হুযূর-ই আকরাম ‘পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান’-এর ধারক

হুযূর-ই আকরাম ‘পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান’-এর ধারক

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান

ক্বিয়ামত কখন হবে? বৃষ্টি কখন আসবে? বাচ্চাদানী (গর্ভাশয়)-এ কি আছে? কাল কে কি করবে? কে কোথার মৃত্যুবরণ করবে? এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান সম্পর্কে ‘সূরা লোকমান’-এর ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ ফরমান-
اِنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَةِۚ-وَ یُنَزِّلُ الْغَیْثَۚ-وَ یَعْلَمُ مَا فِی الْاَرْحَامِؕ-وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌ مَّا ذَا تَكْسِبُ غَدًاؕ-وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌۢ بِاَیِّ اَرْضٍ تَمُوْتُؕ-اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ(৩৪(
তরজমা: নিশ্চয় আল্লাহর নিকট রয়েছে ক্বিয়ামতের জ্ঞান, তিনি বর্ষণ করেন বৃষ্টি, জানেন যা কিছু মায়েদের গর্ভে রয়েছে, কেউ জানে না যে, সে কাল কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা যে, সে কোন্ ভূ-খ-ে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা সর্বজ্ঞাতা, সব বিষয়ে খবরদাতা।
[সূরা লোক্বমান: আয়াত ৩৪: কানযুল ঈমান]
এ আয়াত শরীফের মর্মার্থ এ যে, আল্লাহ্ তা‘আলার বলে দেওয়া ব্যতীত নিজে নিজে কারো এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান থাকতে পারে না। সব বিষয়ে আল্লাহর জ্ঞান তাঁর সত্তাগত (যাতী); কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা বাতলিয়ে দেওয়ার ফলে নিশ্চয় এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞানও আল্লাহ্ তা‘আলার পয়গাম্বর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট অর্জিত। সুতরাং আরিফ বিল্লাহ্ হযরত শায়খ আহমদ সাভী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেছেন-
قَالَ الْعُلَمَآءُ اَلْحَقُّ اَنَّه لَمْ يَخْرُجْ نَبِيُّنَا مِنَ الدُّنْيَا حَتّى اِطَّلَعَه اللهُ عَلى تِلْكَ الْخَمْسِ وَلٰكِنَّه اُمِرَ بِكِتْمَانِهَا ـ
[الصاوى : ج ـ ৩ : ص ـ ২৬০]
অর্থ: বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ (ওলামা-ই কেরাম) বলেছেন, সঠিক অভিমত হচ্ছে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ওই সময় পর্যন্ত দুনিয়া থেকে তাশরীফ নিয়ে যাননি, যে পর্যন্ত না আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান দিয়েছেন; কিন্তু খোদা তা‘আলা আপন হাবীবকে ওই জ্ঞানগুলো গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। [তাফসীর-ই সাভী: ৩য় খন্ড, পৃ. ২৬০]
হযরত ক্বুত্ববুল ওয়াক্বত আবদুল আযীয দাব্বাগ রাহাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি এ বিষয়ে বলেছেন-
كَيْفَ يَخْفى اَمْرُ الْخَمْسِ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلْوَجْدُ مِنْ اَهْلِ التَّصَرُّفِ مِنْ اُمَّتِهِ الشَّرِيْفَةِ لاَ يُمْكِنُهُ التَّصَرُّفُ اِلاَّ بِمَعْرِفَةِ هذِهِ الْخَمْسِ ـ [كتاب ابريز ـ صفحه ـ ১৫৮]
অর্থ: এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান হুযূর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিভাবে গোপন থাকতে পারে? যখন তাঁর একজন (আধ্যাত্মিক) ক্ষমতা সম্পন্ন উম্মতের পক্ষে এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান ব্যতীত ক্ষমতা প্রয়োগ করা সম্ভবপর নয়। [কিতাব ইবরীয: পৃ. ১৫৮]
হযরত আবদুল আযীয দাব্বাগ আলায়হির রাহমাহ্’র এ কথা থেকে সুস্পষ্ট হলো যে, হুযূর-ই আক্রাম তো হুযূর-ই আকরামই, তাঁর শান সমস্ত সৃষ্টি উপরে, হুযূর-ই আক্রামের গোলামগণও এ পাঁচ বিষয়ের জ্ঞান, আল্লাহ্ তা‘আলার দানক্রমে রাখেন।
এখন দেখুন প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে হুযূর-ই আক্রামের জ্ঞান!

