আধ্যাত্মিক সম্রাট হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

আধ্যাত্মিক সম্রাট হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

ইমরান হুসাইন তুষার

সুলতানুল হিন্দ, গরিবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি ১১৪১ সালে খোরাসানে জন্মগ্রহণ করেন। খাজা গরীব নাওয়াজ নামেই তিনি বহুল প্রসিদ্ধ। পিতার নাম সৈয়দ খাজা গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহিনুর। পিতা ও মাতা উভয় দিক থেকে তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র বংশধারার সদস্য। ১৫ বছর বয়সে এতিম বালক মঈনুদ্দিন চিশতি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগানের পরিচর্যা ও দেখাশোনা করে জীবিকা নির্বাহ করতে শুরু করেন। একদিন সে বাগানের পরিচর্যাকালে হজরত ইব্রাহিম কান্দুজি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) নামে একজন আল্লাহর ওলি সেখানে উপস্থিত হন। খাজা বাবা দরবেশকে তাজিমের সঙ্গে বসিয়ে তৃপ্তি সহকারে বাগানের ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেছিলেন। দরবেশ খুশি হয়ে নিজ ঝুলি থেকে এক টুকরো রুটি বের করে নিজ মুখে চিবিয়ে কিছুটা বালক খাজা মঈনুদ্দিন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)কে খেতে বললেন। খাজা বাবাও পরম আদব ও ভক্তির সঙ্গে সাগ্রহে খেয়ে নেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনের রাজ্যে খোদায়ী নূরের আলোকচ্ছটায় ঐশী প্রেমের প্রবল তরঙ্গ বইতে শুরু করে। যার ঢেউ এবং সিলসিলা আজ অবধি চলমান। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)এর কোটি কোটি অনুসারীর মধ্য দিয়ে এই আল্লাহ প্রেমের তরঙ্গ প্রবাহিত হয়ে আসছে। সেই ফল খাওয়ার পর আধ্যাত্মিকতার অদম্য আকর্ষণে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বাগান বিক্রি করে তা আল্লাহর নামে দান করে সামান্য খরচ নিয়ে অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্বেষায় নিমগ্ন হয়েছিলেন। আল্লাহর প্রেমে ব্যাকুল হয়ে তিনি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। বুখারা, ইরাক, নিশাপুর প্রভৃতি জায়গায় যেখানে ওলি, বুজুর্গ ও দরবেশের সন্ধান পেয়েছেন সেখানেই তিনি গিয়েছেন। তিনি ইলমে মা’রেফাত অর্জনে আল্লাহর সন্ধানে সফর অব্যাহত রাখেন। এভাবে হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) একবার বুখারা থেকে নিশাপুরে আসেন। নিশাপুর এসে এখানকার ‘হারুন’ নামক একটি ছোট শহরে যুগশ্রেষ্ঠ ওলি হযরত ওসমান হারুনি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর সন্ধান পান। এই ওলি ছিলেন হাজী শরিফ জিন্দানি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)এর শিষ্য ও প্রধান খলিফা। তিনি ছিলেন তৎকালীন ইলমে মা’রেফাতের রহস্যজ্ঞানী মহান আধ্যাত্মিক তাপস। খাজা গরিবে নাওয়াজ এ মহাপুরুষের দরবারে উপস্থিত হন। একান্ত আগ্রহ নিয়ে তাঁর নিকট দীক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান।

হুযুর গাউসে পাকের ফয়েজ
লাভ ও ভারত বর্ষে আগমন
হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বহু দেশ সফর করেছেন। সফর করার আগে কঠোর ইবাদত-বান্দেগি এবং মুরাকাবা-মুশাহাদা করেছিলেন। তিনি হজ পালন করেন। সফররত অবস্থায় হজরত মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বহু পীর ওলির সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এমনকি স্বয়ং গাউসে পাক হজরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)এর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং বেশ কিছুদিন তার সঙ্গে অবস্থান করেন। হুযুর গাউছে পাক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) রক্ত সম্পর্কীয় মামা হন।”
১১৯৩ খ্রিস্টাব্দের প্রথমার্ধে খাজা মঈনউদ্দিন লাহোরে উপস্থিত হয়ে কয়েক মাস দাতা গঞ্জ বখশ-এর খানকা শরিফে অবস্থান করেন। এ সম্পর্কে আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদ ডিন, ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধান শায়খ আব্দুর রশিদ প্রণীত এবং ড.কাজী মোতাহার হোসেন হযরত দাতাগঞ্জ বখ্শ গ্রন্থে লিখেন “আলী হুব্বীরীকে তাঁর নির্মিত মসজিদের নিকটেই দাফন করা হয়েছিল। এর পর থেকে সুফি শেখ এবং সমাজের সর্বস্তরের শত শত লোক এই মকবেরা জিয়ারত করতে আসেন। কিংবদন্তী আছে, হজরত মুঈনউদ্দিন একবার এ’তেকাফ করবার জন্য এখানে কিছুদিন বাস করেছিলেন। ফিরে যাওয়ার সময় তিনি এই দুটো পদ আবৃত্তি করেছিলেনÑ
“গঞ্জ বখ্শ্ ফয়জে ‘আলম মাজহারে নুরে খোদা,
নাকেসা রা পীরে কামেল কামেলা রা রাহনুমা।”
(গঞ্জ বখ্শ্ পৃথিবীতে আল্লার রহমতÑখোদার জ্যোতির প্রকাশক, দুর্বল ঈমান ওয়ালাদের শ্রেষ্ঠ পীর, আর আউলিয়াদের পথ-প্রদর্শক।)।” অতঃপর তিনি দিল্লি হয়ে ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দের শেষভাগে আজমিরে পৌঁছেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।

