![মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য](https://www.anjumantrust.org/wp-content/uploads/2023/08/02.-Safar.jpg)
মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য
মুফ্তি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আল-কাদেরী<>
মহাগ্রন্থ ক্বোরআনুল কারীম সকল কিতাবের মূল ও সমস্ত জ্ঞানের প্রাণস্বরূপ। ক্বোরআনের শিক্ষা ও পরিচিতি হাদীসের মাধ্যমে জানা যায়। তাই ক্বোরআনকে বুঝা ও চেনার জন্য পবিত্র হাদীস সম্পর্কে অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। হাদীস ব্যতীত ক্বোরআনের ব্যাখ্যা অসম্ভব। আর হাদীস সমূহের রয়েছে এক বিশাল ভান্ডার। হাদীসগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রতœ বের করে আনা রতœকারদের মানায়। এ কাজ তাঁদের, যাঁদেরকে আল্লাহ্ তা’আলা ইজতিহাদের সামর্থ্য ও অন্তর্দৃষ্টি দান করেছেন। আর ইজতিহাদের অধিকারী ব্যক্তিরা মুজতাহিদ ও ফকীহ এবং তাঁদের গবেষণাকৃত ক্বোরআন-হাদিসের নির্যাস হল ইলমে ফিক্হ ।
পৃথিবীতে যে হাজারো রকমের বৃক্ষ-তরুলতা রয়েছে, সেগুলোর গুণ আবিষ্কার, উপাদানগুলোকে পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করা, সেগুলোকে মিশ্রিত রূপদান করা, রোগ নিরূপণ করা, রোগীর জন্য ঔষধ নির্বাচন করা যেমন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা হেকিমের কাজ, তেমনি করে ক্বোরআন-সুন্নাহর যথার্থ মর্ম ও উদ্দেশ্য অনুধাবন করে মুসলিম উম্মাহর জন্য সমাধানকৃত সঠিক পথ ও মত নির্ণয় করা ওলামায়ে মুজতাহিদ্বীনের কাজ। এ কাজে সর্বাগ্রে রয়েছেন মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী, অনির্বাণ প্রদীপ, সারা বিশ্বে দ্বীনের আলো বিতরণকারী, অন্ধকারে নিমজ্জিত জনতার পথের দিশারী, অসাধারণ ধর্মীয় প্রতিভার নির্মল ও মনোমুগ্ধকর গুনাবলীর অধিকারী, ফিকহ শাস্ত্রের রূপকার, বিদগ্ধ পন্ডিত, মুসলিম জাহানের সর্বমান্য ইমাম, আল্লাহর মনোনীত ইসলাম রূপে পবিত্র বাগানকে ফুলে-ফলে সুশোভিতকারী, বিশ্ববরেণ্য ও সমাদৃত আলেমে দ্বীন ইমাম আ’যম আবূ হানিফা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু।
সাম্প্রতিক কালে মাযহাব বিরোধী তথাকথিত আহলে হাদিস নামে কিছু লোক দ্বীন প্রচারের দাবী ও সহীহ হাদীসের দোহাই দিয়ে সাদাসিধে সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার নিমিত্তে আইম্মায়ে মুজতাহিদ্বীন, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন, বুজুর্গানে দ্বীন, হক্বপন্থি ওলামায়ে কেরাম, এমনকি সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারেও খারাপ ধারণা পোষণ ও প্রচার করে চলেছে। বিশেষ করে যাঁর মাযহাব অনুসরণ করে কোটি কোটি মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছে, সে বিশ্বখ্যাত ইমাম আবূ হানিফার শানে যে বিরূপ মন্তব্য ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ উচ্চারণ এবং তাঁর নাম শুনলে তাদের যে গাত্রদাহ হয়, তা যে অমার্জনীয় ধৃষ্টতা তাতে সন্দেহ নেই। পৃথিবীর কোটি-কোটি মুসলিম জনতা কেন ইমাম আ’যমের অনুসারি এ বিষয়টি তাদের বড়ই কষ্টের কারণ। তারা তাদের হিংসার আগুনে জ্বলে মরুক। এটা মাযহাবে হানাফীর ওপর খোদায়ী বিশেষ দান। হিংসুকদের কিছু করার নেই।
আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের দাবী কোন ইমামের তাক্বলীদ বা অনুসরণ করা বৈধ নয়। আসলে এটা তাদের মুখের বুলি মাত্র, বাস্তবচিত্র উল্টো, তাক্বলীদ থেকে পালানোর সুযোগ নেই। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে স্বভাবজাতভাবে মুকাল্লিদ বা অনুসরণকারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, ব্যক্তিগত, আর্থ-সামাজিক, ভৌগোলিক সর্বক্ষেত্রে তাকে দেখা যায় অনুকরণকারী হিসেবে। এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির, এক দল আরেক দলের, এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের অনুসরণ করেই চলেছে। প্রায়শঃ আমরা পরস্পর সকলে একে অপরের কাছ থেকে শিখে থাকি। জীবনে শিখতে গেলে অনুসরণ করতে হবে। এটাইতো তাকলীদ, তাকলীদ একটি বাস্তবতার নাম। একে এড়িয়ে জীবন-যাপন করা অসম্ভব। প্রত্যেক ঘরে ঘরে রয়েছে মুকাল্লিদের বসবাস, যে শিশু এখনো মাদ্রাসা বা স্কুল দেখেনি, সে শিশু মাতা-পিতা ও নিকটবর্তী লোকদের অনুসরণ করে। একজন মুসল্লী ব্যক্তি মসজিদের ইমামের কথাকে মান্য ও অনুসরণ করে। আর এই বাস্তবতার নাম তাকলীদ । যা লা-মাযহাবীদের বোধগম্য হয় না। ক্বোরআন মজিদ ও হাদীস শরীফ প্রত্যেকে নিজে নিজে সঠিকভাবে বুঝে আমল করা সম্ভবপর নয়, তাই মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করে আহলে হাদীসের লোকেরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বলে বেড়ায়, ফিকাহ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র হাদীস, বিশেষ করে ইমাম বুখারীর রচিত বুখারী শরীফের ওপর আমল করতে হবে। মনে রাখা দরকার, বুখারী শরীফের প্রণেতা ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র সংকলিত হাদীসের উপর আমল করার অর্থ ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র মাযহাবকে মানা, কারণ শুধুমাত্র সহীহ্ হাদীস সংকলন করা ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এর মূল উদ্দেশ্য ছিলনা, বরং নিজ ইজতিহাদকৃত মাসআলাকে প্রমাণ করাই তাঁর লক্ষ্য- উদ্দেশ্য ছিল। কাজেই যারা পদে পদে বুখারী শরীফের নাম উচ্চারণ করে স্বস্থি বোধ করে, তারা মূলত ইমাম বুখারীর ইজতিহাদকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে ইমাম বুখারীর মাযহাবকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে।
স্মরণ থাকা জরুরী বুখারী শরীফ তথা হাদীসের কিতাব মানা মানে মাযহাব মানা। উল্লেখ্য যে, অনেক নির্ভরযোগ্য ওলামায়ে কেরামের মতে ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ছিলেন শাফে‘ঈ মাযহাবের অনুসারী। যার জন্য বুখারী শরীফে সংকলিত হাদীস শরীফ ও পরিচ্ছেদে বর্ণিত শিরোনাম শাফে‘ঈ মাযহাবের দলিলের সহায়ক। পূর্বোল্লিখিত বর্ণনা অনুযায়ী তথাকথিত আহলে হাদীস ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এর মাধ্যমে শাফে‘ঈ মাযহাবের খালেস মুকাল্লিদ। মাযহাব মান্য করা হাজার বার শিরিক বললেও কার্যত তাদেরও এর বাইরে থাকার সুযোগ নেই মোটেই। এটাই একশ ভাগ সত্য কথা। আর আহলে হাদিস শাফে‘ঈ মাযহাবকে মানতে যদি সমস্যা না হয় তাহলে অন্যান্য মুসলিম জনতা হানাফী মাযহাবকে মানতে অসুবিধা কোথায়?
