ইলমে লাদুনীর স্মারক : খাজা চৌহরভীর মজমুআয়ে সালাওয়াতে রাসূল

ইলমে লাদুনীর স্মারক : খাজা চৌহরভীর মজমুআয়ে সালাওয়াতে রাসূল

আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুজ্জমান>

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন সর্বশক্তিমান প্রভু, সমগ্র সৃষ্টি জগতের মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ তা‘আলার সৃষ্টি বৈচিত্র অতি ব্যাপক। জলে-স্থলে, বনে-বাদাড়ে, আকাশে-পাতালে, জানা-অজানা, কত যে সৃষ্টি তাঁর। কিন্তু আকার-প্রকারে মানুষ তেমন বিশাল দেহী নয়; অথচ সৃষ্টির সেরা, আশরাফুল মাখলুকাত তিনি মানুষকেই বানিয়েছেন। তিনি সৃষ্টি জগতে তাঁর খেলাফত বা প্রতিনিধিত্ব মানুষকেই দান করেছেন। মানব সৃষ্টির আগেই আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর খেলাফতের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তাঁর ফরমান- واذ قال ربّك للملائكة انى جاعل فى الارض خليفة
অর্থাৎ ‘‘স্মরণ করুন, সেই সময়ের কথা, যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে আমার খলিফা বানাতে যাচ্ছি।’’ [সূরা বাক্বারা, আয়াত-৩০]

এরপর তিনি হযরত আদম আলায়হিস সালামকে সকল বস্তু সামগ্রীর নাম শেখালেন। যেগুলোর নাম বলতে ফেরেশতারা অপারগতা জানালো, আল্লাহ্র নির্দেশে হযরত আদম আলায়হিস সালাম সেগুলোর নাম বলে দিলেন। এখানে একাধিক বিষয় সুস্পষ্ট হল। যেমন, খেলাফত, এর জন্য ইলমের অপরিহার্যতা, আর সেই ইলমের প্রমাণ দেওয়া, যেখানে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হলেন হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম, আবার সেই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে তিনি যোগ্যতারও প্রমাণ দিলেন। এভাবে খেলাফতে রাব্বানীর জন্য যোগ্য প্রমাণিত হয়ে অভিষিক্ত হলেন।

জাগতিক জীবনে মানুষ বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হতে প্রথমে যোগ্যতার প্রমাণ দেয়। সঙ্গত কারণে মানুষকে নিজ নিজ অবস্থানে দক্ষতা, যোগ্যতা প্রমাণের জন্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। যোগ্যতার জন্য জ্ঞান প্রমাণ করতে হয়। যেমন হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম করেছিলেন। জাগতিক জীবনে ইলম, জ্ঞান, যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এজন্য ক্রমে প্রতিষ্ঠানাদি গড়ে উঠেছে জ্ঞান আহরণের। রপ্ত করা, শিখে নেয়া, অর্জন করা জ্ঞান যেমন জগৎ সংসারে স্বীকৃত, তেমনি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত জ্ঞানও সবার কাছে স্বীকৃত। এ জ্ঞান রপ্ত করার দু’টি ধারা: ১. অর্জিত ও ২. প্রাপ্ত। অথবা অর্জিত ও খোদাপ্রদত্ত। পরিভাষা ভেদে كسبى الدنى ও اعطائى । আবার এ বিষয়টিও প্রমাণিত যে, অর্জিত জ্ঞান সীমায়িত; কিন্তু খোদা প্রদত্ত জ্ঞান অপরিসীম। অর্জিত জ্ঞানে ইয়াক্বীন বা নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু খোদা প্রদত্ত জ্ঞানে ইয়াক্বীন আছে।

পৃথিবীতে একজন অতুলনীয় মহা মনিষীর শ্রেষ্ঠত্ব সর্বকালে স্বীকৃত, অমুসলিমরা যা স্বীকার করতে নিরূপায় হয়েছে, তিনি হলেন সর্বকালের, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, তিনি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম। তাঁকে স্বয়ং আল্লাহ্ তা‘আলা শিক্ষা দিয়েছেন। যেখানে বিকৃতিরও আশঙ্কা নেই। আল্লাহ্র ফরমান سنقرأك فلا تنسى অর্থাৎ ‘‘আমিই আপনাকে শেখাবো, ফলত: আপনি বিস্মৃত হবেন না।’’ কোন মরমী কবি যথার্থই বলেছেন-
‘‘ছাত্র তিনি আল্লাহ্ তা‘আলার, নয়তো কোন মাখলুকের,
বরং সবাই ছাত্র তাঁহার, মর্যাদা তাঁর শিক্ষকের।’’

