মুসলিম যুবকদের কর্তব্য ও দায়িত্ব

মুসলিম যুবকদের কর্তব্য ও দায়িত্ব

মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাশেম

প্রতিটি বস্তুর মধ্যবর্তী অংশ সুন্দর হয়ে থাকে। দেখুন, সূর্য তিন পর্যায়ে অতিক্রম করে। প্রথমে উদয় হয়, এরপর স্থির হয় এবং অতঃপর অস্ত যায়। উদয়ের সময় সম্ভাবনা রয়েছে যে, সূর্যকে দুনিয়ার কোন মানুষ চিনতে পারে না, এজন্য যে, তার কিরণরশ্মি সেটার সাথে থাকে না, কিন্তু যখন সেটা মাথার উপর স্থির হয়, দুনিয়ার কোন মানুষের দৃষ্টিতে এত পরিমাণ শক্তি হয় না যে, সেটাকে চোখভরে দেখতে পারবে; আর অস্ত যাওয়ার সময় সেটার ওই অবস্থা হয়, যা উদয়ের সময়ে ছিল। বুঝা গেল যে, যখন সূর্য যৌবনে উপনীত হয়, তখন সেটার রূপ ও সৌন্দর্যের অবস্থা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে, সেটা জগতের প্রতিটি অণু-কণাকে চমকিত করে। অনুরূপ ফুলেরও তিনটি পর্ব অতিক্রান্ত হয়: প্রথমে সেটা কলি রূপে পাতার মাঝে লুকিয়ে থাকে, তখন দুনিয়ার কোন মানুষ তা নিজের পুষ্পস্তবকে রাখে না, আর না সেটার সুগন্ধি পেয়ে থাকে; এ কারণে যে, সেটা তার প্রাথমিক পর্যায়। তারপর যখন সেটা খুলে যায় তথা সেটার যৌবনে পদার্পন করে, তখন কেউ সেটাকে স্বীয় পুষ্পস্তবকে রাখে, কেউ তা দ্বারা সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের অনুষ্ঠান সাজায়, আবার কেউ বুযুর্গবৃন্দের মাজারে নিয়ে যায়। তাহলে বুঝা গেল যে, প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ সেটাকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে না এবং মরে গেলেও সেটাকে ফেলে দেয়া হয়। অতএব, একটি পুস্প যদি মর্যাদা পায়, তাহলে সেটা খুলে যাওয়ার পর তথা স্বীয় মধ্যবর্তী সময়ে। অনুরূপ বহু সংখ্যক দৃষ্টান্ত দেয়া যেতে পারে যে, দুনিয়াতে মানুষও তিনটি পর্যায়ে সময় অতিবাহিত করে থাকে। এক. শৈশব, দুই. যৌবন এবং তিন. বার্ধক্য। শৈশবে সে অপরের মুখাপেক্ষী হয়, শৈশবে মানুষ বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন হয় না এবং যখন সে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তখন ওই মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। মধ্যবর্তী সময়ে মানুষের যৌবনের নি’মাত অর্জিত হয়। যেভাবে তারুণ্যের সময়ে সূর্য অণু-পরমাণুকে চমকিত করে দেয়, যৌবনের পর্যায়ে পুষ্প উন্মুক্ত হয়ে মানুষের হৃদয়-প্রাণ সুবাসিত করে তোলে, অনুরূপ একজন যুবক যদি স্বীয় যৌবনের সঠিক ব্যবহার করে নেয় এবং সেটাকে কোন উপযুক্ত কাজে প্রয়োগ করে, তখন তার মাধ্যমে আল্লাহ তাবারকা ওয়া তা‘আলা জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দেন।
ড. ইক্ববাল বলেছেন:
؎ عقابی روح جب بیدار ہوتی ہے جوانوں میں
نظر آتی ہے ان کو اپنی منزل آسمانوں میں

“তরুণদের মধ্যে যখন শকুনের প্রাণশক্তি (ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জনের স্পৃহা) জাগ্রত হয়, তখন তাদের কাক্সিক্ষত সফলতা আসমানে দৃষ্টিগোচর হয়।”

আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট তরুণদের তারুণ্যও পছন্দের এবং যৌবনের ইবাদতও পছন্দের বিষয়। আল্লাহ্ রাব্বুল ইয্যত-এর নিকট যৌবন এ কারণে পছন্দের যে, আল্লাহ্ আপন প্রিয় মাহবূব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে বার্ধক্যের সকল দোষত্রুটি থেকে মুক্ত রেখেছিলেন। ফলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তেষট্টি ৬৩ বছর বয়সেও চৌত্রিশ বছর বয়সের যুবকের ন্যায় দেখা যেতেন। যখন জান্নাতী জান্নাতে গমণ করবেন, তখন আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে তাদের যৌবন ফিরিয়ে দিবেন। আল্লামা ইবনে জাওযী রহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন: যদি কোন যুবক এক রাক্‘আত নামায পড়ে, তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা বৃদ্ধদের শত রাক্‘আত নামাযের সমপরিমাণ সাওয়াব তাকে দান করবেন। আল্লাহ্র প্রিয় মাহবূব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যখন কোন যুবক রাতের অন্ধকারে ফজরের নামাযের জন্য পায়ে হেঁটে মসজিদে যায়, তখন আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে প্রতি কদমে এক বছর ইবাদতের সাওয়াব দান করেন। হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন: ওই যুবকদের সুসংবাদ দিয়ে দাও, যারা নিজেদের যৌবন গুনাহ মুক্ত অতিবাহিত করেছে। আল্লাহ তা‘আলা এরূপ যুবকদের ক্বিয়ামত দিবসে আপন আরশের ছায়া দান করবেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন: سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ: الإِمَامُ العَادِلُ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ رَبِّهِ،…..الخ. “আল্লাহ্ তা‘আলা সাত শ্রেণির ব্যক্তিকে স্বীয় ছায়ায় আশ্রয় দেবেন ওইদিন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না: ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. যে যুবক তার যৌবনকে আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়ে দেয়- (শেষ পর্যন্ত)

কিন্তু আজকাল যৌবনের সঠিক ব্যবহারকারী আছে ক’জন? এ বিষয়ে তাকিদ প্রদানে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: اِغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ , شَبَابَكَ قَبْلَ هَرَمِكَ , وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِكَ , وَغِنَاكَ قَبْلَ فَقْرِكَ , وَفَرَاغَكَ قَبْلَ شُغُلُكَ , وَحَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ. “তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণীমত-সুবর্ণ সুযোগ- মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য আসার পূর্বে, তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও তোমার অসুস্থতার পূর্বে, তোমার সচ্ছলতাকে কাজে লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, তোমার অবসরতাকে কাজে লাগাও তোমার ব্যস্ততার পূর্বে, আর তোমার হায়াতকে কাজে লাগাও তোমার মৃত্যু আসার পূর্বে।”