‘ইমাম আ’যম আবূ হানিফা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু শরীয়তের বিধি-বিধান, মাসলা-মাসায়েল সাব্যস্ত করেছেন জয়ীফ হাদীস থেকে আর ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি সহীহ্ হাদীস থেকে বর্ণনা করেছেন।’ এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলে আহলে হাদীস নামধারীরা সরলমনা মুসলমানদেরকে প্রতি মুহুর্তে বিভ্রান্ত করে চলেছে। লক্ষ্যণীয় যে, হাদীসের মূল অংশকে মতন এবং মতন এর বর্ণনা সূত্রকে সনদ বলা হয়। মূলত: সনদের কারণে হাদীসকে সহীহ বা জয়ীফ বলা হয়। ইমাম আ’যমের অনেক পরবর্তী সময়ের মুহাদ্দিস হলেন ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ।
সুতরাং যে হাদীসটি ইমাম আবূ হানিফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট সহীহ সূত্রে এসেছে। ইমাম আ’যমের পরের সময় থেকে ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি পর্যন্ত মধ্যখানে কোন দুর্বল রাবীর কারণে একই হাদীস ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এর কাছে জয়ীফ সনদে আসতে পারে। অতএব ইমাম আবূ হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এর গ্রহণকৃত সহীহ হাদীসকে ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি জয়ীফ বললে এতে আমলের কোন অসুবিধা নেই, বরং বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছাড়া সহীহ হাদিসের ওপর আমল হয়। এ সত্য ও বাস্তব বিষয়টিকে আড়াল করে আহলে হাদীস একদিকে ইমাম আ’যমের শানে বিষোদগারে লিপ্ত, অন্যদিকে সাধারণ জনতাকে মাযহাব ত্যাগ করে গোমরাহীর বেড়াজালে আবদ্ধ করার কাজে তৎপর। ইজতিহাদ-কিয়াস করার বিষয়টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক অনুমোদিত ও মিমাংসিত। এর পরও ইমাম আ’যমের ওপর ঘোর আপত্তি আহলে হাদীসের, ইমাম আ’যম ইজতিহাদ করে কোন সময় যাহির হাদীসের বিপরীত মাস্আলা প্রদান করেছেন। তাই ইমাম আ’যমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে একমাত্র ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলায়হি-এর আশ্রয় গ্রহণ করেছে লা-মাযহাবী আহলে হাদীস। ইমাম বুখারীর আশ্রয় নিয়ে লাভ নেই। কারণ ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি নিজে হাদীস বর্ণনা করে কখনো কোন ক্ষেত্রে বর্ণিত হাদীসের প্রকাশ্য মাসআলা প্রদান না করে ইজতিহাদ করে যাহির হাদীসের বিপরীত আমল উল্লেখ করেন। যেমন বুখারী শরীফের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ রয়েছে “ক্বালা আবু আবদুল্লাহ” (ইমাম বুখারী বলেছেন) এর দ্বারা উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীর গবেষণালব্ধ মতামতের প্রতিফলন ঘটানো। ইমাম বুখারীর ইজতিহাদকৃত মাসআলার ওপর আমল করে লা-মাযহাবী লোকেরা নিজেদেরকে হাদীসের ওপর আমলকারী আহলে হাদীস দাবী করা কতটুকু সত্য, একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা দরকার।
নিশ্চয় সকলের জানা আছে, ইসলাম ধীরে ধীরে প্রচার ও প্রসার বিস্তার লাভ করেছে একদিনে নয়। যে বস্তু পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি লাভ করে বিভিন্ন অবস্থায় তার রূপ ভিন্ন হতে চলে। এজন্য একই আমলের ক্ষেত্রে এমন একাধিক হাদীস পাওয়া যায়, যে গুলোতে পরস্পর বৈপরীত্য পরিলক্ষিত হয়।