মানুষের শিক্ষা অর্জন, জ্ঞান অর্জন দু’প্রক্রিয়ায়। জাগতিক শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’র মাধ্যমে, নয়তো আল্লাহ্ তা‘আলার তত্ত্বাবধানে। এই পর্যন্ত আলোচনার সারবত্তা হল, কিছু বান্দা সরাসরি আল্লাহ্র প্রদত্ত জ্ঞানে জ্ঞানী হন, বাকী শ্রেণী অর্জন প্রক্রিয়ায়। আমাদের তরীকতের সিলসিলায়ও এমন এক মহান শায়খ রয়েছেন, যিনি আলেমে ইলমে লাদুনী, আল্লাহ্র শিষ্যত্ব পেয়ে এ জগতে এক ভিন্ন মাত্রা এনেছেন। তিনি হলেন, খাজায়ে খাজেগান, খলিফায়ে শাহে জীলান, কুতূবে আলম, গাওসে দাওরান, ঐশী জ্ঞানের গুপ্ত ভন্ডার, বিশ্বের বিস্ময় খাজা আবদুর রহমান চৌহ্রভী, খিদ্বরী আলভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু।

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের অন্তর্গত এবোটাবাদ জেলার হরিপুরস্থ চৌহর শরীফের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে মোতাবেক ১২৬২ হিজরী সনে ক্ষণজন্মা এ আধ্যাত্মিক মহাপুরুষের জন্ম হয়। পিতা খাজা ফকীর মুহাম্মদও ছিলেন এক মহান আধ্যাত্মিক সিদ্ধ পুরুষ। যিনি সরাসরি হযরত খিদ্বর (আলায়হিস্ সালাম)’র দর্শন লাভ করায় সর্ব মহলে ‘খিদ্বরী’ নামে সমাদৃত ছিলেন। তাঁর পবিত্র বংশধারা শেরে খোদা মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র বংশধারায় মিলিত হওয়ায় ‘আলভী’, ‘খিদ্বরী’ পিতার সন্তান হিসেবে নিজেও ‘খিদ্বরী’, তরীকতে তিনি ‘কাদেরী’, মাযহাবে হানাফী আর চৌহর শরীফে জন্মস্থান হওয়ায় ‘খাজা চৌহরভী’ নামে সমাদৃত। পিতার ওফাতের পর শুরু হয় তাঁর প্রাণান্ত রিয়াযত তথা আধ্যাত্মিক সাধনা। পর্যায়ক্রমে চিল্লাকশীও করেন। সে সময় পাশে রাখা পাত্রে রোজ রক্ত বমি করাও শুরু করেন। এতে প্রবৃত্তিগত অশুচি ও দৈহিক স্থূলতা হ্রাস পেতে থাকে। এ সাধনায় ব্রতী হল বাল্যকালে। তার পর আধ্যাত্মিক গুরুর সন্ধানে বের হন। সোয়াত নামক স্থানে এসে সাক্ষাৎ হয় মাওলানা আখুন্দ আবদুল গফুর ক্বাদেরী (১৭৭০-১৮৭৭)’র। তিনি ‘আখুন শাহ্’ নামে ব্যাপক পরিচিত। এখানে থাকত প্রচন্ড ভিড়। যার কারণে একবার ফিরে আসতে চাইলে আখুন শাহ্ নিজে তাঁকে ডেকে নেন। তাওয়াজ্জুহ্ (দিব্য দৃষ্টি) দেয়ার পর জিজ্ঞেস করলেন, কী দেখতে পাচ্ছেন? জানালেন, ‘নিজ চিল্লা ঘরটাই।’ তখন বলা হল, আপনার কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই, স্বীয় মুর্শিদ নিজেই এসে আপনাকে বাইআত করবেন। এর কিছুদিন পর কাশ্মির’র মহান আধ্যাত্ম-সাধক হযরত ইয়াকুব শাহ্ গিনছাতরী নিজে এসে তাঁকে খুঁজে নিয়ে বাইআত করালেন। তাঁর নির্দেশনায় খেলাফত গ্রহণের পর তিনি বেলায়ত ও গাওসিয়তের উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন সুন্নতে রাসূলের পূর্ণ পাবন্দ। রেওয়ায়েতে জেনে নিজ হাতে মসজিদের চাটাই সেলাই করার সুন্নাত আদায় করেন। প্রচার বিমুখ এ সাধক ‘কাশফ’ ও জাগতিক চাহিদা পূরণের ইচ্ছা বর্জন করেন। তথাপিও আল্লাহ্র ইচ্ছায় তাঁর জীবনে অনেক কারামত প্রকাশ পেয়ে যায়। যেমন, হজ্ব পালনকালে একজন আলেমের অবস্থা পরিবর্তন ঘটানো, একজন অতি ঘুমকাতর লোকের ঘুম গাছের নিকট গচ্ছিত রেখে মদীনা শরীফের জনা কয়েক ব্যক্তির উপহার বস্তু পৌঁছানোর দায়িত্ব সম্পাদন, যমানার গাওস সম্পর্কে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে বাড়ীর সামনে তুঁত গাছকে ইশারা করায় তা শেকড় সমেত ঁেহটে এসে তাঁরই দিকে এগিয়ে আসা, ইত্যাকার ঘটনার মত অগণিত কারামত তাঁর কাছ থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর কারামাতের স্মারক চৌহর শরীফের জান্নাতী গলির নাম এখনো লোকমুখে শ্রুত হয়। তবে স্বভাব গাম্ভীর্যের দরুণ জযবা-জালালিয়ত থেকে তাঁর বেলায়তে রবুবিয়ত ও রহমানিয়ত’র প্রভাব অধিকতর দেখা যেত। আল্লাহ্র ইচ্ছায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন ছাড়াই ইলমে লদুনী প্রাপ্ত হলেও ইলমে দ্বীনের প্রসারে নিজ উদ্যোগে দ্বীনি বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠায় সাফল্য প্রদর্শন করেছেন। ১৩২৮ হিজরী সনে হরিপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মাদরাসায়ে ইসলামিয়া মুহাম্মদিয়া। যা বর্তমানে ‘দারুল উলুম ইসলামিয়া রহমানিয়া’ নামে খ্যাত।

সর্বোপরি বিশ্বজুড়ে অগণিত জ্ঞানপিপাসুর জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাতে তিনি খুলে দিয়েছেন জগৎ জোড়া এক অনন্য গবেষণাগার, যার নাম ‘মজমু‘আয়ে সালাওয়াতে রাসূল শরীফ।’ যেথায় গবেষণা চলতে থাকবে অনন্তকাল। এর ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করে শেষ হবে লেখাটি।
পবিত্র এ মহাগ্রন্থটির শিরোনাম- محير العقول فى بيان اوصاف عقل العقول المسمى بمجموعة صلواة الرسول صلى الله عليه وسلم فى صلواته وسلامه-
উচ্চারণ: মুহায়্যিরুল উকুল ফী বায়ানে আওসফে আক্বলিল উকুল আলমুসাম্মা বিমজমুআতি সালাওয়া-তির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামা ফী সালা-তিহী ওয়া সালা-মিহী।
গ্রন্থটির নামের পূর্ণাঙ্গ অর্থ হল, ‘‘প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র যাবতীয় গুণাবলী বর্ণনায় সালাত ও সালাম’র আঙ্গিকে প্রণীত দীর্ঘতর গ্রন্থ, যা মানবীয় বুদ্ধি মননকে হতবাক করে।’’গ্রন্থটি ত্রিশ পারা বা খণ্ডে বিন্যস্ত। এখন উর্দু থেকে বাংলায় অনূদিত হচ্ছে। মূল কিতাব আরবী ভাষায়, যা প্রথম দিকেই প্রতি পারা ৪৮ পৃষ্ঠা করে বিভাজিত। বর্তমান উর্দু তরজমায় প্রতি পারা প্রায় ৮ ফর্মার কলেবরে রূপ নেয়।

খাজা চৌহরভী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি জীবদ্দশায় লোক চক্ষুর আড়ালে, নিভৃতে এ গ্রন্থটি লিখলেও বিষয়টি যখন সাধারণের গোচরে আসে, তখন তিনি নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হলে সে সময় রেঙ্গুনে অবস্থানরত তাঁর খলিফা কুতুবুল আওলিয়া, আলে রাসূল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সায়্যিদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি আলায়হির নিকট প্রেরণ করে তা ছাপানোর জন্য পত্র মারফত নির্দেশ দেন। ১৯৩৩ খ্রি.সনে জনাব শেঠ আহমদের অর্থায়নে রেঙ্গুন থেকে এ গ্রন্থের ১ম সংস্করণটি প্রকাশিত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৯৫৩, ১৯৮২, ১৯৯৫ খ্রি. সনে যথাক্রমে এর ২য়, ৩য় ও ৪র্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। মুর্শিদে বরহক আলে রাসূল সিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলায়হির শাহযাদা আল্লামা হাফেজ ক্বারী সায়্যিদ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি’র নির্দেশক্রমে তাঁরই জীবদ্দশায় এ গ্রন্থের উর্দু তরজমা সম্পন্ন ও প্রকাশিত হয়। উপমহাদেশের খ্যাতনামা প্রতিথযশা উর্দু সাহিত্যিক আল্লামা আবুল হাসানাত মুহাম্মদ আশরাফ সিয়ালভী প্রথম উর্দু তরজমা করেন।

শিরোনাম বৈচিত্রে অনন্য
আমরা জেনেছি যে এ গ্রন্থটি পবিত্র ক্বোরআন ও সহীহ বুখারী শরীফের অনুসরণে ত্রিশ পারা বা খণ্ডে বিভক্ত। সম্ভবত: ইসলামী বিশ্বের ত্রিশ খণ্ডে সংকলিত এটিই তৃতীয় বৃহত্তম গ্রন্থ। সাথে বুখারী শরীফের অধ্যায় গুলো যেমন শিরোনামাঙ্কিত, এর মত মজমুআয়ে সালাওয়াতে রাসূল শরীফেও প্রতিটি পারার স্বতন্ত্র শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, যা বিষয় বস্তু হিসেবে মাসআলা বিশেষ কিংবা তত্ত্ব-বিশেষ রূপে নামাঙ্কিত। অবশ্যই তা বিশুদ্ধ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদার মাসআলা সমূহ দালিলিকভাবে প্রতিষ্ঠা ও পুষ্টতা দানে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।
শিরোনামগুলোর ওপর একবার আলোকপাত করা সমীচিন মনে করছি।

১. প্রিয়নবরি নূর ও এর প্রকাশ, ২. তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম, ৩. তাঁর নূরানী সত্তা ও পবিত্র অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ৪. তাঁর পরিধেয় সম্পর্কিত, ৫. তাঁর পূর্ব পুরুষগণ ও পবিত্র বংশ পরম্পরা, ৬. তাঁর মর্যাদা ও আভিজাত্য, ৭. তাঁর সত্তাগত ও গুণবাচক নামগুলো, ৮. তাঁর সর্বজন নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব, ৯. তাঁর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনায়, ১০. তাঁর উর্ধ্বযাত্রা ও প্রভু মিলন, ১১. তাঁর তাসবীহ ও তাহলীল, ১২. তাঁর গাম্ভীর্য ও শুভস্বপ্ন, ১৩. তাঁর দু‘আ ও প্রার্থনা, ১৪. তাঁর অমৃত বাণী ও মধুর বচন, ১৫. তাঁর নুবূওয়ত ও রিসালাত, ১৬. তাঁর মহত্ত ও সম্মান, ১৭. তাঁর শাফাআত ও মাধ্যম, ১৮. তাঁর সম্মান ও মর্যাদা, ১৯. তাঁর প্রমাণাদি ও সুসংবাদ, ২০. তাঁর ভালবাসা ও প্রেমাকর্ষণ, ২১. তাঁর প্রজ্ঞা ও অদৃশ্য জ্ঞান, ২২. তাঁর মু’জিযা ও অলৌকিকত্ব, ২৩. তাঁর দু‘আ ও দরূদের ওসীলা, ২৪. তাঁর আদেশ-নিষেধ, ২৫. তাঁর দর্শন ও প্রদর্শন, ২৬. তাঁর দৈহিক ও চরিত্র সুষমা, ২৭. তাঁর নৈকট্য ও নিকটজন, ২৮. তাঁর সুহবত ও সাহচর্য, ২৯. হামদের ঝাণ্ডা ও মকামে মাহমূদ এবং ৩০. তাঁর উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব।

লেখক: আরবী প্রভাষক- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

Share:

Leave Your Comment