আহলে হাদিসদের একটি ভ্রান্ত ধারণা ও এর অপনোদন

আহলে হাদিসদের একটি ভ্রান্ত ধারণা ও এর অপনোদন

আহলে হাদিসদের একটি ভ্রান্ত ধারণা ও এর অপনোদন
মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান
=========
মহা গ্রন্থ কুরআনুল কারীম সকল কিতাবের মধ্যে শুধু শ্রেষ্ঠই নয় মূলও। এটি সকল কিতাবের মূল ও সমস্ত জ্ঞানের প্রাণস্বরূপ। সেই কুরআনের শিক্ষা ও পরিচিতি হাদীসের মাধ্যমে জানা যায়। তাই কুরআনকে বুঝা ও চেনার জন্য পবিত্র হাদীস সম্পর্কে অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। হাদিস ব্যতীত কুরআনের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ অসম্ভব। আর হাদীসসমূহের রয়েছে এক বিশাল ভান্ডার। হাদীসগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মণিমুক্তা বের করে আনা মণিকারদের মানায়। এ কাজ তাঁদের, যাঁদেরকে আল্লাহ তা’আলা ইজতিহাদের সামর্থ্য ও অন্তর্দৃষ্টি দান করেছেন। ইজতিহাদের অধিকারী ব্যক্তিগণ মুজতাহিদ ও ফক্বীহ এবং তাঁদের গবেষণা কৃত কুরআন-হাদীসের নির্যাস হল- ইলমে ফিক্বহ। সারা বিশ্বে দ্বীনের আলো বিতরণকারী, অন্ধকারে নিমজ্জিত জনতার পথের দিশারী, অসাধারণ ধর্মীয় প্রতিভা ও নির্মল গুণাবলীর অধিকারী, বিদ্বগ্ধ পন্ডিত মুসলিম জাহানের সর্বমান্য ইমাম, বিশ্ববরেণ্য ও সমাদৃত আলেমে দ্বীন ইমাম-ই আ’যম আবু হানীফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ ফিক্বাহ শাস্ত্রের রূপকার।
বলা বাহুল্য বিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া যেমন রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়, তেমনি করে কুরআন-হাদীস ও ফিক্বহের জ্ঞানে পরিপক্ক মুজতাহিদের অনুসরণ তথা মাযহাব মানা ব্যতিত কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফ প্রত্যেকে নিজে নিজে সঠিক ভাবে বুঝে আমল করা অসম্ভব। অপরিপক্ক ডাক্তারের চিকিৎসায় যেমন রোগী মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি মুজতাহিদ ওলামা ব্যতীত অন্য কেউ কুরআন-হাদীসের বিধান বুঝার চেষ্টা করলে গোমরাহী অনিবার্য। ইমামের অনুসরণ ছাড়া কুরআন-হাদীসের গুঢ় রহস্য বুঝা অসম্ভব।
এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করে তথাকথিত আহলে হাদীস, লা-মাযহাবীরা জোর গলায় বলে- কুরআন-হাদীস ছাড়া ফিক্বাহ-ফাতওয়া গ্রন্থের ভাষ্য বা কোন ইমামের অভিমত অথবা মাযহাব মানা অবৈধ। এমনকি শিরক বলতেও দ্বিধাবোধ করে না। তাদের এই দাবী বা বিশ্বাস অমূলক ও সম্পূর্ণ কুরআন-হাদীসের পরিপন্থি। কারণ, ইমামের অনুসরণের নির্দেশ কুরআন-হাদীসের একাধিক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে এবং যাদের মাধ্যমে কুরআন-হাদীস আমাদের নিকট পর্যন্ত পৌঁছেছে, এ বিষয়ে তাঁদের অগণিত রায় ও মতামত নির্ভরযোগ্য কিতাবে বিদ্যমান।
