গাউসে পাকের শানে আ’লা হযরতের পঙক্তিমালা

গাউসে পাকের শানে আ’লা হযরতের পঙক্তিমালা

কাব্যানুবাদ: হাফেজ আনিসুজ্জামান আলকাদেরী

১.
উচ্চারণ: ওয়াহ কেয়া মর্তবা আয় গাউস হ্যায় বালা তেরা,
উচেঁ উ-চুঁ কে সরোঁ সে কদম আলা তেরা
শব্দার্থ : بالا (বালা) উচুঁ مرتبة (মর্তবা) মর্যাদা سرون ব.ব, سر (সরা) শির সমূহের قدم (কদম) চরণ ।
অনুবাদ: ইয়া গাউছে আজম (রাদি) বাহ্, কী চমৎকার আপনার মর্তবা কতইনা উচুঁ, বড় বড় উচুঁ মযার্দা সম্পন্ন আউলিয়া কেরামের শির আর গর্দান সমূহের চেয়ে আপনার কদম মুবারক উঁচু, বরং তারা নিজ গর্দানোপরি তা বরণ করে নিয়েছেন।
কাব্যানুবাদ: কতই উচ্চ সে মর্তবা ওহে গাউস তোমার,
উঁচুদের উঁচু ঝুঁকে নেয় সে চরণভার।।
২.
উচ্চারণ: সর ভালা কেয়া জানে কেহ্ ক্যয়সা তেরা
আউলিয়া মলতে হ্যায়ঁ আখেঁ উসহ্ হ্যায় জলওয়া তেরা।
শব্দার্থ :سر (সর) মাথা, بهلا كيا جانى (বালা কেয়া জানে কীইবা জানবে, ملتى هيں (মলতে হ্যায়) মর্দন,মালিশ করেন। تلوا (তলওয়া) তালু, চরণ তলা।
সরল অনুবাদ: যেখানে আপনার পবিত্র চরণতালু ভক্তিভরে আউলিয়া কেরাম চোখে মালিশ করে ধন্য হল,যেখানে আপনার শির মুবারক ’র মর্তবা কী ,কেমন যে শির মুবারকের উচ্চতা বা মর্যাাদা পরিমাণ বা আন্দাজ কে কীইবা করতে পারবে?
কাব্যানুবাদ: কী তো সেই শির শাহী ,বলে কারো সাধ্য নাই,
অলিকুল চোখে সাথে চরণের ধুলি তোমার।।
৩.
উচ্চারণ: কিয়া দবে জিস পেহ হেমায়েত কা হো পানজা তেরা
শের কো খাত্বরে মে লাতা নেহী কুত্তা তেরা।
শব্দার্থ : (দবে) দাস হবে ,নত হবে, حمايت (হেমায়েত) সাহায্য করা, রক্ষা করা (পাঞ্জা) হাত, شير (শের) বাঘ, خطرة ميں لانا (খত্বরে মে লা-না) আশঙ্কার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা. গ্রাহ্য করা।
অনুবাদ: যার উপর আপনার সাহায্যের হাত রয়েছে,সে কি (শত্র“র ভয়ে) দমে যাবে, কেনইবা দমে যাবে, আপনার কুকুর তো বাঘকেও পরোয়া করে না।
কাব্যানুবাদ: সে কি দমবে ,যার শিরোদারি হাত দয়ার,
বাঘের ও নাহি যে ভয় , যে হবে কুত্তা তোমার।।
৪.
উচ্চারণ: তু হুসাইনী হাসানী কেউঁ না মুহিউদ্দীন হো
আয় হিদ্বরে মাজমারয় বাহরাইন হ্যায় চশমা তেরা।।
শব্দার্থ : حسنى حسينى (হাসানী হুসাইনী ) পিতা মাতা উভয় কুলে যিনি হাসান ও হোসাইন ইবনে আলী (রা) এর বংশধর। محى الدين (মুহিউদ্দীন) দ্বীন এর জীবনদাতা (গাইসে আজম এর লকব) حضر অপারিমেয় আধ্যাত্মিক ক্ষমতাবান অর্থে) খিদ্বর। مجمع بحرين (মাজমায়ে বাহরাইন) দুই সমুদ্রের মোহনা। (চশমা) নহর , ধারা।
অনুবাদ: আপনি (পিতৃকুলে ইমাম হাসানের রাদ্বিয়াল­াহু তা‘আলা আনহু ’র বংশধর এবং মাতৃকুলে ইমাম হোসাইন (রা)’র বংশধর,তাই) হাসানী এবং হোসাইনী , আপনি কেনই বা মুহিউদ্দীন (অর্থ্যাৎ দ্বীনে ইসলাম ’র নবজীবন সঞ্চারক) হবেন না, হে উম্মতের ’খিদ্বর’ )বা সজীবতা) ,আপনার ফয়েজ ও (হাসানী ও হোসাইনী ) উভয় ধারার মোহনা বা সংযোজন । যেখানে থেকে আমার বেলায়েতের ধারা জারী।
কাব্যানুবাদ: তুমি হোসাইনী ,হাসানী ,দ্বীনের পরানে পানি,
হে খিদ্বর দু কুল ধারা, মোহনায় উৎস তোমার।।
৫.
