গরীব নাওয়ায হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি

গরীব নাওয়ায হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি

গরীব নাওয়ায হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি-
তাহিয়্যা কুলসুম >

একদা এক দুঃস্থ হযরত খাজা হাসান মঈনুদ্দীন চিশতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁর কাছে রাজ্যপালেরর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ভাষ্যানুযায়ী রাজ্যপাল তাকে অকথ্য নির্যাতন এবং রাজ্য থেকে নির্বাসিত করেছে। দরিদ্র লোকটির যাওয়ার মতো কোন জায়গা ছিল না। হযরত খাজা গরীব নাওয়ায তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। লোকটি তার নির্বাসনের কথা বলতেই গরীব নাওয়ায তাকে বলেন, আল্লাহ্ রাজ্যপালকে যথাযথ শাস্তি দিয়েছেন। তুমি নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে যাও। লোকটি বাড়ি ফিরে গিয়ে জানতে পারে, শিকাররত অবস্থায় রাজ্যপাল ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে মৃত্যু বরণ করেছে।
এমনই অসংখ্য চমকপ্রদ ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে হযরত খাজা গরীব নাওয়ায, সুলতানুল হিন্দ মঈনুদ্দীন চিশতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর নাম। আল্লাহ্ তা’আলা ভারতবর্ষের অধিবাসীদের রূহানী চর্চা এবং ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য যাঁকে নির্বাচিত করেছেন, তিনিই হলেন সেই ব্যক্তিত্ব খাজা গরীব-নাওয়ায হযরত মঈনুদ্দীন চিশতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি। স্বল্প পরিসরে এমন এক আধ্যাত্মিক মহাপুরুষের শান-মান বর্ণনা করা দুঃসাহসের নামান্তর। সকলের দো’আ সাথে নিয়ে নিজের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা করেছি মাত্র।

ভারতবর্ষে তরিকাহ্-এ চিশ্তিয়ার অন্যতম প্রচিতষ্ঠাতা, ইসলামের প্রচার-প্রসার রত অনন্য ব্যক্তিত্ব হযরত খাজা গরীব নাওয়ায মঈনুদ্দীন চিশতী হাসান সনজরী আজমিরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর প্রকৃত নাম মঈনুদ্দীন। পিতা-মাতা ভালোবেসে তাঁকে ‘হাসান’ নামে ডাকতেন। বংশগত দিক থেকে তিনি হাসানি-হুসাইনি সৈয়্যদ। পিতৃকুলে তাঁর বংশগত নাম খাজা মঈনুদ্দীন বিন গিয়াস উদ্দীন বিন কামাল উদ্দীন বিন আহমদ হুসাইন বিন নজমুদ্দীন তাহের বিন আবদুল আযীয বিন ইবরাহিম বিন ইমাম আলী রেযা বিন মুসা কাসেম বিন ইমাম জাফর সাদেক বিন মুহাম্মদ বাকের বিন ইমাম আলী জয়নুল আবেদীন বিন সাইয়্যিদুনা ইমাম হুসাইন বিন আলী মরতুজা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি।

মাতৃকূলের বংশধারা অনুযায়ী খাজা মঈনুদ্দীন বিন হযরত মাহনূর উম্মুল ওয়ারা বিনতে সৈয়্যদ দাউদ বিন সৈয়্যদ আবদুল্লাহ্ হাম্বলী বিন সৈয়্যদ ইয়াহইয়া জাহেদ বিন সৈয়্যদ মুহাম্মদ রুহী বিন সৈয়্যদ দাউদ বিন সৈয়্যদ মুসা ছানী বিন সৈয়্যদ আবদুল্লাহ্ বিন সৈয়্যদ মুসা আখওয়ান্দ বিন সৈয়্যদ আবদুল্লাহ্ বিন সৈয্যদ বিন সৈয়্যদ হাসান বিন সাইয়্যিদুনা ইমাম হাসান বিন হযরত আলী মরতুজা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি।

