Anjuman-E Rahmania Ahmadia Sunnia Trust

রাজ সিংহাসন ছেড়ে আধ্যাত্মিক সিংহাসনে

রাজ সিংহাসন ছেড়ে আধ্যাত্মিক সিংহাসনে

মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আল-কাদেরী

ইতিহাস খ্যাত প্রতাপশালী বাদশাহ ছিলেন ইব্রাহিম আদহাম। প্রভূত ঐশ্বর্যের অধিকারী যিনি। যখন রাস্তা দিয়ে গমন করেন, তখন অগ্রভাগে দল চলে স্বর্ণঢালধারী অশ্বারোহী চল্লিশজন এবং দেহরক্ষীর উপস্থিতিও সেইরকম। অভাবনীয় শান-শওকতে ভরপুর। পরে তিনি হলেন আধ্যাত্মিক মার্গের এক আলোকিত পুরুষ, মহান তাপস, হযরত ইব্রাহিম বিন আদহাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ছিলেন হৃদয়ের পবিত্রতায় সাধককুলে অনন্য উচ্চতায় আসীন। সহিষ্ণুতা ও ধর্মনিষ্ঠাতে কিংবদন্তিতুল্য। কঠোর সাধনায় সুবিদিত। শরীয়ত ও মা’রিফাত সমুদ্রে এক সুদক্ষ সাতারু। সামান্য একটি ঘটনায় তাঁর জীবনে আসে আমুল পরিবর্তন।

জীবনের বাঁক পরিবর্তন
গভীর রাত্রি। নিস্তব্ধ পৃথিবী। বাদশাহ ইব্রাহিম বিন আদহাম মহান রবের স্মরণে মগ্ন। স্বর্ণের সুবর্ণ পালঙ্কে, সুকোমল ও আরামদায়ক শয্যায় ধ্যানরত। হঠাৎ পদশব্দ শুনলেন কাছে কোথাও। মনে হল, রাজপ্রাসাদের ছাদের ওপর কে যেন হেটে চলছে। কে, কে? জিজ্ঞেস করেন তিনি। উত্তর এল, তোমার এক বন্ধু আমি। আমার একটি উট হারিয়েছে। তাই খুঁজে বেড়াচ্ছি। উট হারিয়েছে বলে সেটা যে খুঁজতে এসেছ রাজপ্রাসাদের ছাদের ওপর? বিরক্ত হয়ে তাকে মুর্খ বলে ধমক দেন। কিন্তু ও-পক্ষ থেকে জবাব আসে, আমার এ কাজটিকে তুমি মুর্খামি বলছ! কিন্তু তুমি কী করছ? সোনার পালঙ্কে শুয়ে সুবর্ণ জরির পোষাকে ভূষিত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করছ! আর মনে করছ, আল্লাহর সান্নিধ্য এভাবে অর্জিত হয়! তাহলে তোমার কাজটি কি এর চেয়েও বোকামি নয়? এ যেন চেতনার উপর চাবুকের আঘাত। বিবেকের দুয়ারে সত্যসন্ধানীর ধাক্কা। দগ্ধ হতে লাগলেন অনুশোচনায়। অদৃশ্য হয়ে গেল অন্ধকার রাত। কেড়ে নিল মহারাজার ঘুম। বিবর্ণ হৃদয়ে রাত কেটে সকাল দেখা দিল।