মনে রাখা দরকার, ফক্বীহ-মুজতাহিদগণের অনুসরণ ব্যতীত কুরআন-হাদীসের উপর সঠিক আমল আদৌ সম্ভব নয়। এজন্য যারা আপন হৃদয়ে বর্ণনাকারীর নামসহ লক্ষ লক্ষ হাদীস ধারণ করেছেন তাঁদের চূড়ান্ত অভিমত হচ্ছে- ‘ফক্বীহগণের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া তথা মাযহাব মানার মধ্যেই দ্বীনি অনুসরণ নিরাপদ’। আর যারা কোন যোগ্য ওস্তাদের নিকট হাদীস শিক্ষা গ্রহণ করেননি, সনদসহ চারটি হাদীস মুখস্ত বলতে সক্ষম নয়; এ ধরনের ব্যক্তির মুখে মাযহাব না মানার কথা এবং হাজার বছরের বেশী সময়ে মুসলিম উম্মাহ্র ইজমা’ কৃত তাক্বলীদ বা ইমামের অনুসরণকে অবৈধ বলা শুধু হাস্যকর নয়, অশালীনও বটে।
হাদীসের সঠিক মর্ম বুঝার জন্য মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে ফিক্বাহ ও ফক্বীহগণের গুরুত্ব সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করব, যাতে মাযহাব বা ইমামের অনুসরণের তাগিদ সহজে বুঝা যায় এবং পাশাপাশি লা-মাযহাবীদের ভ্রান্ত ধারণার যেন খন্ডন কিংবা অপনোদন হয়।
বিশ্ববরণ্যে আলেমে দ্বীন, অসংখ্য মুহাদ্দিসের ওস্তাদ ইমাম মালিক ও প্রখ্যাত ইমাম লাইস ইবনে সা’দ এর প্রসিদ্ধ ছাত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ওহাব বলেন,
كل صاحب حديث ليس له إمام فى الفقه فهو ضال، ولولا الله أنقذنا لمالك والليث لضلنا-
অর্থ: ‘প্রত্যেক হাদীস গবেষক (মুহাদ্দিস) যার ফিক্বহর ইমাম নেই সে পথভ্রষ্ট। যদি আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইমাম মালিক (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ও লাইস ইবনে সা’দ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর মাধ্যমে রক্ষা না করতেন তাহলে আমরাও পথভ্রষ্ট হয়ে যেতাম’। সিহাহ সিত্তার অন্যতম গ্রন্থ তিরমিযী শরীফে ইমাম তিরমিযী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বর্ণনা করেন,وكذالك قال الفقهاء: وهم أعلم بمعاني الحديث- অর্থাৎ: ‘ফক্বীহগণ এমনও বলেছেন, তাঁরাই হাদীসের অর্থ সবার থেকে ভাল বুঝেন।’ এমনি করে বিশ্ববিখ্যাত হাফিজুল হাদীস
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন,
إذا كان عند الرجل الكتب المصنفة فيها قول الرسول صلى الله عليه وسلم وإختلاف الصحابة والتابعين فلايجوز أن يعمل بما شاء يتخير فيقضى به ويعمل به حتى يسأل أهل العلم ما يؤخذ به فيكون يعمل على أمر صحيح-
অর্থাৎ: কোন ব্যক্তির কাছে যদি হাদীসের এমন কিতাব থাকে, যে গ্রন্থের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী, সাহাবী ও তাবি‘ঈগণের বিভিন্ন মতামত রয়েছে, তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্য জায়েয হবে না, নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী হাদীসের উপর আমল করা বা না করাÑ যতক্ষণ পর্যন্ত কোন যোগ্য আলিম তথা ফক্বীহর নিকট জিজ্ঞাসা করে। যোগ্য আলিমের নিকট জেনে আমল করলে তবেই ওই ব্যক্তির আমল সহীহ তরীকায় করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনু ওয়ায়না (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর উক্তি ইমাম ইবনে আবী যায়দ কায়রুয়ানী এভাবে বর্ণনা করেন الأحاديث مضلة إلا للفقهاء- অর্থ: ফক্বীহগণ ছাড়া হাদীস অন্য কারো জন্য পথভ্রষ্টতার কারণ হতে পারে। ইমাম ইবনে আবী যায়দ কায়রুয়ানী উক্ত উক্তির বিশ্লেষণে বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্যÑ ফক্বীহগণ ব্যতীত অন্যরা কেন হাদীসের বাহ্যিক অর্থ গ্রহণ করবে? অথচ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় অপর হাদীস বা অন্য কোন দলীলে রয়েছে। অথবা হাদীসটির আমল বর্জনীয়। অর্থাৎ এমন শক্তিশালী দলীল রয়েছে যার কারণে উক্ত হাদীসটি গ্রহণীয় নয়। আর এই বিষয়গুলি শরীয়তের সকল দলীলে অধিক পান্ডিত্য অর্জন, ফিকাহ শিক্ষা করা ব্যতিত জানা সম্ভব নয়।
এমনিভাবে, বিশ্ববরেণ্য আলেম, ইমাম শাফে‘ঈ (রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলাইহি)-এর অন্যতম শিষ্য ইমাম মুযানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন.أطلب العلم عند اهل الفقه تكونوا فقهاء- অর্থাৎ: তোমরা ফক্বীহগণ থেকে ইলম শিক্ষা গ্রহণ কর এবং ফক্বীহ হয়ে যাও। তৎকালীন সময়ে মূলত ফক্বীহগণ কোন একটা হাদীসের উপর আমল করলে ওই হাদীস আমলযোগ্য বলে বিবেচিত হতো। তেমনি করে সহীহ বুখারীর বর্ণনাকারী আবু বকর ইবনে আয়াশ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বর্ণনা করেন,ما رأيت فقيها قط يفعله অর্থ: কোন ফক্বীহ্কে আমি এমন কাজ করতে দেখিনি। অর্থাৎ কোন ফক্বীহ আলিম এমন আমল করলে বিষয়টি জায়েয হতো। যেহেতু কোন ফক্বীহ বিষয়টির উপর আমল করেননি, সেহেতু এটা বৈধ নয়। এ বিষয়ে অন্যতম মুহাদ্দিস হাফিজ ইবনু হাজর আসক্বলানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) উল্লেখ করেন, فإن علم الحلال والحرام إنما يتلقى من الفقهاء অর্থ: নিশ্চয়ই হালাল-হারামের জ্ঞান ফক্বীহগণ থেকে অর্জন করতে হয়।
প্রিয় নবীজীর হাদিস প্রচার-প্রসারে যাঁর অনন্য অবদান, সেই প্রখ্যাত তাবি‘ঈ বরেণ্য ইমাম আ’মাশ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর সম্মূখে তাঁর যোগ্য ছাত্র ইমাম আবু হানিফা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)কে এক ব্যক্তি একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলো, ইমাম-ই আ’যম তাৎক্ষণিকভাবে মাসআলাটার সমাধান দিলে ইমাম আ’মাশ বিস্ময় প্রকাশ করে ইমাম আযমকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কোত্থেকে এটার সমাধান দিয়েছ? উত্তরে ইমাম আযম বলেন, এমন একটা হাদীস থেকে রায় প্রদান করেছি, যা আপনার থেকে শুনেছি। তখন ইমাম আ’মাশ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ফক্বীহ্দের হাক্বীকত প্রকাশ করে বলেন, يا معشر الفقهاء! أنتم الأطباء، ونحن الصيادلة- অর্থ: ‘হে ফক্বীহ সম্প্রদায়! তোমরা ডাক্তার আর আমরা ওষুধ বিক্রেতা’। অর্থাৎ ডাক্তারগণ যেমন ভাল জানেন কোন্ রোগের কি ওষুধ, তেমনি তোমরা (ফক্বীহগণ) ভাল জান কোন হাদীস আমলযোগ্য আর কোন্টা আমল যোগ্য নয়। এছাড়া মহাগ্রন্থ ক্বোরআনুল করীম বিশেষ করে অসংখ্য হাদীসে ফক্বীহ বা মুজতাহিদ ওলামার অনুসরণের নির্দেশ ও গুরুত্বের কথা উল্লেখ রয়েছে; যা এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা করার সুযোগ নেই।
