ সালামের ঘোড়ার কদম বাহ্রে ক্বুলযামের শুষ্ক রাস্তায় যেখানে পড়েছিলো, সবুজ ঘাস জন্মে যাচ্ছিলো, যা থেকে সামেরী কিছু মাটি নিয়ে গেলে পরবর্তীতে তা গরুর বাছুরের মুখের ভিতর স্থাপন করলে তা গরুর বাছুরের মতো ডাকহাঁক ছাড়ছিলো।
হযরত আয়েশা সিদ্দীক্বাহ্ একবার হুযূর-ই আক্রামের তহবন্দ শরীফ মুড়ি দিয়ে শু’য়ে গেলে তখন দেখলেন যে, সেটার বরকতে চৌদ্দ স্তর আলোকিত হয়ে গিয়েছিলো। হযরত খাদ্বির আলায়হ্সি সালামকে ‘খাদ্বির’ এ জন্য বলা হয় যে, যেখানেই তিনি কদম শরীফ রাখতেন, সেখানে সবুজ-সজীব সব্জি জন্মে যেতো, তাঁর কদমে পাকে হায়াত বা জীবন রয়েছে।
হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামের খাদিম হযরত ইয়ূশা’ ইবনে নূনের সাথে রাখা ভূনা মাছ মাজমাউল বাহরাইনে জীবিত হয়ে পানিতে লাফিয়ে পড়েছিলো। তখন সাথে সাথে পানিতে সুরঙ্গ পথ সৃষ্টি হলে তা দিয়ে ওই জীবিত মাছটি সমুদ্রে ঢুকে পড়েছিলো। এটাও হযরত খাদ্বির আলায়হ্সি সালামের বরকতে হয়েছিলো। উস্তুনে হান্নানাহ্ হুযূর-ই আক্রামের স্পর্শ পেয়ে জীবিত হয়ে হুযূর-ই আক্রামের বিচ্ছেদে ছোট্ট শিশুর ন্যায় কান্না জুড়ে দিয়েছিলো।
পরিশেষে, হুযূর-ই আক্রামের আহ্বান আল্লাহরই আহ্বান। তাঁর আনুগত্য আল্লাহরই আনুগত্যের সামিল। সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য ও মুক্তির জন্য আল্লাহ্ ও রসূলের আনুগত্য করা একান্ত অপরিহার্য। এর বিকল্প পথ নেই। আল্লাহ্ আমাদেরকে এমন আনুগত্যের তাফীক্ব দিন! আ-মী-ন।

মহাপরিচালক-আনজুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।

 

Share:

Leave Your Comment