পরদিন ভগ্নহৃদয়ে যথারীতি রাজদরবারে উপবিষ্ট। এমন সময় হঠাৎ দরবার কক্ষে প্রবেশ করলেন আলোকিত এক অজানা ব্যক্তি। বাদশাহ্ জানতে চান, কে আপনি? কী চান? আমি এক মুসাফির, এই মুসাফিরখানায় একটু বিশ্রাম নিতে চাই। এটা তো মুসাফিরখানা নয়। আমার বাসভবন। আপনার বাসভবন! আপনার পূর্বে এখানে কে বাস করতেন? একটার পর একটা প্রশ্ন। উত্তরে আমার পিতা। এর আগে পিতামহ। এর আগে প্রপিতামহ। আরও অনেকের নাম বর্ণনা করলেন বাদশাহ ইব্রাহিম। এখানে একজন আসে আর চলে যায়। কেউই স্থায়ীভাবে ছিল না। এরপরও এটাকে মুসাফিরখানা না বলে বাসভবন বলবেন? কঠিন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বাধাহীনভাবে বেড়িয়ে পড়লেন যেমনি প্রবেশ করেছিলেন। চেতনার ঢেউ মনের সাগরে তোলপাড় হতে লাগল। এক পর্যায়ে প্রবল আকার ধারণ করার ফলে সিংহাসন থেকে নেমে এলেন। বিমূঢ় মনের বিষন্নতায় ছুটে গেলেন অচেনা আগন্তুকের পেছনে পেছনে। দীর্ঘপথ অতিক্রম করে নাগাল পেলেন অজানা ব্যক্তির। বিনয়ের সাথে বললেন, আপনি কে জনাব? অমিয় মায়াবীকণ্ঠে উচ্চারিত হল, আমি আল্লাহর বান্দা খিজির। এ কথা বলে সরে পড়েন। জিজ্ঞেস করার সুযোগ হল না অন্যকিছুর। অতৃপ্তি আর গভীর উদ্বেগ নিয়ে ফিরে এলেন রাজদরবারে। আগের মতই দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করেন ঠিকই। কিন্তু অস্থিরতা ও অশান্তি হৃদয় থেকে যাচ্ছে না।
অশান্তি ভরা হৃদয়ের ভার কমানোর নিমিত্তে শিকার করতে বের হলেন গহীন জঙ্গলে। হঠাৎ চোখে পড়ল এক হরিণ। সেটাকে তাক করে তীর যে মুহূর্তে ছুড়তে যাবেন, শুনতে পেলেন হরিণের কথা। কি বিস্ময়! হরিণও কথা বলে! গভীর মনোযোগ দিলেন হরিণের দিকে। হরিণ বলে উঠল, ইব্রাহিম, তুমি আমাকে শিকার করতে পারবে না। বরং তোমাকেই শিকার করতে আমাকে পাঠানো হয়েছে। হে ইব্রাহিম, শিকার করা তো অনর্থক কাজ। এজন্য তোমাকে সৃষ্টি করা হয়নি এবং এজন্যেও তোমাকে আদেশ দেয়া হয়নি। কিয়ামত দিবসের জন্য পুঁজি প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আল্লাহকে ভয় কর। বাদশাহ হতবাক। শিকার করা হল না। কিন্তু কি আশ্চর্য! যে ঘোড়ার উপর তিনি বসে রয়েছেন, তার জীবন থেকেও হরিণের কথার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সতর্কতাসূচক ধ্বনি বিদ্যুৎ গতিতে জেঁকে বসেছে পুরো দেহে। নিজেকে আর সংযত রাখতে পারলেন না। একটি মুহূর্তে এসে তাঁর এতদিনের লালিত জীবনকে আমূল পরিবর্তনের নেশায় বলে উঠলেন, আর লোকালয়ে ফিরবেন না। আর বাদশাহী নয়; তখত সিংহাসন নয়। এবার শুরু হোক দয়াময় প্রভুর প্রেমে নতুন জীবন। কিছুদূর গিয়ে তিনি দেখা পেলেন চটের বস্ত্র পরিহিত এক রাখালের। তার সঙ্গে তিনি বদলে নিলেন পোশাক পরিচ্ছদ। রাজভূষণ খসে পড়ল তাঁর অঙ্গ থেকে। বলখের বিখ্যাত ও প্রতাপশালী বাদশাহ মুহূর্তের মধ্যে হয়ে গেলেন রাস্তার ফকির! শুরু হল তাঁর পরাকাষ্ঠা জীবনের যুদ্ধ। শুরু হল ঋদ্ধ জীবনের ভীষণ কসরত। শুরু হল ধ্রুপদী জীবনের খেলা। তখন থেকে তাওবা আর ক্রন্দনই ছিল তাঁর একমাত্র অবলম্বন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সফর মাওলার সন্ধানে। একসময়ে পৌঁছলেন নিশাপুরে। মাঝে মাঝে অন্ধকার গুহায়, কখনো বনে জঙ্গলে। আবার বন জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করে বিক্রয় করতেন নিশাপুরের বাজারে। যে আয় হত, তা দিয়ে রুটি কিনতেন। তাও অর্ধেক বিলিয়ে দিতেন গরীব দুঃখীর মাঝে। অর্ধেক নিজের জন্য। যিনি অতি সৌখিন লোক, রাজপ্রাসাদের অধিপতি, তিনি আজ রাস্তার নগন্য পথিক। এতে কী আছে? অবশ্যই কিছু তো আছে! না থাকলে পরিবর্তন কীসের? কীসের মায়া ও আকর্ষণে এ পরিবর্তন? নিশ্চয়ই কিছু না কিছু রহস্য রয়েছে। যা পরে জানা যাবে।