উচ্চারণ: কসমে দে দে কে খিলাতা হ্যায় ,প্যহন্তাা তুঝে,
পিয়ারা আল­াহ তেরা চাহনে ওয়ালা তেরা।।
শব্দার্থ: (কসমে) দোহাই ,দিব্যি,কসম, (খিলাতা) খাওয়ান,আহার করান, (প্যাহনাতা) পরিধান করাল, পোশাক পাল্টে দেন।
অনুবাদ: (আপনার ক্ষুধা তৃষ্ণায়) আপনাকে দিব্যি দিয়ে দিয়ে আহার করান, আপনারই প্রেমাষ্পদ প্রভু আপনারই প্রিয় প্রভূ আল­াহই।
কাব্যানুবাদ: তোমাকে খাওয়ান ও পরান ,করে দোহাই প্রদান,
স্বয়ং ওই আল­াহ মহান প্রিয় প্রভূ তোমার।।
৬.
উচ্চারণ: মুস্তফা কে তনে বে সায়া কা সায়া দেখা,
জিস নে দেখা মেরী জান জলওয়ায়ে যেবা তেরা।
শব্দার্থ : تن (তন) দেহাবয়ব, (বেসায়া) ছায়াবিহীন, جلوة تيرا (জলওয়া তেরা) মনোহর,রূপচ্ছ¡টা,সুন্দর দৃশ্য।
সরলঅনুবাদ: হে আমার প্রিয় ব্যক্তি,আপনি হলেন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল­াল­াহু আলাইহি ওয়াসাল­াম) ’র ছায়াহীন পবিত্র কায়ার ছায়াসদৃশ (অর্থ্যাৎ তার আদর্শের প্রতিচ্ছবি) হে গাউসে পাক, হে আমার প্রাণনাথ যে , আপনার মনোহর চোখে দেখেছে, সে যেন প্রিয় নবীর ছায়াহীন পবিত্র দেহেরই প্রতিচ্ছবি।
কাব্যানুবাদ: ওগো প্রাণ, দেখল যে জন, মনোহর তোমারই বদন,
ছায়াহীন কায়া নবীর ছায়া সেকরে দিদার।।
৭.
উচ্চারণ: ইবনে যাহŸা কো মুবারক হো আরুসে কুদরত
কাদেরী পায়ে তাসাদ্দুক মেরে দুলহা তেরা।
শব্দার্থ : (ইবনে যাহবা) ফাতেমাতনয়, (আরুস) দুলহা, আসরের মধ্যমণি। تصدق (তাসাদ্দুক) সদকা,খয়রাত।
অনুবাদ:ফাতেমা যাহরার সন্তান (অর্থ্যাৎ গাউসে পাক) কেননা তিনি ফাতেমী বংশীয়) এর কুদরতের দুলহা হওয়াকে মুবারকবাদ, হে আমার প্রতিনিধি,কাদেরীগণ যে আপনার করুণার ভিক্ষা পায়, এই মিনতি।
কাব্যানুবাদ: দুলহা যে হয়ু মুবারক যাহরা তনয়,
কাদেরীরা ও যেন পায় তোমার ভিক্ষা দয়ার।।
৮.