ক্বিয়ামতের জ্ঞান
উপরিউক্ত পাঁচ বিষয়ের জ্ঞানের মধ্যে প্রথমে ক্বিয়ামতের জ্ঞানের কথা এরশাদ হয়েছে। অর্থাৎ ক্বিয়ামত কখন হবে? এ প্রসঙ্গে আরিফ বিল্লাহ্ শায়খ আহমদ সাভী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি সূরা আহযাবের আয়াত-
ويَسْئَلُوْنَكَ عَنِ السَّاعَةِ… قُلْ اِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللهِ
এর তাফসীরে বলেছেন-
وَ هذَا اِنَّمَا هُوَ وُقْتَ السُّوَالِ وَ اِلاَّ فَلَمْ يَخْرُجُ نَبِيُّنَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الدُّنْيَا حَتّى اِطَّلَعَهُ اللهُ عَلى جَمِيْعِ الْمَغِيْبَاتِ وَمِنْ جُمْلَتِهَا السَّاعَةُ لكِنْ اُمِرَ بِكَتْمِ ذلِكَ [صاوى ج ـ ৩ ـ صفحه ـ ২৪৯]
অর্থ: যখন কাফিরগণ হুযূর-ই আক্রামকে ক্বিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলো, তখন হুযূর আলায়হিস্ সালাম-এর নিকট ক্বিয়ামতের ইলম ছিলোনা। অন্যথায় হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম দুনিয়া থেকে ওই সময় পর্যন্ত তাশরীফ নিয়ে যাননি যে পর্যন্ত না আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে সমস্ত গায়ব (অদৃশ্য বিষয়) সম্পর্কে অবহিত করে দিয়েছেন। আর ওইগুলোর মধ্যে ক্বিয়ামতের ইল্মও রয়েছে; কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে হুকুম দিয়েছিলেন যেন ক্বিয়ামত কখন আসবে, সে সম্পর্কিত জ্ঞানকে তিনি উম্মত থেকে গোপন রাখেন। [তাফসীর-ই সাভী: ৩য় খন্ড: পৃ. ২৪৯]
উল্লেখ্য, এটা ওইসব তাফসীরকারকের অভিমত ও আক্বীদা, যাঁদেরকে মুসলিম মিল্লাতের মজবুত স্তম্ভ বললেও অত্যুক্তি হবে না। আরো লক্ষণীয় যে, নবী-ই আক্রামের শানে জঘন্য বেয়াদবী প্রদর্শনকারীরা নবী-ই আক্রামের ইলমকে অস্বীকার করতে গিয়ে এতটুকু বলে ফেলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন যে, তাঁর নাকি দেয়ালের পেছনের জ্ঞানও ছিলোনা। আল্লাহরই পানাহ্! তাঁরা তাঁর জ্ঞানকে পশু ও পাগলের জ্ঞানের মতো বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি। মা‘আযাল্লাহ্! সুম্মা মা‘আযাল্লাহ! একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন! হুযূর-ই আক্রাম হাদীস শরীফে বলে দেওয়ার ফলে আজকাল মুসলমানদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও জানে যে, ক্বিয়ামত জুমার দিনে সংঘটিত হবে এবং মুহাররমের ১০ম তারিখে হবে। ক্বিয়ামতের পূর্বে সেটার অনেক চিহ্ন প্রকাশ পাবে। যেমন- ইয়াজূজ-মাজূজ বের হবে, দাজ্জাল বের হবে, হযরত ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে, হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম নাযিল হবেন। তাছাড়া, হযরত ই¯্রাফীল আলায়হিস্ সালাম শিঙ্গায় ফুঁক দেবেন, হাশর, নশর, হিসাব-কিতাব ইত্যাদি। এসব কথা হযরত সরওয়ার-ই কা-ইনাত আপন উম্মতকে বলে দিয়েছেন। সুতরাং যিনি ক্বিয়ামত সম্পর্কে এতগুলো তথ্য প্রদান করেছেন, তাঁর যে ক্বিয়ামতের জ্ঞান ছিলো তাতে সন্দেহের অবকাশ কোথায়? মোটেই সন্দেহ নেই। অবশ্য, শুধু একটি বিষয় অর্থাৎ ক্বিয়ামত কোন সালে হবে তা হুযূর-ই আক্রাম আপন উম্মতকে বলেননি। এর কারণও এটাই ছিলো যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে এটা গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ’তে আল্লাহ্ তা‘আলা ও তাঁর রসূলের অনেক বড় বড় হিকমত রয়েছে। তাছাড়া, আল্লাহ্ তা‘আলা ক্বোরআন মজীদে ক্বিয়ামত সম্পর্কে এরশাদ করেছেন-لاَ تَأْتِيَكُمْ اِلاَّ بَغْتَةَ অর্থাৎ ক্বিয়ামত তো একেবারে হঠাৎ এসে যাবে। ক্বিয়ামতের সালটাও বলে দিলে তো সেটা হঠাৎ আসার বাস্তবতা প্রকাশ পায় না। সুতরাং আমরা সুন্নী মুসলমানদের আক্বীদা হচ্ছে আ-লিমুল গায়বি ওয়াশ্ শাহাদাহ্ নিশ্চয় নিশ্চয় আপন মাহবূবকে ক্বিয়ামতের জ্ঞান দান করেছেন। আর হুযূর-ই আক্রাম জানতেন যে, ক্বিয়ামত কখন আসবে।