আজ যৌবনকে জুয়ায় লাগানো হচ্ছে, আমোদ-প্রমোদে উৎসর্গ করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে যুবকেরা মনে করে, আমার যৌবন তো শরাবের জন্য, তারুণ্যের জন্য, খেল-তামাশার জন্য। এ যুবকদেরকে কখনো স্পেন বিজয়ী বলা হত, যারা কখনো মাযহাব ও মিল্লাতের জন্য হিন্দুস্থানের সফর করত, আজ এ সম্প্রদায়ের যুবকদেরকে বিলাসিতার পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এ যুবকেরা বিগত সময়ে অপরের কণ্যাদের হিফাযত করত, ওই যুবকেরাই নিজ মহল্লার পর স্ত্রী ও কণ্যার দিকে খারাপ দৃষ্টি দিচ্ছে। আল্লাহর প্রিয় মাহবূব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: আল্লাহর যেসব বান্দা দৃষ্টি সংযত রাখে, তারা ঈমানের স্বাদ পেয়ে থাকে। হযরত শায়খ আবূ আলী দাক্বাক্ব রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি একজন উঁচু পর্যায়ের বুযুর্গ। তার জীবনের অবস্থা ছিল যে, তার রজনীগুলো জায়নামাযেই অতিবাহিত হত। তিনি এত মর্যাদাসম্পন্ন বুযুর্গ যে, তাসাউফের প্রাথমিক সময়ে লিখিতগ্রন্থ ‘রিসালাহ্-ই ক্বুশাইরিয়া’-এর মধ্যে স্থানে স্থানে বড় বড় উপাধিসহ তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শায়খ আবূ আলী দাক্বাক্ব রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি যখন এ জগত থেকে তশরীফ নিয়ে গেলেন (তথা ওফাত বরণ করলেন)। প্রায় ৭০ বছর পর কেউ একজন তাকে স্বপ্নে দেখলো এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলো: শায়খ! বলুন, আল্লাহ্ তা‘আলা আপনার সাথে কী রূপ আচরণ করেছেন? শায়খ আবূ আলী দাক্বাক্ব রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন: যেদিন থেকে আমার রূহের সম্পর্ক আমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত তীব্র রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এবং এখনো রোদে দণ্ডায়মান রয়েছি। নাজাতের কোন পন্থা দৃষ্টিতে আসছেনা, রহমাতের আশায় অপেক্ষা করছি। সারা জীবনের ইবাদত, রাতের অন্ধকারের ইবাদত এবং দিনের আলোতে ইবাদত মূল্যহীন হয়ে পড়ে আছে, একটি গুনাহ্র উপর পাকড়াও হয়ে গেছে, সেটার কারণে ৭০ বছর ধরে রোদে দাঁড়িয়ে রয়েছি। প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করলো: হুযূর, আপনার ন্যায় এত বড় বুযুর্গের এমন কোন গুনাহ্ হয়েছিল? যার ভিত্তিতে ৭০ বছর ধরে আপনি রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। শায়খ আবূ আলী দাক্বাক্ব বলেন: বাল্যকালে মাদ্রসায় যাওয়ার সময় এক সুদর্শন বালককে দেখেছিলাম এবং তার প্রতি খারাপ দৃষ্টি দিয়েছিলাম। এ এক অপরাধের উপর পাকড়াও হয়ে গেছে।
এবার বলুন, শায়খ আবূ আলী দাক্বাক্ব-এর ন্যায় বুযুর্গ যদি বাল্যকালে কোন বালকের উপর একটু খারাপ দৃষ্টি দেয়ায় এ পরীক্ষায় পড়ে থাকেন। বর্তমানে আমাদের দৃষ্টি বালকদের স্থলে বালিকাদের উপর উঠছে, তাহলে আমাদের পরিণতি কীরূপ হতে পারে?

আমরা ইশক্বে রসূল’র ওই স্প্রীহা হারিয়ে বসেছি, যেটা যদি হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, তখন কা’বা বিলালের কদম যুগলের নিচে দৃশ্যমান হয়; খালিদ ইবনে ওলীদ-এর অর্জিত হলে, ‘সাইফুল্লাহ্’ (আল্লাহ্র তরবারী)- তে পরিণত হন; আবূ উবাইদাহ্ ইবনে জাররাহ-এর অর্জিত হলে, তখন তিনি ‘আমীন-ই উম্মত’ (উম্মতের আমানতদার) হয়ে যান। দৃষ্টিকে বেপরোয়া করে, নিজের যৌবনকে জুয়ায় লাগিয়ে আমরা ইশক্বে মোস্তফার এ মহান সম্পদকে হাতছাড়া করে দিচ্ছি।