ছিলেন অতিশয় দানবীর
সাহল বিন আদহাম ছিলেন একসময়ে তাঁর সফরসঙ্গী। সাহল বলেন, আমি সফরে কিছুদিন ইব্রাহিম বিন আদহামের সঙ্গ লাভ করি। ঐ সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি টাকা-পয়সা সকল সম্বল দান করে দেন আমার জন্য। এক সময় আমার কারণে গাধাটিও বিক্রি করে দেন। গাধাটি না দেখার কারণে জিজ্ঞেস করলাম, ওটা কোথায়? বললেন, এটা তো বিক্রয় করে দিয়েছি তোমার জন্য। তাহলে আরোহন করব কীসের উপর? আমার গ্রীবায়, বললেন ইব্রাহিম। সাহল বলেন, বাস্তবে তিনি আমাকে তাঁর ঘাড়ে তিন মানযিল নিয়ে গেলেন। আল্লাহ তা‘আলার প্রিয় বান্দাদের চরিত্র এমনই। দয়াল নবী ইরশাদ করেন: দানশীলতা ব্যতীত মহান রবের প্রিয় হওয়া যায় না। যার বাস্তবতা মহান ওলীদের পবিত্র জীবনে দেখা যায়।

ইসমে আযম শিক্ষালাভ
বনে অবস্থানকালে এক মহাজ্ঞানী ব্যক্তি তাঁকে ইসমে আযম তথা মহান আল্লাহ তা‘আলার শ্রেষ্ঠ নাম শিক্ষা দেন। ঐ ইসমে আযমের উসীলায় মহান আল্লাহর দরবারে দো‘আ করতেন তিনি। ইসমে আযমের বদৌলতে হযরত আসিফ বিন বরখিয়া রাহমাতুল্লাহি আলায়হি প্রায় পনেরোশো মাইল দূর থেকে বিলকিসের আলীশান সিংহাসন চোখের পলক ফেলার পূর্বে হযরত সোলাইমান আলায়হিস সালামের দরবারে নিয়ে আসেন। যার বর্ণনা পবিত্র কুরআন ও তাফসিরগ্রন্থে চমৎকারভাবে রয়েছে।

পবিত্র আত্মার ছোঁয়ায় অনেককিছু পবিত্র হয়ে যায়
মহান আওলিয়ায়ে কেরামের শান ও মর্যাদা এতই ঊর্ধ্বে যে, তাঁদের সংস্পর্শে পবিত্র নয় এমন বস্তুও পবিত্র ও মূল্যবান হয়ে যায়। এমনকি একটি গাছও। বাইতুল মোকাদ্দাসের উদ্দেশ্যে সফরকালে তাঁর সফরসঙ্গী হযরত মুহাম্মদ মুবারককে নিয়ে হযরত ইব্রাহিম বিন আদহাম নামায পড়েন একটি ডালিম গাছের তলায়। নামায শেষে তাঁদের গমনকালে ডালিম গাছের আবেদনমূলক আওয়াজ শুনতে পান। আপনারা দয়া করে আমার দুটো ফল খেয়ে আমাকে ধন্য করুন, বলল গাছটি। গাছের আবেদনে সাড়া দিয়ে দুজনেই ফল খেলেন। কিন্তু ফলগুলো খুবই টক। কিছুদিন পর ঐ পথে ফেরার সময় তাঁরা বিস্ময়ে দেখলেন, ছোট গাছটি এ কয়দিনে অনেক বড় হয়ে গেছে এবং পুনরায় খাওয়ার পর বুঝলেন, ফল বেশ সুস্বাদু। এ হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার প্রিয় বান্দাদের সঙ্গ ও সান্নিধ্যের সুফল ও প্রভাব। গাছের এ অবস্থা হলে ওলীদের সোহবতের ফলে মানুষের কী ফায়েদা হবে তা সহজেই অনুমেয়।

