হাসি-কান্নায় মু’মিন জীবন

হাসি-কান্নায় মু’মিন জীবন

মুফ্তী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ক্বাদিরী

হাসি মানব জীবনের অভিব্যক্তি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। হাসি দিয়ে মানুষ মনের আনন্দ-সুখ যেভাবে প্রকাশ করে, তেমনি দুঃখ-বেদনাও প্রকাশিত হয়! তাই বলা হয়- চোখের যেমন ভাষা আছে তেমনি হাসিরও একটা ভাষা আছে! কথা বলার সময় হাসিমুখ করাও আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি সুন্দর সুন্নত। হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ও মুচকী হাসির মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে খুব সহজেই প্রবেশ করা যায়। হাসি দিয়ে মানুষ অন্যের মন জয় করে থাকে। মানুষের হৃদয়েও একটা তালা আছে। সেই তালার উত্তম চাবি হচ্ছে মুচকী হাসি। হাসির মাধ্যমে পারস্পারিক ভালোবাসা, হৃদ্যতা, কল্যাণ ও মমত্ববোধ তৈরি হয়। যার ফলে অহংকার, হিংসা-প্রতিহিংসা দূর হয়। প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব উবে যায়। সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার হয়। ভ্রাতৃত্ববোধ মজবুত হয়। আর এমন সমাজই সকলের কাম্য। এই সাধারণ বিষয়গুলো ঈমানের অংশও বটে। কারণ, মুমিন হওয়ার জন্য মানুষের কাছে প্রিয় হওয়া আবশ্যক। হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মু’মিন তো সেই ব্যক্তি, যে মানুষকে ভালোবাসে এবং মানুষও তাকে ভালোবাসে। যে মানুষকে ভালোবাসে না এবং মানুষও যাকে ভালোবাসে না, তার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। আর মানুষের কল্যাণকারী ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ মানুষ।”

হাসি-কান্নায় মু’মিন জীবন
“মু’মিন কাঁদবে বেশী হাসবে কম।” মু’মিন হৃদয়ে আল্লাহর ভয় বেশী বিরাজ করে। আল্লাহর নাফরমানীর ভয়ে মু’মিন বান্দার মন সদা বিচলিত থাকে। কুরআন-হাদীছে বর্ণিত পরকালীন দৃশ্যসমূহ স্মরণে মু’মিন বান্দা সদা তটস্ত থাকেন। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে, তবে কাঁদতে বেশী, হাসতে কম।”
তিনি আরো বলেন, “ওহে আবূ হুরাইরা! বেশী হেসো না। কারণ, বেশী হাসি অন্তর মেরে ফেলে বা অন্তরকে নষ্ট করে ফেলে।”
কুরআন-সুন্নাহতে হাসির কথা কম থাকলেও হাসিও জীবনের অংশ। মধুর অংশ। সুখের অংশ। আনন্দ-উৎফুল্লতা প্রকাশের সুন্দরতম মাধ্যম। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হাসতেন। আল্লাহপাকও আপন শান অনূযায়ী হাসেন! হযরত আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহপাক দু‘জন লোকেকে দেখে হাসেন (তাঁর মহিমা অনুসারে) যদিও তারা একে অপরের সাথে যুদ্ধ করেছে এবং উভয়েই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” তাদের একজন অবশ্যই আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। অতঃপর আল্লাহপাক হত্যাকারীকে তাওবাহ করার তাওফীক দেন আর তিনি মুসলিম হয়ে শহীদ হন।”
অর্থাৎ যদি কোন কাফির একজন মুসলমানকে শহীদ করে, তাহলে শহীদ ব্যক্তি বেহেশ্তে যাবে এবং পরবর্তীতে তাঁর হত্যাকারী মুসলমান হয়ে তিনিও যুদ্ধে শহীদ হলে তিনিও বেহেশ্তে যাবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাগণকেও হাসতে শেখাতেন। বাচ্চাদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করতেন। ছোট্ট পাখি নুগাইরকে হারিয়ে মুখভার করে বসা হযরত সৈয়্যদুনা আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু-এর আদরের ছোটভাই আবূ ‘উমাইরকে কবিতার শ্লোক- “ওহে আদূরে আবূ ‘উমাইর * কোথায় গেলো তোমার নুগাইর!” বলে হাসালেন।
ফজরের নামায শেষে সাহাবাগণ বসে তাঁদের সাথে ঘটে যাওয়া জাহিলী যুগের নানা ঘটনা বলে হাসাহাসি করতেন; আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা শুনে মুচকী মুচকী হাসতেন।
দৈনন্দিন জীবনে চলায়-বলায়, কাজ-কর্মে নানান লোকের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। একজন মুসলমান হিসেবে অন্য দ্বীনী ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎকালে আমাদের অভিব্যক্তি-আচরণ কেমন হওয়া উচিত, তা প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এতদ্সঙ্গে তিনি মু’মিন ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন। হাসিমুখে কথাবলাকে তিনি সদকা হিসেবেও ঘোষণা করেছেন। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক ভালো কাজ সদকা। আর এজাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো- অন্য ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে দেখা-সাক্ষাৎ করা।”
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “তোমার মু’মিন ভাইয়ের মুখে (সাক্ষাৎকালে) মুচকী হাসি নিয়ে আসাও সদকার কাজ।”
হাসিমুখে সাক্ষাৎ করলে সাক্ষাৎপ্রার্থী খুশি হয়। নির্বিকার থাকলে মনে সন্দেহ এবং সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাই সাক্ষাৎকালে হাসিমুখে কথা বলা ও আনন্দ দেওয়ার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুবই পছন্দ করতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নিজের কোনো মুসলিম ভাইকে খুশি করার জন্য এমনভাবে সাক্ষাৎ করে, যেমনটি সে নিজের জন্য পছন্দ করে। কিয়ামতের দিন (বিনিময়ে) আল্লাহ তা‘আলা তাকে খুশি করবেন।
হাজারো সমস্যার বর্তমান এই অশান্ত-বিশৃঙ্খল পৃথিবীতে নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয়ের প্রদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। হিংসা-বিদ্বেষ, আত্মম্ভরীতা আর স্বার্থপরতা আমাদের মনকে এমনভাবে কলুষিত করেছে যে, মুখে মুচকী হাসি আনা তো দূরের কথা; হাসি কি জিনিস তা ভুলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। দুঃখ ভারাক্রান্ত অসচ্ছ হৃদয় কখনো নির্মল হাসি উপহার দিতে পারে না। মুখে হাসি, চেহেরায় উজ্বল্যতা এবং আচরণে নমনীয়তার মূলে কিন্তু বিরাগহীন নির্মল মন। নির্মল হাসি হৃদজগতে আলোড়ন তুলে। আর মলীন হাসি হৃদযন্ত্রণা বাড়ায়। এজন্য বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ‘হাসি সবসময় সুখের কারণ বুঝায় না, মাঝে মাঝে এটাও বুঝায় যে, আপনি কতটা বেদনা লুকাতে পারেন।”