এমতাবস্থায় ইমাম আ’যম সবদিক বিবেচনা করে এমন হাদীসটি গ্রহণ করতেন, যা নবীজীর শেষ আমলের দিকে ইঙ্গিত বহন করে। আর এটাই ছিল সমাধানের সর্বোত্তম পদ্ধতি ও নীতিমালা। যেমন নামাযে হাত উঠানো তথা নামাযের মধ্যে রুকুতে যাওয়ার সময়, রুকু থেকে উঠার সময়, সাজদায় যাওয়ার সময়, সাজদা থেকে উঠার সময় রফয়ে ইয়াদাইন বা দুই হাত উত্তোলন করা, যেটা নবীজী প্রথম দিকে কোন হেকমতের কারণে করেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূল সাল্লাল্লহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এটা বর্জন করেছেন এবং সর্বশেষ আমলটি ছিল রফয়ে ইয়াদাইন (হাত উত্তোলন) ছেড়ে দেওয়া। উম্মতের জন্য উচিত নবীজীর পরবর্তী কাজের ওপর আমল করা, যা শরীয়তের ভাষায় পূর্ববর্তী আমল মানসুখ (রহিত) আর পরবর্তী আমল নাসিখ (রহিতকারী) পর্যায়ে হয়ে থাকে। অতএব রফয়ে ইয়াদাইনের বিষয়টি মানসুখের অন্তর্ভূক্ত যা আমলযোগ্য নয়। তাই নামাযে রফয়ে ইয়াদাইন বর্জন করা ইমাম আ’যমের যে ফায়সালা তা সম্পূর্ণ সঠিক। আর মানসুখ ও সঠিক আমল নয় এমন রফয়ে ইয়াদাইনের ওপর আমলকারী তথাকথিত আহলে হাদীস গর্ব করে বলে থাকে “যারা রফয়ে ইয়াদাইন করে না তাদের নামায শুদ্ধ হবেনা।” দিনকে রাত বলা আর রাতকে দিন বলা যেমন অসত্য, তেমনি আহলে হাদীসের এ বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বাস্তবতা বর্জিত ।
বর্তমানে সত্যিকার ইমানদার মুসলমান আক্বীদা ও মাযহাবগত দুটো বিষয়ে আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত দ্বারা ঘেরাও কৃত। যার একমাত্র উদ্দেশ্য আমাদের দৃষ্টিতে আমরা পরস্পর হেয়প্রতিপন্ন হয়ে পশ্চাৎপদ হয়ে ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করতে না পারি। কখনো কুরআনের ওপর-জোর দিয়ে তাফসীরের বিশাল ভান্ডারকে অস্বীকার করা হচ্ছে। কখনো মুহাদ্দিসগণের ওপর আপত্তি তুলে, যাতে মুহাদ্দিস ও হাদীসের মূল্যবান সম্পদ সংশয়যুক্ত হয়ে পড়ে। কখনো ইজতিহাদ ও কিয়াসের ওপর অভিযোগ করে, যাতে মুজতাহিদ্বীন ও ফিকাহর সমস্ত পুঁজি মূল্যহীন হয়ে যায়। কখনো নবীজীকে সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসে। যাতে সীরাত সংশ্লিষ্ট পুরো ধন ভান্ডার মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এমনি করে কখনো আউলিয়া কেরামের বিরুদ্ধে, কখনো হকপন্থি ওলামায়ে কেরামের বিপক্ষে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করে যাতে তাঁদের ব্যক্তিত্ব, লেখা ও প্রচেষ্টা মাটিতে মিশে যায়।
আন্তর্জাতিকভাবে মুসলমানের সঠিক আক্বিদা ও মাযহাব বিশেষ করে হানাফী মাযহাবকে ধ্বংস করার নিমিত্তে ইহুদী- নাসারাগণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তথাকথিত ইখওয়ানুল মুসলেমীন আহলে হাদিস সম্প্রদায়কে, যারা প্রতি মুহুর্তে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সরলমনা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করছে। সুতরাং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের ঈমান আক্বীদা ও আমল এবং মাযহাবকে রক্ষা করার তাগিদে সকল সুন্নী দায়িত্বশীল পীর মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম ঐক্যের ভিত্তিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লা-মাযহাবীদের (আহলে হাদীস) মোকাবেলা করা অনিবার্য, সময়ের দাবী। অন্যথায় সুন্নী জনতার অস্তিত্ব নিয়ে কল্পনা করা কঠিন হবে।
লেখক: প্রধান ফকিহ্, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা, ঢাকা।