তরুণেরা জাতির কর্ণধার। যদি আমরা নিজেদের যৌবনকে দ্বীনের পথে কাজে লাগাই, তাহলে তা হবে পরম সৌভাগ্য। তাওবা তো সবাই করে থাকে, কেউ কেউ বার্ধক্যে তাওবা করে থাকে; কিন্তু যৌবনের তাওবা বড় বিরল তাওবা। হাদীসে এসেছে,
إِنَّ اللهَ لَيَعْجَبُ مِنَ الشَّابِّ لَيْسَتْ لَهُ صَبْوَةٌ.
“আল্লাহ তাআলা ওই যুবকের প্রতি বিস্মিত হন, যার যৌবনে কোন কুপ্রবৃত্তি নেই।” আরো এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ্’র দরবারে একজন বৃদ্ধ মানুষ আসলেন এবং এক তরুণও এলো। উভয়ে আরয করলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা আমাদের পাপরাশি থেকে তাওবা করছি। তখনই সিদরাতুল মুনতাহার বুলবুল হযরত জিব্রীল আমীন হাযির হলেন এবং আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এ তরুণকে আপনি আমার সালাম পেশ করে দিন। হুযূর ইরশাদ করলেন: জিব্রীল তাওবা তো উভয়েই করেছে, আর তুমি শুধু যুবককে সালাম বলেছো! জিব্রীল আরয করলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ বৃদ্ধ লোকটি বার্ধক্যে উপনীত হয়ে তাওবা করেছে, এ কারণে আমি সালাম বলিনি; আর যুবক যৌবনে তাওবা করেছে, প্রকৃতপক্ষে তাওবার সময় তো যৌবনকাল।

ক্বিয়ামত দিবসে যৌবনের সময় সম্পর্কে জাবাবদিহি করতে হবে। রেওয়ায়ত-এ এসেছে,
لاَ تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ، عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلاَهُ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ، وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ
“ক্বিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া ব্যতীত, কোনো আদম সন্তান আল্লাহর সম্মুখ হতে পা সরাতে পারবে না। তার জীবনকে কোথায় ব্যয় করেছে, যৌবনকে কোথায় ক্ষয় করেছে, সম্পদ কোথা থেকে অর্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করছে; আর যা জেনেছে, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।” [তিরিমিযী, আস্ সুনান, হা/২৪১৬]

ক্ষণস্থায়ী এ জীবনে আল্লাহ প্রদত্ত অমূল্য সম্পদ যৌবনের গুরুত্ব¡ উপলব্ধি করে তার যথাযথ সদ্ব্যবহার করা উচিত। হে যুবক! নিজের যৌবনকে দ্বীনের পথে লাগিয়ে দাও, ইশক্বে মোস্তফার পথে লাগিয়ে দাও। হৃদয়ে সংকল্প করো যে, নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনবে, প্রতিটি অলি-গলিতে ইশক্বে মোস্তফার বিপ্লব সৃষ্টি করবে সরকার-ই মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র মুহাব্বতের ঢংকা বাজাবে। আমার আক্বা ও মাওলা রশাদ করেন: ওই যুবকদের সুসংবাদ দিয়ে দাও যে, যারা আমার মুহাব্বতের বার্তা অপরের নিকট পৌঁছিয়ে দিবে, লোকদেরকে আমার প্রেমিক বানাবে, কাল ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাবারকা ওয়া তা‘আলা ওই লোকদেরকে জান্নাতে আমার প্রতিবেশি বানাবেন। অতএব, সততা, ন্যায়বিধান এবং বীরত্বের মাধ্যমে যুবসমাজ নিজেদেরকে যোগ্য করে তুললে, বিশ্ব নেতৃত্ব তাদেরই হাতে পুনরায় ফিরে আসবে। ড. ইক্ববাল বলেন:
سبق پھر پڑھ صداقت کا ، عدالت کا ، شجاعت کا
ليا جائے گا تجھ سے کام دنيا کی امامت کا
“পুনরায় পড় সততা, ন্যায়বিচার ও বীরত্বের সবক; তোমার নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে বিশ্ব পরিচালনার নেতৃত্ব।”

টিকা:
বোখারী, আস সহীহ, খ–১, পৃ. ১৩৩, হা/৬৬০
বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, খ–১২, পৃ. ৪৭৬, হা/৯৭৬৭
মুসনাদে আহমদ, হা/ ১৭৩৭১

লেখক: পরিচালক, আনজুমান রিসার্চ সেন্টার ও খতীব-নওয়াব ওয়ালী বেগ খাঁ জামে মসজিদ, চকবাজার, চট্টগ্রাম।

 

Share:

Leave Your Comment