উচ্চারণ: কেউ না কাসেম হো ইবনে আবিল কাসেম হ্যায়,
কেউ না কাদের হো কেহ্ মুখতার হ্যায় বাবা তেরা।
শব্দার্থ : قاسم (কাসেম) বন্টনকারী, ابى القاسم (আবুল কাসেম) নবীজীর উপনাম ্قادر (কাদের) শক্তিমান। مختار (মুখতার) স্বাধীন ,ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
অনুবাদ: আপনি কাসেম (বা বন্টনকারী) কেন নন, (অর্থাৎ: নিশ্চয় আপনি নেয়ামতের বন্টনকারী) যেহেতু আবুল কাসেম উপনামধারী নবীর উপনামধারী নবীর উত্তরাধিকারী প্রিয় সন্তান। আপনি কাদের (বা ক্ষমতাবান) না হবেন কেন,কেননা আপনি যে ,ইখতিয়ার বা অনুমোদিত ক্ষমতাবান নবীর আওলাদ।
কাব্যানুবাদ: বন্টনকারী কেন নও,ইবনে আবুল কাসেম হও,
কেন কাদের না বলি,বা না শক্তির আধার।।
৯.
উচ্চারণ: নবভী মেহ্ আলভী ফসল বতুলী গুলশান
হাসানী ফুল হোসাইনী হ্যায় ম্যাহকনা তেরা।।
শব্দার্থ : (মেহ্) বৃষ্টি, فصل (ফসল) শাখা, (রূপকঅর্থে সন্তান) (মাহ্কনা) সুবাস বা খোশবু ছড়ানো)
অনুবাদ: আপনি নবুয়তের ফয়েজ রহমতের কর্তন,হযরত আলী রাদ্বিয়াল­াহু তা‘আলা আনহু’র প্রিয় সন্তান ফাতেমা বতুল বিনতে রাসুলের সজীব কাননের হাসানী ফুল এবং আপনার সুবাস প্রবাহ হোসাইনী।
কাব্যানুবাদ: নববী বর্ষার ছটা কো রে খোদাও যাহরার বেটা,
হাসানী ফুল ও হোসাইনেরই খোশবু অপার।।
১০.
উচ্চারণ: নবভী যিল­ আলভী বুর্জ ,বতুলী মানযিল
হাসানী চান্দ ,হুসাইনী হ্যায় উজালা তেরা।।
শব্দার্থ :ظل (যিল) ছায়া, برج (বুর্জ) দূর্গ ,দালান, اجالا (উজালা) দীপ্তি, আভা।
অনুবাদ: আপনি ছায়াহীন নবীর ছায়া সদৃশ (অনুগামী) আলী (রা) ’র দূর্গ, ফাতেমা রাদ্বিয়াল­াহু তা‘আলা আনহু’র মনযিলস্বরূপ। আপনি হাছানী চান্দ, আর হোসাইনী দীপ্তি।
কাব্যানুবাদ: নবীজির ছায়া আলীর দুর্গ জানি,কতুলী যেথায় স্থানী,
হাছানী চান্দ ,হোসাইনী আলো তোমার।।
১১.
উচ্চারণ: নবভী খোর আলভী কোহ্ বতুলী মা’দন
হাসানী লা’ল হুসাইনী হ্যায় তাজাল­া তেরা।।
শব্দার্থ : خور (খোর) সূর্য,كوه (কোহ্) পাহাড়্ معدن (মা’দন) খনি, لعل (লা’ল) মোতি,تجلا (তাজাল­া) কিরণ চ্ছটা।
অনুবাদ: নবভী রবির কিরণ আপনি , তেজস্বী আলীর অটল পাহাড় এবং ফাতেমারূপ খনির অমূল্য রতœ।
কাব্যানুবাদ: নবভী রবি’র গিরি আলবী, ফাতেমী এমনি খনি,
হাসানী মুক্তো ,হাসনী দ্যূতির বাহার।।
১২.
উচ্চারণ:
বাহর ও বার ,শাহর ও কুরা সাহল ও হায়ন,দ্বাশ্ত ও চেমন,
কৌন সে চক পেহ্ জহঁচতা নেহী দাওয়া তেরা।।
শব্দার্থ : بحر (বাহর) জলভাগ, بر (বার) স্থলভাগ, (শাহর) নগর, قرى (কুরা) পল­ী (সাহল) সমতল,(হাযন) উচুঁভূমি, دشب (দাশত) মরুপ্রান্তর, (চমন) বাগান, (চক) ভূখন্ড, دعوى (দাবী) ।
অনুবাদ: জলে স্থলে শহর গ্রামে ,সমতল বা পাহাড়ে মরু প্রান্তর কি সজীব কাননে,কোন ভূখন্ডে পৌছেনি আপনার আধ্যাত্মিক প্রভাব?