৫৩৭ হিজরি মোতাবেক ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে সিজিস্তান মতান্তরে সিস্তান প্রদেশের অন্তগর্ত ‘সনজর’ নামক স্থানে আত্বায়ে রাসূল খাজা গরীন-নাওয়ায শুভাগমন করেন। তাই তাঁর নামের শেষে ‘সনজরী’ শব্দটি যুক্ত করা হয়। তিনি এই ধরায় সর্বদা খোদাভীতি ও ইশক্বে রাসূল (দ.)’র চর্চা করেছেন এবং কুফর ও শিরকের কেন্দ্রস্থলকে ঈমানী আলো দ্বারা প্রজ্জ্বলিত করেছেন। তাঁর মাতা স্বীয় মুখে গর্ভস্থিত অবস্থায় বর্ণনা করেছেন- ‘‘যখন মঈনুদ্দীন আমার গর্ভে ছিল আমি প্রতিনিয়ত অনেক সুস্বপ্ন দেখতাম। আমার গৃহ সর্বদা বরকমন্ডিত থাকত। শত্রু বন্ধুতে পরিণত হয়েছিল। জন্মের সময় সম্পূর্ণ গৃহ আলোকোজ্জ্বল ছিল।’’
তাঁর লালন-পালন এবং শিক্ষা-দীক্ষা খোরাসানেই সংঘটিত হয়েছিল। পিতা হযরত খাজা গিয়াসুদ্দীন রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর তত্ত্বাবধানেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয়। তাঁর পিতাও একজন আল্লাহর অলী এবং অতি উচ্চ শ্রেণির আলিম ছিলেন। হযরত খাজা গরীব-নাওয়ায অসাধারণ ধীশক্তি ও তীক্ষè বুদ্ধির অধিকারী ছিলেন। যার বদৌলতে মাত্র আট মতান্তরে নয় বছর বয়সে পবিত্র ক্বোরআনের হিফয সম্পন্ন করেন। অতঃপর একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে তাফসীর, হাদীস এবং ফিকহ বিষয়ের উপর ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। খোদায়ী প্রদত্ত বুদ্ধি, মেধা, তীক্ষ্মতা এবং অসাধারণ বোধশক্তির কারণে অতি অল্প সময়ে তিনি অগাধ পান্ডিত্য অর্জন করেন। যখন খাজা গরীব-নাওয়ায পনেরো বছর বয়সে উপনীত হন, তখন পিতা হযরত গিয়াসুদ্দীন রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র স্নেহ এবং ভালোবাসার ছায়া তাঁর উপর থেকে সরে যায়। তবুও তাঁর মায়ের ভালোবাসা, উৎসাহ্ প্রেরণা তাঁকে কোন দিনও পিতার অনুপস্থিতি টের পেতে দেয়নি। পিতার ইন্তিকালের পর পৈত্রিক সূত্রে তিনি একটি বাগান এবং আটা পিষার চাক্কি লাভ করেন। এই উত্তারাধিকারলব্ধ সম্পদকেই তিনি স্বীয় জীবন ধারণের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন। স্বয়ং বাগানের দেখভাল, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং চাক্কির সমস্ত পরিচালনাও নিজে করতেন। এসবের আয় থেকে স্বচ্ছ্বলভাবে তিনি সংসার খচর বহন করতেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্ তো তাঁকে মানব জাতির শিক্ষা-দীক্ষা এবং রূহানী পরিশুদ্ধতার জন্য পূর্বেই নির্বাচিত করে রেখেছেন। তাই তো তাঁর জীবনে এমন এক ঘটনা ঘটে যা তাঁকে পৃথিবীর কোলাহল থেকে দূরে সরিয়ে আনে এবং ত্বরিক্বত ও আধ্যাত্মিকতা চর্চায় নিজেকে এমন স্থানে নিয়ে আসেন যে আজও বিশ্বব্যাপী রূহানী জগতে তিনি সম্মানিত হয়ে আছেন।

