Sat 17 Dhul Hijjah 1443AH 16-7-2022ADIn প্রবন্ধ
Byanjuman
মাযহাব অনুসরণ
মাযহাব অনুসরণ প্রেক্ষিত সরল পথের সন্ধান-
মুহাম্মদ খাইরুল ইসলাম
===
বর্তমান বিশ্বে মুসলিম সমাজে মাযহাব, তাক্বলিদ, মুক্বাল্লিদ, গাইরে মুক্বাল্লিদ, ইজতিহাদ ও মুজতাহিদ ইত্যাদি অত্যন্ত সুপরিচিত ও বহুল আলোচিত শব্দ। যার ফলে এ পরিচিত শব্দগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করা সময়ের দাবি। তাই এ প্রবন্ধে মাযহাব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা আলোচনার প্রয়াস পাচ্ছি।
মাযহাবের পরিচয়
‘মাযহাব’ শব্দটি আরবি। যার শাব্দিক অর্থ হলোÑ চলার পথ, আদর্শ, মতবাদ ইত্যাদি।
ইসলামী শরিয়াতের পরিভাষায়Ñ কোনো বিশেষ প্রশ্নে ইসলাম ধর্মের মৌলিক উৎস কোরআন ও হাদিস থেকে আল্লাহ্ তায়ালার আইন-কানুন বের করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যাখ্যাসমূহ হতে একজন মুজতাহিদ কর্তৃক কোনো একটি ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করার এখতিয়ারকে মাযহাব বুঝায়। [ইবনে রজব হাম্বলী রহ]
সার্বজনীন বিশেষ অর্থেÑ যে ব্যক্তি কোরআন, সুন্নাহ্, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাবলীর সমাধান করতে সক্ষম নয়, এমন ব্যক্তির জন্য
কোরআন, সুন্নাহ্, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে জীবন সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম এমন কোনো বিশ্বস্ত মুজতাহিদ ইমামের মতামতের অনুসরণ করাকে মাযহাব
বলে।
প্রকৃত অর্থেÑ কোরআন-সুন্নাহ্’র প্রদর্শিত নবী-রাসূল, সিদ্দীক, শহীদ, সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গের মনোনীত আদর্শের নাম মাযহাব, যা সিরাতে মুস্তাকিম বা সরল- সঠিক পথ নামে পরিচিত।
মাযহাবের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
প্রত্যেক ধর্মের ক্ষেত্রে একটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে যে, ধর্মকে পরিপূর্ণভাবে জানা। আর ধর্মকে পরিপূর্ণ জানতে হলে উক্ত ধর্মের মূল গ্রন্থের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন কোরআন-সুন্নাহ্র উপর গভীরভাবে অধ্যয়ন ও গবেষণা করা। আর এটা সবার পক্ষে সম্ভব নয় যে, সে ধর্মের সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম সকল বিষয়কে গভীরভাবে উপলব্ধি করবে। তবে প্রত্যেকের জন্য জরুরী হলো ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে জীবনকে পরিচালনা করা।
এক দিকে যেমন কোরআন-সুন্নাহ্র সকল বিষয়ের নিগূঢ় রহস্য সবার পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, অন্যদিকে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলা সকলের জন্য কর্তব্য। এখন প্রশ্ন হলোÑ যে ব্যক্তি সকল বিধি-বিধান উপলব্ধির যোগ্যতা রাখে না, সে কিভাবে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলবে? এখানেই মাযহাবের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা প্রস্ফুটিত হয়। আর এটাতো মহান আল্লাহ্ তায়ালার চিরন্তন বিধান ও অমোঘ নীতি যে, সকল মানুষ এক স্তরের হবে না। কেউ অধিক সমঝদার, কেউ তাঁর তুলনায় কম। সুতরাং যারা সকল বিষয়ে সমঝ রাখে না তাঁরা অধিক সমঝদার ও জ্ঞানী ব্যক্তি থেকে বিধান জেনে নেবে; আর এটাই তো মাযহাব।
এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসলামের এমন কিছু বিধি-বিধান রয়েছে, যার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে আইম্মায়ে মুজতাহিদীন পর্যন্ত কারো মাঝে কোনো মতপার্থক্য নেই। যে গুলো “মাজমা’ আলাইহি” তথা সকলের নিকট এক ও অভিন্ন।
পক্ষান্তরে, এমন কিছু বিধি-বিধান রয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ইমামগণের মাঝে মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। আর এ মতভিন্নতার সূচনা হয়েছে ‘খাইরুল কুরুন’ থেকে, কিংবা বিষয়টি-ই এমন যে, যাতে সুস্পষ্ট বক্তব্যপূর্ণ কোনো আয়াত বা সহিহ্ হাদীস নেই। এমন কি এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের ইজমা’ অথবা কোনো ‘আছার’ ও পাওয়া যায় না। যেমনÑ
১. মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেনÑوالمطلقت يتربصن بأنفسهن ثلثة قروء [সূরা বাক্বারা-২২৮] আয়াতে (قروء) শব্দ দ্বারা কি (طهور -নারীর হায়যমুক্ত পবিত্রাবস্থা) উদ্দেশ্য নাকি (حيض-ঋতু¯্রাব) উদ্দেশ্য; এ প্রশ্নের জটখোলা কি সকলের পক্ষে সম্ভব?
২. অনুরূপ- একটি হাদিসে রয়েছেÑمن كان له امام فقراءة الامام له قراءته- (যার ইমাম আছে, অর্থাৎ মুক্বতাদী, তার ইমামের ক্বিরআতই তার ক্বিরাআত)
আবার অন্য হাদিসে রয়েছেÑلا صلوة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب (যে সূরা ফাতিহা পড়ে না, তার নামায হয় না)।
এখানে হাদিস দুটি পারস্পারিক বিরোধপূর্ণ
প্রথম হাদিসের বক্তব্য হলোÑ ইমামের পেছনে নামায পড়া অবস্থায় মুক্বতাদীর ক্বেরাত পড়তে হবে না। আর দ্বিতীয় হাদিসের বক্তব্য হলোÑ প্রত্যেক মুসল্লিকে অবশ্যই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। নচেৎ নামায হবে না। হাদিস দুটির বাহ্যিক এই বিরোধ নিরসন পূর্বক তার উপর যথার্থ আমল করা কি কোনো সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব? আদৌ সম্ভব নয়।
মুজতাহিদ ইমামগণ শরয়ী ক্বিয়াসের ভিত্তিতে ইজতিহাদ করে এ সকল বিরোধপূর্ণ বিষয়ে পূর্ণ সমাধান বের করেছেন। এ সকল সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম মাসায়েলের সমাধান একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে করবে? এ জন্যেই মাযহাব বা মুজতাহিদ ইমামের ফতোয়ার অনুসরণ করতে হয়।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, কোরআন-সুন্নাহ্ তথা পবিত্র শরীয়তের এমন অনেক দিক আছে, যে গুলো সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহ্ বিষয়ে বিজ্ঞজনদের রাহনুমায়ী এবং দিক নির্দেশনা ছাড়া সাধারণ মুসলমানদের পক্ষে তা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। কাজেই বাধ্য হয়ে তখন তাকে কোন নির্ভর যোগ্য বিশ্বস্ত বিজ্ঞ ইমামের মাযহাবের অনুসরণ করতে হয়। আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের নির্দেশও তাই।
মাযহাবের প্রমাণাদি
এবার দেখুন এ বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ্ ও সাহাবা যুগের দিক নির্দেশনা ঃ
দলিল নং ১ : মহান আল্লাহ্ পাক এরশাদ করেনÑيا ايها الذين امنوا اطيعوا الله واطيعوا الرسول واولى الأمرمنكم অথার্ৎ-হে ঈমানদারগণ; তোমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর তাদের, যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।[সূরা আন-নিসা, আয়াত-৫৯]