কাব্যানুবাদ: স্থান ,নগর,গ্রামে উঁচু নিচু মরু কি সজীব ধামে,
কোথা পৌছেঁনি সে হাত , জাহানী এই ক্ষমতার।।
১৩.
উচ্চারণ: হুসনে নিয়্যত হো খতা ফের কভী করতা হী নেহী ,
আযমায়া হ্যায় ইয়াগানাহ্ হ্যায় দোগানা তেরা।।
শব্দার্থ : حسن نيت (হুসনি নিয়্যত) সদুদ্দেশে, ازمايا (আযমায়া) পরীক্ষা করেছি, (ইয়াগানা) অনন্য, অনুপম (দাগানা) দু’রাকাত ,দ্বিগুন।
অনুবাদ: উদ্দেশ্য ভাল হলে ভুল কখনো হতে পারে না।
আমি পরীক্ষা করে দেখেছি যে, দুরাকাত নফল নামাজ পড়ে আপনার খেদমতে সওয়াব দিলে তার প্রতিদান হয় অতুলনীয়।
১৪.
উচ্চারণ: আরযে আহওয়াল কী পেয়াসোঁ মে কেয়া তাব মাগার
আ-খে আয় আবরে কারাম তাকতী হ্যায় রাস্তা তেরা।।
শব্দার্থ : عرض احوال (আরযে আহওয়াল) অবস্থার বর্ণনা। تاب ( সইবার) ক্ষমতা, ابركرم(আবরে করম) করুণার বর্ষণ।
অনুবাদ: (হে আমার মুনিব) আপনার তৃষ্ণিতের অবস্থা বর্ণনা করার ,হে করুণার বর্ষণকারী শুধু আপনার আগমন পথে দুনয়ন বিছিয়ে রেখেছি।
কাব্যানুবাদ: কীযে আকুতি দেখাব,কোথা সাধ্য বুঝাবার,
তৃষাতুর দৃষ্টি শুধু রাখিনু তোমার।।
১৫.
উচ্চারণ: মউত নযদীক গুনাহোঁ কী ত্যহেঁ মায়ল কে খোল
আ বারাস জা কেহ্ নেহা ধোলে ইয়ে পিয়াসা তেরা।।
শব্দার্থ : (ত্যহেঁ ) ¯ত‚প ميل (মায়ল) আবর্জনা, خول (খোল) আস্তরণ। برس سا جا (বারাস জা) বর্ষে যান (নেহা) øান করে।
অনুবাদ: মৃত্যু আমার নিকটবর্তী, সর্বাঙ্গে পাপের ¯ত‚প ও ময়লার আস্তরণ, (হে মুনিব) আপনার করুণার বর্ষণ দিয়ে যান, যাতে আমি করুণাস্নাত ও ধৌত হয়ে পবিত্র হতে পারি আমার তৃষ্ণিত হৃদয় ও তৃপ্ত হয় ।
কাব্যানুবাদ: কাছে মৃত্যু, দেহে ময়লার আবরণ যে গুনাহর,
দয়া ধারাতে সাফ করো সেটাও জ্বালা প্রেমতৃষ্ণার।।

১৬.
উচ্চারণ: আ-ব আমদ উঅহ্ কাহে আওর ম্যায়ঁ তায়াম্মুম বরখাস্ত
মুশতে খাক আপনি হো আওর নূর কা আহলা তেরা।।
শব্দার্থ : اب (আব) পানি,برخاست (বরখাস্ত) উঠে গেছে,সরে গেছে। مست خاك (মুশতে খাক) মাটির মুষ্টি।
অনুবাদ: তিনি বলেন পানি এসে গেছে আর আমি বলি তায়াম্মুমের পালা শেষ। আমার এক মুষ্টি, মুঠো মাঠির জন্য আপনার নূরের এ কৃপা দৃষ্টি যথেষ্ট।
কাব্যানুবাদ: শুধালেন এল পানি,তায়াম্মুম শেষ তো জানি,
মাঠির এ মুষ্ঠি পরে ডেড় যে নূরী কৃপা তোমার।।
১৭.