বাচ্চাদানীতে (গর্ভাশয়ে) কি আছে?
মায়ের গর্ভে ছেলে না মেয়ে? একথার জ্ঞানও মহান আল্লাহ্ হুযূর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে দিয়েছেন। সুতরাং প্রসিদ্ধ হাদীস বিশারদ আবূ নু‘আয়ম বিশ্ববিখ্যাত কিতাব ‘দালা-ইলুন্ নুবূয়ত’-এ একটি হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন তা হচ্ছে- হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর চাচী উম্মুল ফাদ্বল হুযূর-ই আক্বদাসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি এরশাদ করলেন, ‘‘চাচীজান! আপনার গর্ভে পুত্র সন্তান রয়েছে। যখন সে ভূমিষ্ঠ হবে তখন তাকে আমার নিকট নিয়ে আসবেন!’’ সুতরাং হযরত উম্মুল ফাদ্বল বর্ণনা করেছেন- আমার পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলো। আর যখন আমি তাকে হুযূর-ই আক্রামের খিদমতে আক্বদাসে (পবিত্র দরবারে) নিয়ে হাযির হলাম, তখন হুযূর-ই আক্রাম তার ডান কানে আযান এবং বাম কানে ইক্বামত বললেন। আর নিজের মুখ মুবারকের থুথু শরীফ তার মুখে দিয়ে খাইয়ে দিলেন। অতঃপর তার নাম ‘আবদুল্লাহ্’ রাখলেন। তারপর আমাকে বললেন- اِذْهَبِىْ بِاَبِى الْخُلَفَاءِ অর্থাৎ খলীফাগণের পিতাকে নিয়ে যান! হযরত উম্মুল ফাদ্বল বলেছেন, ‘‘এ ইরশাদ শুনে আমি বড় আশ্চর্যবোধ করলাম। আর আমার স্বামী হযরত আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু)কে ঘটনাবলী বললাম। সুতরাং তিনি নবী আকরামের দরবারে পাকে এসে আরয করলেন, ‘‘ইয়া রসূলাল্লাহ্! আপনি কি আমার সন্তান সম্পর্কে এমন এমন এরশাদ করেছেন?’’ তখন সরকার-ই দু’ আলম জবাব দিলেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ! আমি এমন এমন বলেছি আরো শুনুন!
هُوَ اَبُوْ الْخُلَفَآءِ حَتّى يَكُوْنَ مِنْهُمْ السَّفَّاحُ حَتّى يَكُوْنَ مِنْهُمْ الْمَهْدِيُّ حَتّى يَكُوْنَ مِنْهُمْ مَنْ يُّصَلِّىْ بِعِيْسَى بْنِ مَرْيَمَ
অর্থ: আপনার সন্তান বাস্তবিকপক্ষে খলীফাদের পিতা। তারই বংশ থেকে ‘সাফ্ফাহ্’ (রক্ত প্রবাহিতকারী)ও হবে, তার বংশে ‘মাহদী’ও হবে। এমনকি তার বংশে (সন্তানদের মধ্য থেকে) কিছু লোক হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম আলায়হিস্ সালাম-এর সাথে নামায পড়বে।
[তারীখুল খোলাফা: পৃ. ১৫]
বুঝা গেলো যে, হুযূর-ই আক্রাম হযরত উম্মুল ফাদ্বলের গর্ভের সন্তানগণ এবং তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও বলে দিয়েছিলেন। আর সেগুলো বাস্তবেও দেখা গেছে। তিনি এ কথা বলে দিয়েছেন যে, তাঁর বংশ হযরত হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালামের অবতরণের সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