মায়াবী রাসূল-এর মধুমাখা হাসি
আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি রাহমাতুল্লিল ‘আলামীন প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বদিক দিয়ে আমাদের জন্য সুমহান চরিত্রের সর্বোত্তম আদর্শ।
তিনি সৎগুণের আধার। সকল সৎগুণের পূর্ণতা প্রদানের জন্যেই তাঁর আগমন। তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের জন্য রেখে গেছেন সর্বোত্তম উপমা। হাসি প্রদানের ক্ষেত্রেও তাঁর আমল মুবারক আমাদের হৃদয়কে আলোড়িত করে যাচ্ছে। তাঁর হাসি অশান্ত হৃদয়ে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতো। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বেশি মুচকী হাসতে আমি আর কাউকে দেখিনি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু নিজেই মুচকি হেসে ক্ষান্ত হননি সকল উম্মতের জন্য মুচকি হাসাকে ইবাদত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। হযরত আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তুমি তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।
সাহাবাগণ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাসির প্রেমে এতই বিভোর প্রেমিক ছিলেন যে, তাঁকে হাসতে দেখে তাঁর অনুকরণে তারাও হাসতেন। হযরত উম্মু দারদাদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, হযরত আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যখনই তার সাথে কথা বলতেন তখনই তিনি হাসতেন। তিনি বলেন, আমি আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু-কে বললাম- তুমি কথায় কথায় হাসির এই অভ্যাস ত্যাগ করো; অন্যথায় লোকে তোমাকে বোকা ভাবতে শুরু করবে। এটা শুনে আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, আমি যখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কোন কথা বলতে দেখেছি বা শুনেছি, তিনি মুচকী হাসতেন। সূত্র: মুসনাদে আহমাদ, ৮/১৭১, হাদীছনং-২১৭৯১।
সাহাবী হযরত জারীর ইবনু আব্দিল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, “আমি ইসলামের ছায়াতলে আসার পর হতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষাৎ যখনই পেয়েছি তাঁকে মুচকী হাসি ছাড়া দেখিনি। সূত্র: বুখারী শরীফ, হাদীছনং-৩০৩৫; সুনানু তিরমিযী, হাদীছ নং-৩৮২১।