উচ্চারণ: জ্না তু জা-তে হী জায়েগাঁ কিয়ামত ইয়ে হ্যায়,
কে ইয়েহা মরনে পেহ্ টেহরা হ্যায় নাযারা তেরা।।
শব্দার্থ : قيامت (কিয়ামত) মহাপ্রলয়, সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা। (ট্যাহরা) স্থগিত বা থেমে আছে। (নাযারাহ) দৃশ্য, দর্শন।
অনুবাদ: আমার (মৃত্যুর মুহুর্তে) জান তো বেরিয়ে যাবেই, কিন্তু কঠিনতম অবস্থা তো এটাই যে, এখানে মৃত্যুর সাথে আপনার দর্শন লাভের বিষয়টি স্থগিত হয়ে আছে। (অর্থ্যাৎ: মৃত্যু যন্ত্রনার চাইতে দর্শনলাভের অপেক্ষা যে আরো কঠিনতর)
কাব্যানুবাদ: বেরিয়েই যাবে তো প্রাণ, কিন্তু জ্বালার কবে অবসান,
মরণের আগে কেন হয়না গো দরশন তোমার।।
১৮.
উচ্চারণ: তুঝ সে দর দর সে সাগ , সগ সে হ্যায় মুঝকো নিসবত
মেরী গর্দন মে ভী হ্যায় দওর কা ডোরা তেরা।।
শব্দার্থ : در (দর) দরজা, (সগ) কুকুর, (নিসবত) সম্পর্ক, (দওর) ঘোড়া ফেরা, প্রদক্ষিনে, (ডোরা) ডোরা, ব্লেট।
অনুবাদ: আপনার সাথে দরজার সম্পর্ক, সেই দরজার সাথে (পাহারারত) কুকুরের সম্পর্কে, আর সেই কুকুরের সাথেই আমার সম্পর্ক। আমার গর্দানেও যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরার (অনুমতিসূচক) বেল্টটি পরানো থাকে।
কাব্যানুবাদ: যে দ্বারে সম্পর্ক তোমার, সেটি পায় ও কুকুর পাহারার,
তারই ন্যায় দিও বেড়ি এ গলায় মালিক আমার।।
১৯.
উচ্চারণ: উস নিশানী কে জু সগ হ্যায় নেহী মারে জাতে হেঁ,
হাশর তক মেরে গলে মে রহে পাট্টা তেরা।।
শব্দার্থ : (নিশানি ) চিহ্ণ (পাট্টা) বেল্ট,
অনুবাদ: আপনার গোলামীর বেল্ট যে কুকুরের গলায় থাকবে,তাকে কেউ মারতে পারবেনা, আমার এ প্রত্যাশা যে, আপনার গোলামীর পাট্টা যেন হাশর দিবস পর্যন্ত আমার গলায় থাকে।
কাব্যানুবাদ: যে কুকুরেই গলে, গোলামীর বেড়ি সে ঝুলে,
আখেরে রয় যেন এ গলে সে পাট্টা তোমার।।
২০.
উচ্চারণ: মেরে কিসমত কি কসম খায়ে সগানে বাগদাদ,
হিন্দ মে ভী হোঁ তু দেতা রহোঁ প্যহরা তেরা।।
শব্দার্থ : (কসম খায়ে) দোহাই দেয়, (কিসমত) ভাগ্য, কপাল, (হিন্দ) ভারত, হিন্দুস্থান, (নিজ জন্মভূমির প্রতি ইঙ্গিত) (প্যহরা) পাহারা।
অনুবাদ: বাগদাদের কুকুর (অর্থ্যাৎ : আপনার গুণগ্রাহী) আমার ভাগ্যের দোহাই মানে কেননা, আমি সুদূর ভারতে বসেও আপনার মর্যাদার দুয়ার পাহাড়ায়রত কুকুরে গণ্য হতে পেরেছি।
কাব্যানুবাদ: মাগে দোহাই কপালের কুকুর ও বাগদাদ শহরের
হিন্দে থেকেও দেই পাহারা তব শাহী দুয়ার।।
২১.
উচ্চারণ: তেরে ইয্যত কি নেসার আয় মেরে গায়রাত ওয়ালে
আহ্ সদ আহ্ কেহ্ ইউঁ খার হোঁ বরদা তেরা।।
শব্দার্থ: (নেসার) উৎসর্গিত, কুরবান, (গাইরাত ওয়ালে) লজ্জাশীল, আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন, (আহ সদ আহ) হায় আফসোস, (খার) লাঞ্চিত (বোরদা) গোলাম, বন্দী।
অনুবাদ: আপনার মর্যাাদর জন্য আমি নিবেদিত, হে আমার আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন
কাব্যানুবাদ: তব ইযযতে দি প্রাণ, হে মালিক ওগো মর্যাদাবান,
শত আফসোস, কেন লাঞ্চনা এ ভাগ্যে আমার।।
২২.