অত্র আয়াতে اولى الأمر এর তাফসীরে ইমাম জাসসাস (রহঃ) বলেন يدل على ان اولى الأمرهم الفقهاء لأنه امر سائر الناس بطاعتهم
অর্থাৎ এ আয়াত প্রমাণ করে যে, ‘উলুল আমর’ হলো ফক্বিহ্ ইমামগণ। কেননা, সকল মানুষকে তাঁদের আনুগত্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [আহকামুল কোরআন, ৭ম খন্ড, ২৩১পৃষ্ঠা]
মহান আল্লাহ্ তায়ালা অন্য আয়াতে এরশাদ করেন فَسْئَلُوْا اَهْلِ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لاَ تَعْلَمُوْنَ অর্থাৎ তোমরা জ্ঞানবানদেরকে জিজ্ঞাসা করো, যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে। [সূরা আম্বিয়া, আয়াত-০৭]
আলোচ্য আয়াতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, অনভিজ্ঞ ও অপরিপক্ক ব্যক্তিদেরকে অভিজ্ঞ ও পরিপক্ক ব্যক্তিবর্গের শরণাপন্ন হয়ে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। আর একথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, অভিজ্ঞ ও পরিপক্ক ব্যক্তি হলেন মাযহাবসমূহের ঐ সকল মহান ইমাম যাঁদের অনুসরণের হুকুম স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাকই দিয়েছেন।
বিগত ১৪০০ বছরাধিককালের সমীক্ষার আলোকে প্রমাণিত হয়েছে যে, ভবিষ্যতে চার মাযহাবের ইমামের ন্যায় সুযোগ্য শরীয়ত বিশেষজ্ঞ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তি পাওয়া খুবই দুস্কর এবং অসম্ভব। তাই শরীয়ত বিশেষজ্ঞ, সৎকর্মশীলগণের অনুসরণ করতে হলে ইমাম চতুষ্টয়, বিশেষ করে ইমাম-ই আযম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির পথ ও মতের বিকল্প নেই। আর এ পথ ও মতের আরবি নাম হলোÑমাযহাব।
সাহাবা যুগ থেকেই মাযহাবের অনুকরণ ও অনুসরণ চলে আসছে। যেমন- হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু জাবিয়া নামক স্থানে ভাষণ দেয়ার সময় বলেনÑ
من اراد ان يسئل عن القران فليأت أبى بن كعب ومن اراد ان يسئال عن الفرائض فليأت زيد بن ثابت ومن اراد ان يسئال عن الفقه فليأت معاذ بن جبل ومن اراد ان يسأل عن المال فليأتنى-
অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পবিত্র কোরআন মাজিদ সম্পর্কে জানতে চায়, সে যেন উবাই ইবনে কাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে জেনে নেয়। আর যে ব্যক্তি ফারায়েজ (উত্তরাধিকারী সম্পদ বন্টনের বিধান) সম্পর্কে জানতে চায়, সে যেন যায়েদ বিন সাবেত রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে জেনে নেয়। যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্হ সম্পর্কে জানতে চায় সে যেন মুয়ায ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে জেনে নেয়। আর যে ব্যক্তি মালের (গণিমতের) বিধান সম্পর্কে জানতে চায়, সে যেন আমার নিকট আসে।
[সুনানে বায়হাক্বী হাদীস নং-১২৫৫১]
আলোচ্য হাদীসে ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সাহাবায়ে কেরামের যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে বিষয়ে তাঁর মধ্যে যিনি অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যেখানে অভিজ্ঞ সাহাবায়ে কেরামের মাযহাব বা মতামতের অনুসরণ করেছেন, সেখানে আমাদের আরো অধিক গুরুত্ব দিয়ে মাযহাবের অনুসরণ করতে হবে।
মাযহাবের সংখ্যা
সুপ্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে চলমান মাযহাব চারটি। যথা : হানাফী, শাফেঈ, মালেকী এবং হান্বলী। যার উপর উম্মতে মুহাম্মাদীর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমন : শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন, ان هذه المذاهب الأربعة المدونة المحررة قد اجتمعت الامة- অর্থাৎ, নিশ্চয় উদ্ভাবিত এই নির্দিষ্ট চার মাযহাব (হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ও হান্বলী) সম্পর্কে উম্মতের ইজমা হয়েছে।
[হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা ১ম খন্ড, ৫০৬ পৃষ্ঠা]
মাযহাব চার এ সীমাদ্ধ হবার কারণ
এখানে একটি প্রশ্ন জাগে যে, মাযহাব চারটি কেন হলো? তা চার এর অধিক বা কমও হতে পারতো। এর উত্তর হলো- এ কথা সুস্পষ্ট যে, চার ইমাম ছাড়াও আরো অনেক মুজতাহিদ ইমাম ছিলেন এবং তাঁদের নামেও মাযহাব ছিল; কিন্তু তাঁদের অনুসারীগণ না থাকায় তাদের নামে বর্তমানে কোনো মাযহাব অবশিষ্ট নেই। এর প্রধান কারণ হলো কোনো ইমামের মাযহাব পরবর্তীদের মাঝে বিস্তার লাভ করার স্বত;সিদ্ধ শর্ত হলো সেই ইমামের ইজতিহাদকৃত মাসায়েল সুবিন্যস্থ গ্রন্থবদ্ধ ও সংরক্ষিত থাকা এবং উক্ত ইমামের ছাত্র কর্তৃক সেই ইজতিহাদ কৃত মাসায়েল পরবর্তীদের নিকট পেীঁছা। আর এ বিষয়টি চার ইমাম ছাড়া অন্য কোনো ইমামের ক্ষেত্রে হয়নি। তাই চার মাযহাবের ইমামের অনুসরণের উপর উম্মতে মুহাম্মদীর ইজমা প্রমাণিত হয়েছে।
এ সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা জীবন (রহ) লিখেন-
الانصاف أن انحصار المذاهب فى الاربع واتباعهم فضل الهى وقبولية من عند الله تعالى لامجال فيه للتوجيهات والادلة-( التفسيرة احمدية صفحة-٣٦٤ )
অর্থাৎ নিরপেক্ষ কথা এই যে, মাযহাব চারটিতে সীমাবদ্ধকরণ এবং তাঁদের অনুসরণ তা খোদায়ী অনুগ্রহ এবং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে গৃহীত। এতে প্রমাণ খোজার কোনো অবকাশ নেই।
যে ব্যক্তি জীবনে এক মূহুর্তের জন্যও দ্বীনি বিষয়ে গবেষণার সুযোগ পায়নি বা মাদ্রাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি সেও একজন মুজতাহিদ ইমামের মাযহাব অনুসরণ করে বিশুদ্ধভাবে ইসলাম পালনের সুযোগ পাচ্ছে। এর চেয়ে বড় ইলাহী অনুগ্রহ আর কি হতে পারে?
শেষ কথা
মুজতাহিদ সুলভ যোগ্যতা যাঁদের মধ্যে রয়েছে, তাঁদের উপর যেমন ইজতিহাদ করা ফরয বা অপরিহার্য, তেমনি যাদের মধ্যে এ যোগ্যতা নেই, তাঁদের উপর তাক্বলীদ করা (কোন একটি মাযহাবের অনুসরণ করা)ও ওয়াজিব বা অপরিহার্য। এটাই নিরাপদ। অন্যথায় মহাবিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
উপরিউক্ত আলোচনায় কোরআন-সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এর আমল ও ইজমার ভিত্তিতে বুঝা গেল যে মাযহাব সত্যান্বেষী নিষ্ঠাবান মুসলমানদের ইসলামী জীবন পরিচালনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আল্লাহ পাক আমাদের সেই মাযহাবের ছায়াতলে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন। বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালিন।
লেখক : শিক্ষার্থী-কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।