এজন্য মুসকী হাসি দেয়া সুন্নাত। সাধারণ হাসি যাতে সব দাঁত দৃষ্ট হয় না, তা জায়িয। আর অট্টহাসি দেয়া না-জায়িয। কেননা, প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী, “অট্টহাসি শয়তানের পক্ষ হতে আর মুচকী বা মৃদু হাসি আল্লাহর পক্ষ হতে।” সূত্র: জামিউস-সাগীর, ক্বাফ অধ্যায়, পৃ.নং-৩৮৬, হাদীছ নং- ৬১৯৬।
উম্মুল মু’মিনীন হযরত ‘আয়িশা সিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, “আমি কখনোই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে এমনভাবে হাসতে দেখিনি যাতে তাঁর মুখগহ্বর মুবারক দেখতে পাই। কারণ তিনি সবসময় মুচকী হাসি দিতেন।” সূত্র: বুখারী শরীফ- ৩/৩২৫, হাদীছ নং- ৪৮২৮।
আমাদের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো উচ্চস্বরে হাসতেন না। বরং তিনি মৃদুমধুর হাসি হাসতেন। সূত্র: আহমদ ইয়ার খান নঈমী: মির’আতুল মানাজীহ, ৪/৪২।
পৃথিবীতে সৌজন্যবোধ প্রকাশের উত্তম মাধ্যম হলো- মুচকী হাসি দিয়ে সম্ভাষণ জানানো। মুচকী হাসিকে মানবিক ভাষা বলা হয়। আর এজন্য বিখ্যাত মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েন বলেন, ‘মানবজাতির সত্যিকার মোক্ষম অস্ত্র একটিই, সেটা হলো হাসি।’
পরিশেষে বলতে চাই, হাসিমুখে কথা বলা, ভাব বিনিময় করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য। প্রাত্যহিক জীবনে চলার পথে, কাজ-কর্মে নানান মানুষের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। মুসলমান হিসেবে অপর ভাইয়ের সাথে সৌজন্যতাবোধ কেমন হওয়া উচিত, তা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশনাসহকারে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই পবিত্র খুশী-আনন্দের মাসে মুচকী হাসিই হউক আল্লাহপাক-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্তুষ্টি অর্জন ও মু’নিগণের হৃদয় জয় করার জন্য আমাদের মোক্ষম হাতিয়ার। আ‘লা হযরতের সূরে বলতে চাই-
جسکے تسکیں سے روتے ہوۓ حس پڑے
اس تبسم کی عادت پے لاکہوں سلام-
যার শান্তনাদানে ক্রন্দসীরাও হেসে কূল হারায়
সেই প্রিয় হাসির আদত তরে লাখ সালাম জানাই।

টিকা:
. সূত্র: মুুু‘জামুল আউসাত লিত-ত্বাবারানী, শরীফ, হাদীছ নং- ৬০২৬।
. সূত্র: আল-কুরআন, সূরা: তাওবাহ, আয়াত নং-৮২
. সূত্র: বুখারী শরীফ, হাদীছ নং- ৬৪৮৬
. সূত্র: মুসনাদু আহমাদ, হাদীছ নং-৮০৯৫; সুনানু ইবনি মাযাহ, হাদীছ নং-৩৪০০ ও ৪২১৭; সুনানু তিরমিযী, হাদীছ নং-২৩০৫।
. সূত্র: বুখারী শরীফ, ৩/১০৪০; মুসলিম শরীফ, ৩/১৫০৪।
. সূত্র: বুখারী শরীফ, হাদীছ নং-৬২০৩; মুসলিম শরীফ, হাদীছ নং-২১৫০।
. সূত্র: মুসলিম শরীফ, হাদীছ নং- ২৩২২, সাহীহ ইবনু হিব্বান, হাদীছ নং-৬২৫৯।
. সূত্র: তিরমিযী শরীফ, হাদীছ নং-১৯৭০।
. সূত্র: তিরমিযী শরীফ, হাদীছ নং-১৯৫৬।
. সূত্র: তাবারানী শরীফ, হাদীছ নং- ১১৭৮; মাজমাউয যাওয়ায়িদ, হাদীছ নং-১৩৭২১।
. সূত্র: আল-কুরআন, সূরা: আল-কলম, আয়াত নং-০৪।
. সূত্র: মুসনাদু আহমাদ, হাদীছ নং- ৮৯৩৯।
. সূত্র: তিরমিযী শরীফ, হাদীছ নং-৩৬৪১।
. সূত্র: তিরমিযী শরীফ, হাদীছ নং-১৯৫৬।

লেখক: প্রভাষক (আরবী), হাশিমপুর মকবুলিয়া কামিল (এম.এ.) মাদরাসা, চন্দনাইশ।

Share:

Leave Your Comment