হাদীসে পাকের আলোকে সুন্নাত

হাদীসে পাকের আলোকে সুন্নাত

= হাদীসে পাকের আলোকে সুন্নাত =

১. হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রাসূল এরশাদ করেন- مَآاَمَرْتُکُمْ بِہٖ فَخُذُوْہُ وَمَا نَہَیْتُکُمْ عَنْہُ فَانْتَہُوْا

অর্থাৎ-আমি তোমাদের প্রতি যা আদেশ করি, তোমরা তা গ্রহণ করো, আর আমি যা নিষেধ করি, তা থেকে বিরত থাকো।[ইবনে মাজাহ্‌, সুন্নাতে রাসূলের অনুসরণ অধ্যায়]

২. হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তাজ্ঞআলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- مَنْ اَطَاعَنِیْ فَقَدْ اَطَاعَ اللّٰہَ وَمَنْ عَصَانِیْ فَقَدْ عَصَی اللّٰہَ

অর্থাৎ ‘‘যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো, সে তো আল্লাহ্‌র আনুগত্য করলো। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য হলো, সে তো আল্লাহ্‌রই অবাধ্য হলো।               [প্রাগুক্ত]

৩. হযরত মালেক ইবনে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এক মুরসাল হাদীস-এ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-

تَرَکْتُ فِیْکُمْ اَمَرَیْنِ لَنْ تَضِلُّوْا مَاتَمَسَّکْتُمْ بِہِمَا کَتَابَ اللّٰہِ وَسُنَّۃَ رَسُوْلِہٖ

অর্থাৎ ‘‘আমি তোমাদের কাছে দু‘টি এমন বিষয় রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ এ দু’টি আঁকড়ে ধরে রাখবে, তোমরা পথভ্রষ্ট হবে নাঃ একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, অপরটি হল তাঁর রাসূলের সুন্নাত।’’   [মিশকাত ৩১ পৃষ্ঠা। হাদিসটি মুআত্তায় বর্ণিত আছে]

৪. হযরত ইরদ্বাব ইবনে সা-রিয়া থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আল্লাহর রাসূল এরশাদ করেন-

عَلَیْکُمْ بِسُنَّتِیْ وَسُنَّۃِ الْخُلَفَآءِ الرَّاشِدِیْنَ الْمَہْدِیِّیْنَ

অর্থাৎ তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়তপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীন’র সুন্নাতকে অবলম্বন করো।               [আহমদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্‌]

৫. হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- کُلُّ اُمَّتِیْ یَدْخُلُوْنَ الْجَنَّۃَ اِلاَّ مَنْ اَبیٰ قِیْلَ مَنْ اَبٰی قَالَ مَنْ اَطَاعَنِیْ دَخَلَ الْجَنَّۃَ وَمَنْ عَصَانِیْ فَقَدْ اَبَیٰ

অর্থাৎ ‘‘আমার সকল উম্মত বেহেশতে প্রবেশ করবে, তবে যে (আমাকে) প্রত্যাখ্যান করেছে সে ব্যতীত। আরয করা হলো, কে প্রত্যাখ্যান করলো? এরশাদ করেন, যে আমার আনুগত্য করবে, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। যে আমার অবাধ্য হবে, সেই প্রত্যাখ্যানকারী।’’                             [বুখারী, মিশকাত]

৬. হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- لَوْکَانَ مُوْسٰی حَیًّا مَا وَسِعَہٗ اِلاَّاِتَّبَاعِیْ

অর্থাৎ যদি এ সময় মূসা (আলায়হিস্‌ সালাম) জাগতিক জীবনে বিদ্যমান থাকতেন, তবে আমার অনুসরণ ছাড়া তাঁর গত্যন্তর থাকতো না।[আহমদ ও বায়হাক্বীর বরাতে মিশকাত, পৃষ্ঠা- ৩০]

৭. দারেমী গ্রন্থে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-

وَالَّذِیْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِیَدِہٖ وَلَوْبَدَالَکُمْ مُوْسٰی فَاتَّبَعْتُمُوْہُ وَتَرَکْتُمُوْنِیْ لَضَلَلْتُمْ عَنْ سَوَآءِ السَّبِیْلِ

অর্থাৎ ‘‘আর শপথ ওই মহান সত্তার, যাঁর ক্বুদরতের কব্‌জায় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জান, যদি তোমাদের মাঝে মূসা (আলায়হিস সালাম) আত্মপ্রকাশ করতেন, আর তোমরা আমাকে ছেড়ে তাঁর অনুসরণ করতে, তবে অবশ্যই তোমরা সত্যপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যেতে।’’