চিশতিয়া তরিকা
বাগদাদে বসবাস করতেন তখনকার বিখ্যাত ওলি হযরত মোমশাদ আল দিনওয়ারি রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃÑ২৯৯হি.)। তার বয়ান শুনতে উন্মত্ত পতঙ্গের মতো ছুটে আসত প্রেম পিপাসিতরা। সেই মজলিসে তিনি এক যুবককে দেখে বিমোহিত হয়ে বললেন, তোমার নাম কি? প্রত্যুত্তরে যুবক বললেন, আবু ইসহাক শামি। তখন তিনি বললেন, না তোমার নাম আজ থেকে আবু ইসহাক চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃÑ৩৪০ হি.)। চিশ্ত উপশহরের আদিবাসীগণ তোমার মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের পথ প্রাপ্ত হবে। তুমি যে চিশতি প্রেমের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করবে তা হবে অনির্বাণ। তোমার রুহানি বংশধরগণের বুকে বুকে অনন্তকাল ধরে জ্বলবে চিশতি চেরাগ। তোমার তরিকার নাম হবে চিশতিয়া তরিকা। তিনি তার পীর মুর্শিদের নির্দেশনা অনুযায়ী খোরাসান রাজ্যের অন্তর্গত হিরাতের নিকট চিশত কসবায় গিয়ে উপস্থিত হলেন। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেন। সেখানে তিনি দ্বীন প্রচার করলেন। তিনি চিশতিয়া তরিকার প্রবর্তক ও প্রথম ইমাম। তাঁর ইন্তেকালের পর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আবির্ভূত হন হযরত আবু আহমদ আবদাল চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। তারপর হযরত খাজা আবু মুহাম্মাদ চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি), খাজা আবু ইউসুফ নাসিরউদ্দিন ইবনে সামনান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হয়ে এই তরিকার ঝা-া খাজা মাওদুদ চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)’র হাতে অর্পিত হয়। তিনি ৫২৭ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর সংঘটিত এক কারামতে প্রায় চার হাজার অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেন। চিশতিয়া তরিকার পরবর্তী নিশানাদার হন খাজা হাজি শরিফ জান্দানি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। তাঁকে সমসাময়িক আউলিয়াদের স¤্রাট বলা হত। তাঁর সুযোগ্য শিষ্য খাজা উসমান হারুনি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)সুলতানুল হিন্দের পীর ও মুর্শিদ। পাক ভারত উপমহাদেশের চৌদ্দটি তরিকার অস্তিত্বের কথা মোঘল স¤্রাট আকবরের আমলে আবুল ফজল রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ “আইন-ই- আকবরি” তে উল্লেখ রয়েছে। এ গ্রন্থে চিশতিয়া তরিকার প্রভাব যে, বেশ সুদৃঢ় ছিল সে কথা বেশ গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে যেহেতু সুলতানুল হিন্দ খাজা গরিবে নেওয়াজ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এবং তাঁর খলিফাদের হাত ধরে এই তরিকার ব্যাপক প্রসারতা লাভ করে তাই অনেকেই তাঁকে চিশতিয়া তরিকার প্রবর্তক বলে উল্লেখ করেন। নকশেবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া তরিকার ক্ষেত্রেও এমনটাই সর্বসাধারণের ধারণার প্রচলন রয়েছে বলে আমরা দেখতে পাই। বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত গবেষক ড. এনামুল হক ভারত উপমহাদেশে সুফিবাদের গোড়াপত্তন, প্রচার ও প্রসারের সময়কালকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন : ১. প্রারম্ভিক যুগ (১০০০ খ্রি. থেকে ১১৫০ খ্রি.), ২. গোড়াপত্তন ও বিকাশ (১১৫০ খ্রি. থেকে ১৩৫০ খ্রি.), ৩. সংমিশ্রণ ও পূর্ণতার যুগ (১৩৫০ খ্রি. থেকে পরবর্তীকাল) ৪. সংস্কারের যুগ (১৫৫০ খ্রি. থেকে পরবর্তীকাল।) আর গোড়াপত্তন ও বিকাশ এই সময়কালে যে সকল তরিকার ভারতবর্ষে স্থায়ীত্ব লাভ করে চিশতিয়া তরিকা তার মধ্যে অন্যতম।