উচ্চারণ: বদ সহী , চোর সহী মুজরিম না কারাহ সহী,
এ্যায় উঅহ ক্যয়সা হী সহী হ্যায় তু করীমা তেরা।।
শব্দার্থ : (বদ সহী) মন্দ হোক,(না কারাহ) বেকার, নিষ্কর্ম, (করীমা) হে দয়াবান।
অনুবাদ: আমি বদ হতে পারি, চোর বা পাপী কিংবা হতে পারি নিষ্কর্মা, অপদার্থ যাই হই না কেন, কিন্তু আমি তো হে দয়াবান আপনারই সম্পর্কে সম্পর্কিত।
কাব্যানুবাদ: পাপী, বদ, অকেজো, আমি হই না যা কিছু,
হে দয়াবান মালিক, আমি তোমারই, তোমার।।
২৩
উচ্চারণ: মুঝকো ভী আগর কোঈ কহে গা তু ইউহীঁ,
কেহ্ ওয়াহী না দাহ রেযা বান্দা রুসওয়া তেরা।।
শব্দার্থ : (রুসওয়া) অপমানিত, (নাদাহ) বিপদগ্রস্ত, হিংসুক, (বান্দাহ) গোলাম।
অনুবাদ: আমাকে কেউ যদি হেয় করতে চায় তো এটাই বলবে যে এতো ওই রেযা যে বিপদগ্রস্ত, হে গাউস, আপনারই লাঞ্ছিত নিকৃষ্ট এক গোলাম, (তবে আমার দূর্নাম যে আপনার মর্যাদাকে স্পর্শ করবে। কারণ আমি গোলাম আপনারই)
কাব্যানুবাদ: যদি কেউ করে দূর্নাম, ইতর এ নীচ গোলাম
পরিচয় শুধু তোমার, রেযা যে বান্দাহ তোমার।।
২৪.
উচ্চারণ: হ্যায় রেযা ইউ না বলক তু নেহী জায়্যেদ তু না হো,
সায়্যিদে জায়্যেদ হার গাহর হ্যায় মওলা তেরা।।
শব্দার্থ : (ঝলক)- অস্থির,বিচলিত হয়ে চিৎকার করে ক্রন্দন করা। (জায়্যেদ ) অতি উত্তম, (দাহর) যুগ, যমানা।
অনুবাদ: হে রেযা (স্বগত) বিচলিত হয়ে এমন চেঁচিয়ে ক্রন্দন করো না, তুমি অতিযোগ্য ও উত্তম না হলেও তোমার প্রিয় মুনিব (গাউছে পাক) যে প্রতি যুগেই অতি উত্তম সায়্যিদযাদা, নবীবংশ, (তবে তুমি কেন নিরাশ হয়ে পড়বে।)
কাব্যানুবাদ: কান্নাতে কেন কেঁদে যে ব্যাকুল, রেযা নও নিজে অতুল,
যুগ শ্রেষ্ঠ মুনিব, আলে নবী তিনি নারী সবার।
২৫.
উচ্চারণ: ফখরে আকা মে রেযা আওর ভী ইক নযমে রফী,
চল লিখা লায়েঁ সানাখানো মে চ্যহরা তেরা।।
শব্দার্থ : (ফখর) গৌরব, মর্যাদা, (নযমে রফী), উত্তম প্রশান্তি,(সানা খানো) প্রশংসাকারী।
অনুবাদ: মুনিবের মর্যাদাগাথায় আরো একট্ িউত্তম কাব্য পঙক্তি লিখে নিই চলো, যাতে তার প্রশংসাকারীদের মধ্যে তোমার নাম ও উঠে যায়, তুমি তাঁর প্রশংসা কারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারো।
কাব্যানুবাদ: মুনিবের যশ:যিকির, রেযা গাও আরো উচুঁ রীতির,
লিখে হও গো তাদের, যারা গায় তারও গুণ বেশুমার।।

Share:

Leave Your Comment