আগামীকাল কি করবে?
আগামীকাল কে কি করবে-এর জ্ঞানও আল্লাহ্ তা‘আলা আপন প্রিয় রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন। সুতরাং কে জানে না যে, খায়বারের যুদ্ধের দিন সরকার-ই দু’ আলম ঘোষণা করেছিলেন-
لَاُعْطِيْنَ هذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلاً يَّفْتَحُ اللهُ عَلى يَدَيْهِ يُحِبَّ اللهُ وَرَسُوْلَه
(আগামীকাল আমি এ ঝা-া ওই ব্যক্তিকে দেবো, যার হাতে আল্লাহ্ তা‘আলা খায়বারের বিজয় দান করবেন), যে আল্লাহ্ ও রসূলকে ভালবাসে।
সুতরাং রহমতে আলম পরদিন ঝা-া হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হাতে প্রদান করেছিলেন। আর তিনি খায়বার জয় করেছিলেন। [মিশকাত: বাবু মানাক্বিবে আলী]
এতে একথা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, আগামী কালের সত্তাগত জ্ঞান আল্লাহ্ তা‘আলার রয়েছে, আর যাকে চান ওই জ্ঞান অন্য কাউকেও দান করেন। আর আল্লাহ্ তা‘আলার হাবীবকে এর জ্ঞান দান করেছেন।

কে কোথায় মৃত্যুবরণ করবে?
এখন দেখুন! বদরের যুদ্ধের সময় হুযূর সরকার-ই কা-ইনাত একদিন পূর্বেই একটি লাঠি দ্বারা যুদ্ধের ময়দানে রেখা টেনে দিয়ে এরশাদ করেছিলেন ‘‘এখানে অমুক কাফির মারা যাবে।’’
এ হাদীসের বর্ণনাকারীর বর্ণনা হচ্ছে- فَمَا مَاتَ اَحَدٌهُمْ مَنْ مَوْضَعِ يَدِ رَسُوْلِ صَلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ অর্থাৎ নিহত কাফিরদের কেউই হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর হাত মুবারকের টেনে দেওয়া রেখা ছাড়া অন্য কোথাও নিহত হয়নি। ওই খানেই তার লাশ পাওয়া গিয়েছিলো। এভাবে আরো অনেক প্রমাণ এ প্রসঙ্গে দেওয়া যায়। এখানে এ পর্যন্ত দেওয়া হলো।
সারকথা হলো- আল্লাহ্ তা‘আলা আপন হাবীবকে উপরোক্ত পাঁচ বিষয়ের জ্ঞানও দান করেছেন। এটাই আহলে সুন্নাতের পবিত্র আক্বীদা।
—০—

মহাপরিচালক-আনজুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।

Share:

Leave Your Comment