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বাগানের গাছগুলোয় একদিন পানি সেচ দেওয়ার মুহূর্তে একজন মজযুব অলী হযরত ইবরাহিম কানদুজী মতান্তরে ইবরাহিম কলন্দরের সাথে তাঁর সাক্ষাত লাভ হয়। হযরত খাজা গরীব নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করেন। ভক্তি সহকারে তাঁকে এক শাখা-প্রশাখা পল্লবিত বৃক্ষের নিচে বসার ব্যবস্থা করে দেন এবং এক থোকা সজীব আঙ্গুর খেতে দেন। হযরত ইবরাহিম কানদুজী আঙ্গুর ফল খেলেন এবং খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র উপর সন্তুষ্ট হলেন। এরপর তিনি গরীব-নাওয়াযকে স্বীয় বগল থেকে একটি চর্বিত রুটি খেতে দেন। উক্ত তাবাররুকটি খাওয়ার সাথে সাথেই গরীব-নাওয়াযের অন্তরে অপূর্ব রকমের এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাঁর হৃদয় অজানাকে জানার জন্য পুলকিত হতে লাগল। তাঁর মন নূরে ইলাহিতে ভরপুর হয়ে গেল। পার্থিব জগতের প্রতি তিক্ততা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি হতে লাগল। এরই প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে দিলেন। বিক্রয়লব্ধ অর্থ গরীব-দরিদ্রদের মাঝে বন্টন করে দেন। সত্যের সন্ধ্যানে মাত্র পনেরো বছর বয়সেই তিনি নিজ গৃহ ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়েন সমরকন্দ এবং বোখারার রাস্তায়। তৎকালীন সময়ে সমরকন্দ এবং বোখারা ছিল প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম ও সুফীয়ানে কামেলের প্রাণকেন্দ্র।
সমরকন্দ এবং বোখারায় গমন করে তিনি তাফসীর, হাদীস, ফিকহ, কালাম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর ওস্তাদদের মধ্যে মাওলানা হিশামুদ্দীন এবং মাওলানা শরফুদ্দীন রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র নাম উল্লেখ্যযোগ্য। জাহেরী জ্ঞান লাভের পর তিনি বাতেনী জ্ঞান অন্বেষণে উৎসুক হয়ে পড়েন। এ উদ্দেশ্যে তিনি বেরিয়ে পড়েন ইরাকে। বাগদাদে অবস্থিত হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র মসজিদে হযরত খাজা ওসমান হারুনী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র হস্তে বাইয়াত গ্রহণ করেন। এভাবে তাঁর জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।

বেশ কয়েক বছর যাবত পীরের সেবা এবং দেশ বিদেশ ভ্রমণ করে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা অর্জন করেন। হিজরী ৫৬১ সনের মুহাররাম মাসে স্বপ্নে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামার নির্দেশ লাভ করে চল্লিশজন কামেল অলীকে সঙ্গে নিয়ে আজমীর গমন করেন। আজমীর পৌঁছেই প্রথম দিন থেকে তিনি সুমধুর ব্যবহার, চরিত্র, আদর্শ এবং বিভিন্ন কারামাত দ্বারা মানুষকে আকর্ষণ করেন। আজমীরের লোকেরা যখন নিজের চোখে হযরত খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র আধ্যাত্মিক মহানুভবতা দেখল, দলে দলে তারা ইসলাম গ্রহণ করতে আসল। তাঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় যে অঞ্চল পূর্বে শিরক ও কুফরের কেন্দ্রস্থল ছিল তা আজ ইসলাম ও ঈমানের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হল।

আত্বায়ে রাসূল হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ইসলামের প্রচার এবং সত্যের পথে আহ্বানের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে দীর্ঘ ৪৫ বছর অতিবাহিত করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতবর্ষের লোকজন শিরক ও কুফরের পথ বাদ দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ইতিহাস গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হির পবিত্র হস্তে প্রায় নব্বই লাখ লোক ইসলাম গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ সময়ে খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি মোশাহাদা- মোরাকাবায় অধিক সময় পার করতেন।

হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি দ্বীনের প্রচার-প্রসারে লিপ্ত থাকার জন্য সাংসারিক ঝঞ্জাট থেকে বিরত থাকেন। একদিন স্বপ্নে তিনি মহানবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাক্ষাত লাভ করেন। রাসূলে সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ইরশাদ করেন, ‘‘হে মঈনুদ্দীন তুমি তো দ্বীনের সাহায্যকারী। অথচ, তুমি আমার একটি সুন্নাত ত্যাগ করেছ।’’ উক্ত স্বপ্নের পর তিনি নিজের মনোভাব পরিবর্তন করলেন এবং ৫৯০ হিজরীতে বিবি আমাতুল্লাহ্ নামের রমনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। পুনরায় ৬২০ হিজরীতে বিখ্যাত অলী অজীহুল্লাহ্ মোশহেদী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি কন্যা বিবি ইসমাতুল্লাহ্র সাথে দ্বিতীয় বিবাহ করেন।

হযরত খাজা গরীব নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র ঔরসে তিনজন পুত্র সন্তান ১. খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী, ২. খাজা জিয়াউদ্দীন আবু সাঈদ এবং ৩. খাজা হিসামুদ্দীন ও ১ জন কন্যা সন্তান হাফেজা বিবি জামিলা জন্মলাভ করেন।

যে রাতে খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ইন্তিকাল করেন, তা ছিল ৬২৭/৬৩৩ হিজরীর ৬ই রজব। সেদিন এশার নামায পড়ার পর তিনি স্বীয় কক্ষে প্রবেশ করেন এবং নির্দেশ দিয়ে যান যাতে কেউ উক্ত কক্ষে প্রবেশ না করে। হুজরা বা কক্ষের সামনে পাহারাদার খাদেম রাতের প্রথমাংশে মৃদু পদসঞ্চালন শব্দ শুনেছিল এবং ইবাদতের সংকেত পেয়েছিল। তবে রাতের শেষাংশে কোন প্রকার শব্দ শুনা যায়নি। ফজরের নামাযের সময় হলে তাঁর দরজায় করাঘাত করা হয়, কিন্তু কোন প্রকার সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। অবশেষে সকলে মিলে হুজরার দরজা খোলে দেখতে পায় হযরত খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি স্বীয় প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেছেন। তাঁর কপাল মুবারাকের উপর লিখা ফুটে ওঠে- ‘‘হাযা হাবিবুল্লাহ্ মাতা ফি হুব্বিল্লাহ্’’ অর্থাৎ- এই ব্যক্তি আল্লাহর বন্ধু এবং আল্লাহর প্রেমেই তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। তাঁর পুত্র হযরত খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি জানাযার নামাযের ইমামতি করেন এবং তাঁকে স্বীয় কক্ষেই দাফন করা হয়।

প্রাকৃতিক প্রাচীর উচুঁ নিচু পাহাড়ের পাদদেশে খাজা গরীব-নাওয়াযের মাজার শরীফ অবস্থিত। মাজার শরীফের দক্ষিণে ঝর্ণা, পূর্বে লঙ্গরখানা ও খাদিম মহল্লা, উত্তরে সদর দরজা এবং পশ্চিম দিকে অন্দর কোটের মধ্য হয়ে তারাগড় পাহাড়ের রাস্তা অবস্থিত। প্রস্তুত প্রণালী এবং স্থাপত্যের দিক দিয়ে খাজা গরীব-নাওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলায়হি মাজার শরীফ এক অনন্য নিদর্শন। শুধুমাত্র ধর্মপ্রাণ মুসলমান নয় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নানা ধর্মের রাজা-প্রজা উক্ত মাজার যিয়ারতে আসেন। এভাবে যারা সত্য ন্যায়ের পথ অনুসরণ করে ধন্য হয়েছেন, মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে উক্ত পথ অনুসরণের তাওফিক দান করুন। আ-মী-ন।