সম্মানিত চার মাযহাবের ইমামের পূর্বে সাহাবা-তাব‘ঈর যুগে মাযহাবের প্রচলন ছিল নাÑ একথা বলে তথাকথিত আহলে হাদিস সরলমনা মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে সদা-সর্বদা। তাদের এই দাবী মূলত বাস্তবতাবর্জিত ও মিথ্যাচার। সত্য ও পক্ষপাতিত্বমুক্ত কথা হচ্ছে- সম্মানিত চার ইমামের মাযহাব খ্যাতি লাভ করলেও এর পূর্বেও মাযহাবের প্রথা বিদ্যমান ছিল, এতদ্বিষয়ে ছোট একটি দলীল পেশ করা হলÑ ইমাম বোখারীর সম্মানিত ওস্তাদ আলী ইবনুল মাদাইনী (রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলাইহি) রচিত কিতাবুল ইলাল গ্রন্থে উল্লেখ করেন,
لم يكن فى اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم من له صحبة يذهبون مذهبه ويفتون بفتواه ويسلكون طريقته إلا ثلاثة: عبد الله بن مسعود وزيد بن ثابت و عبد الله بن عباس رضى الله عنهم-
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গপ্রাপ্ত সাহাবীদের মধ্যে তিনজন সাহাবীর মাযহাব অনুসরণ করা হত, তাঁদের প্রদত্ত ফাত্ওয়া অনুযায়ী রায় প্রদান করা হত এবং তাঁদের (ফিক্বহী সমাধানের) তরীক্বা বা পন্থা অনুসরণ করা হত। উক্ত তিনজন সাহাবী হলেনÑ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, যায়িদ ইবনে সাবিত ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ।
আলী ইবনু মুদায়নী: কিতাবুল ইলাল; পৃ. নং- ১০৭
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছেÑ ‘সাহাবীদের মাঝেও মাযহাবের প্রথা চালু ছিল। সেই ‘খায়রুল কুরুন’ স্বর্ণ যুগেও ফক্বীহ মুজতাহিদগণের অনুসরণ করা হত, আর এই অনুসরণ-অনুকরণের নামই হল- তাক্বলীদ বা মাযহাব মানা। যেমনি করে ফক্বীহ মুজতাহিদগণের ফিক্বহী সমাধান ও ফতোয়া অনুকরণ নতুন বিষয় নয়, তেমনি করে মাযহাব মানা পুরানো বিষয়। এই চিরসত্য ও বাস্তব বিষয়ের উপর মুসলিম উম্মাহ ইসলামের ঊষালগ্ন থেকে অদ্যাবধি আমল করে আসছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
কাজেই, মাযহাবের হাক্বীকত কী, মাযহাব পূর্বের যুগে ছিল কী, এটার প্রয়োজন কী, এ সকল অবান্তর ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন করে মুসলিম সমাজকে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার ইমামগণের মূল্যবান জীবন কুরবানীর বিনিময়ে গড়ে ওঠা চৌদ্দশত বছর যাবত কালের ইল্মের এই তরীকে ডুবিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এজন্য সত্যিকার আলিমগণ মাযহাব অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং সরলপ্রাণ মুসলিম মিল্লাতের ঈমান-আমল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ ও ভূমিকা সময়ের দাবী।
টিকা:
– ইমাম কায়রুয়ানী: কিতাবুল জা’মি: পৃ. নং- ১৭৭।
– ইমাম তিরমিযী: আল-জামি; খন্ড: ০১, পৃ. নং- ১১৮
– ইবনুল কায়্যিম: ইলামুল মুয়াক্কিয়ীন; খন্ড-০১, পৃ. নং-৪৪।
– আল-জামি, পৃ. নং- ১১৭। সুত্র: আসরু আল-হাদীস আশ-শরীফ; পৃ. নং ৬৩।
– খতিব বাগদাদী: আল-ফক্বীহ ওয়াল মুতাফাক্বীহ: খন্ড- ০২, পৃ. নং- ১৫।
– ইমাম তাহাবী: শরহু মানিয়িল আসার; খন্ড- ১০, পৃ. নং- ১১২।
– ইবনু হাজর আসকলানী: ফাতহুল বারী; খন্ড-০৯, পৃ. নং- ৩১।
– সুনানু দারিমি: খন্ড-০১, পৃ. নং- ১০৭।