তাঁর কারামত ও অলৌকিক শক্তি
রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে ইব্রাহিম বিন আদহাম রাহমাতুল্লাহি আলায়হি একদিন টাইগ্রিস নদীর তীরে বসে পরনের ছেড়া জামা সেলাই করছে আপন মনে। এ অবস্থা দেখে একটি লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করে, বলখের সিংহাসন ছেড়ে আপনি কি লাভবান হয়েছেন? তার কথার উত্তর না দিয়ে তিনি হাতের সূঁচ ছুড়ে ফেললেন নদীতে। প্রশ্নকারী ব্যক্তিকে বললেন, তুমি ঐ সূঁচটি তুলে দিতে পার? ওই ব্যক্তি বলল তা কী করে সম্ভব। তখন তিনি নদীকে ইঙ্গিত করার সাথে সাথে অনেক মাছ ভেসে উঠল পানির ওপর। দেখা গেল, প্রত্যেকেরই মুখে এক একটি সোনার সূঁচ! তিনি বললেন, আমি সোনার সূঁচ চাই নি। নিজেরটা চেয়েছি মাত্র। এটা বলামাত্র একটি মাছ তাঁর সূঁচটি তাঁর সামনে ছুড়ে দিল। লোকটিকে বললেন, দেখ, রাজত্ব ছেড়ে আমি খুব তুচ্ছ জিনিসই লাভ করেছি, তাই না? লোকটি নিজের ভুল বুঝতে পেরে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন।
উল্লেখ্য, পার্থিব রাজত্বের ক্ষমতা আর আধ্যাত্মিক বেলায়তী ক্ষমতার মাঝে কতটুকু পার্থক্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্মর্তব্য যে, তাঁর অসংখ্য কারামত নির্ভরযোগ্য কিতাবে বর্ণিত আছে।

ওলির ভালবাসায় আল্লাহর প্রিয়জন হওয়া যায়
এক গভীর রাত। ইব্রাহিম বিন আদহাম নিদ্রাচ্ছন্ন। অনিন্দ্য সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখলেন। হযরত জিব্রাইল আলায়হিস সালাম পৃথিবীর বুকে অবতীর্ণ হলেন। তিনি এখানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়জনদের নাম লেখার কথা বললেন। কাদের নাম লিখবেন তিনি জানতে চান। হযরত জিব্রাইল আলায়হিস্ সালাম মালেক বিন দিনার, ছাবিত আল বুনানী ও অন্যান্যজনের নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাঁদের মাঝে আমিও আছি কী? ফেরেশতা বললেন, না। আপনি তাঁদের অন্তর্ভুক্ত নন। তখন তিনি বললেন, তাঁদের নাম লেখার সবশেষে আমাকে আল্লাহর বন্ধুগণের বন্ধু হিসেবে লিখবেন দয়া করে। পরক্ষণে হযরত জিব্রাইল আলায়হিস সালাম বললেন, আমি আপনার নামটি সর্বপ্রথম লেখার আদেশ পেয়েছি। আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়জনদেরকে ভালবাসার ফলে প্রেমিক ব্যক্তিও মহান রবের পছন্দনীয় ব্যক্তি বনে যায়। যা উল্লেখিত ঘটনা থেকে প্রমাণিত।

আউলিয়ায়ে কেরামের শান-মান দানকারী মহান রব। সেজন্য তাঁদের সম্মান-মর্যাদার কোনো শেষ নেই। গুণমুগ্ধ ও আল্লাহ তা‘আলার প্রিয়জনদের শেষের ভেতরও আছে অশেষ। এমনকি হঠাৎ আলোর ঝলকানির মত তাঁদের সঙ্গ লাভের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনের বাঁক পরিবর্তন হয়ে যায়। এ মহাতাপস ও মহামনীষী, এ মাসেই মাওলায়ে হাকীকীর দরবারে চলে যান। কিন্তু এখনও বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমানের হৃদয়ে তিনি বেঁচে আছেন। মহান রব যেন তাঁর শুভদৃষ্টি আমাদের উভয় জগতে দান করেন।

তথ্যপুঞ্জী
১. হিলয়াতুল আউলিয়া কৃত: ইমাম আবু নুয়াইম ই¯পাহানি (রহ.)।
২. তাবকাতুল আউলিয়া কৃত: ইমাম ইবনুল মুলাক্কিন (রহ.)।
৩. কাশফুল মাহজুব কৃত: হযরত দাতা গঞ্জে বখশ লাহোরী (রহ.)।
৪. আত-তবকাতুল কুবরা কৃত: ইমাম শা’রানী (রহ.)।
৫. আর-রিসালাতুল কুশায়রিয়্যাহ কৃত: ইমাম কুশায়রী (রহ.)।
৬. আল-কাওকাবুদ দুররিয়্যাহ কৃত: ইমাম মুনাভী (রহ.)।
৭. সিফাতুস সফওয়া কৃত: ইমাম ইবনুল জাওযী (রহ.)।
৮. তাহজীবুত তাহজীব কৃত: ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.)।
৯. সিয়ারু আলামিন নুবালা কৃত: ইমাম শামসুদ্দীন জাহাবি (রহ.)।
১০. আলামুস সুফীয়া কৃত: ড. জাওদাহ আল মাহদী।

লেখক: প্রধান ফকীহ, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা