মসজিদের ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনকে যাকাত-ফিতরা দেয়া যাবে কিনা?

মসজিদের ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনকে যাকাত-ফিতরা দেয়া যাবে কিনা?

 মুহাম্মদ তানজিলুর রহমান,
মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: মসজিদের ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনকে যাকাত-ফিতরা দেয়া যাবে কিনা? জানালে উপকৃত হবো।  
উত্তর: ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জেন সাহেব যদি গরীব হন অর্থাৎ তার নিকট যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, বা ঋণগ্রস্ত হন অথবা তিনি যে আয়-রোজগার করেন ওই পরিমাণ আয় তাঁর পরিবারের খরচ নির্বাহে যথেষ্ট নয় এমন ইমাম বা মোয়াজ্জেন বা খতীবের জন্য যাকাত-ফিতরা ও কোরবানীর চামড়ার বিক্রয়লব্দ টাকাসহ যাবতীয় সাদক্বাহ্-খয়রাত গ্রহণ করা জায়েয। এমন ইমাম-খতীবের ইকতিদা করতে অসুবিধা নেই। আর যদি ইমাম সাহেব তাঁর আয়-রোজগার দিয়ে নিজ ও পারিবারিক খরচ নির্বাহ্ করতে পারেন এবং নেসাব পরিমাণ সম্পদের যদি মালিক হন তখন টাকা-পয়সার লোভ-লালসার বশীভূত হয়ে যাকাত-ফিতরা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। হারাম হওয়া সত্ত্বেও যদি উক্ত ইমাম-খতীব ও মুয়াজ্জিন যাকাত-সাদকাহ্ বা ফিতরা ইত্যাদি গ্রহণ করে এবং তা প্রমাণিত হয়, তবে উক্ত ইমাম ফাসিক হিসেবে পরিগণিত হবে, বিধায় তার পেছনে ইকতিদা করা মাকরূহই তাহরীমা। উল্লেখ্য যে, কারো কাছে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করা একজন সম্মানিত ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিন বা আলেমের উচিত নয়। যেহেতু সবদেশে ও সমাজে ইমাম, খতীব ও আলেম সমাজকে জনসাধারণ খুব সম্মানের চোখে দেখে থাকেন। তাই তাঁদের ওই সম্মান অটুট রাখতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া যাকাত-ফিতরা ইত্যাদির জন্য কারো কাছে হাত প্রসারিত করা হারাম।  

Share:

Leave Your Comment