পাক ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার
ও চিশতিয়া সিলসিলার বিস্তার
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সর্বাধিক অবদান রাখেন। ভারতে চিশতিয়া তরিকার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন পরবর্তীতে তাঁর অনুসারীরা যেমন- হযরত খাজা সাঈদ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি), বাবা ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশেকর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি), নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)সহ আরও অনেকে ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। বিশেষতঃ খাজা মঈন উদ্দিনের শিষ্য হিসেবে খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি রহমাতুল্লাহি আলাইহি (১১৪২-১২৩৬ খ্রি.) অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে উপমহাদেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে চিশতিপন্থী সুফী মতবাদের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচারে সফলতা লাভ করে। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহির অপর অন্যতম শিষ্য বীরভূমের শাহ আব্দুল কিরমানি রহমাতুল্লাহি আলাইহি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বঙ্গ ও বিহারে চিশতিয়া সুফি মতবাদ প্রচার করেন। এছাড়াও বাংলায় সুফি ভাব ও ইসলাম প্রচারের জন্য যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন যে সাত জন আউলিয়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, তাদের মধ্যে চারজনই চিশতিয়া তরিকার শাইখ।

বাংলায় চিশতিয়া তরিকার
প্রসারে কাজ করেন যারা
খাজা বখতিয়ার কাকির অন্যতম শিষ্য বাবা ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশেকর রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১২৬৯ খ্রি.) দক্ষিণ ভারত পরিভ্রমণ করেন এবং সেখানে প্রথম চিশতিয়া মতবাদ প্রচার করেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় দাক্ষিণাত্যে বিপুল সংখ্যক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বাবা ফরিদ-এর দুই শিষ্য আলাউদ্দিন আলী সাবির রহমাতুল্লাহি আলাইহি (১১৯৬-১২৯১) এবং দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি (১২৩৬-১৩২৫ খ্রি.) ইসলাম ধর্ম প্রচারে নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। নিজামউদ্দিন আউলিয়ার শিষ্যদের মধ্যে মীর হাসান আলায়ি রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩৩৫ খ্রি.) ও শেখ বোরহান উদ্দিন গরিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩৩৯ খ্রি.) দাক্ষিণাত্যে এবং আখী সিরাজউদ্দিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৩৫৭ খ্রি.) বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন।

শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জশেকর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি): (১১৭৭-১২৬৯) সুফিসাধক ও ইসলাম প্রচারক। পাকিস্তানের মুলতানে তাঁর জন্ম। এগারো বছর বয়সে তিনি কুরআন মুখস্থ করেন এবং মায়ের সঙ্গে হজ্জ পালন করেন। বিভিন্ন ওস্তাদের নিকট ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে তিনি কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র মুরিদ হন এবং চিশতিয়া তরিকায় খিলাফত ও ‘গঞ্জেশকর’ উপাধি লাভ করেন।
ফরিদুদ্দিন সমকালীন বিখ্যাত সুফি শাহাবুদ্দিন সোহরাওয়ার্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বাহাউদ্দিন জাকারিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং জালালুদ্দিন তাবরিজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি’র সান্নিধ্য লাভ করেন। তাঁর ফাওয়ায়েদুস সালেকিন, বদরুদ্দিন ইসহাকের ইসরারুল আউলিয়া, আমীর হাসান সিজ্জির ফওয়ায়েদুল ফওয়াদ এবং আমীর খসরুর আফজালুল ফওয়ায়েদ গ্রন্থে তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে নানা তথ্য আছে। তিনি বহুলোককে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। তাঁর খানকাহ ও লঙ্গরখানা সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকা জনপ্রিয়তা লাভ করে।
শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। তিনি চট্টগ্রামে শেখ ফরিদউদ্দিন চশমা এবং ফরিদপুরে শেখ ফরিদ নামে সুপরিচিত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পাটান জেলায় তাঁর মাজার শরিফ রয়েছে।

টিকা:

কারামতে গাউছুল আজম (রা.), পৃষ্ঠা-২৯, অধ্যক্ষ হাফেয এম.এ.জলিল, ১৯৯৭
চেরাগে চিশতি, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, পৃষ্ঠা-২১, হাকিমাবাদ খানকায়ে মোজাদ্দেদিয়া, নারায়ণগঞ্জ।
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে হিন্দী সুফী কাব্যের প্রভাব,মাহমুদা খানম, পৃষ্ঠা-৩৫,বাংলা একাডেমী।
বাংলাদেশে সুফিবাদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন. ২৮ অক্টোবর ১৬, দৈনিক সমকাল।
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে হিন্দী সুফী কাব্যের প্রভাব,মাহমুদা খানম, পৃষ্ঠা-৩৮-৩৯,বাংলা একাডেমী।
https://bn.banglapedia.org/ / শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.)

লেখক: সংগঠক ও প্রাবন্ধিক, রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর,
হাকিকত কিতাবেভী, ঢাক ডিভিশন।