কালেমাসমূহ

কালেমাসমূহ

অন্যান্য কালেমা

ধর্ম-বিশ্বাসের বাক্য ও বাক্যসমষ্টিকে কালেমা বলা হয়। এই কালেমাগুলোর উচ্চারণ বা পাঠই হল আন্তরিক ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। কালেমা প্রধানতঃ ৫টি। নিম্নে ওই পাঁচ কালেমা উল্লেখ করা হল:

১. কালেমা তাইয়্যেব  (উত্তম বাক্য)

لَآ اِلٰہَ اِلَّا اللّٰہُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللّٰہِ

উচ্চারণঃ   লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রসূ-লুল্লাহ্‌।

অর্থঃ আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই, ‘মুহাম্মদ’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসূল।

২. কালেমা-ই  শাহাদাত (সাক্ষ্য বাক্য)

اَشْھَدُ اَنْ لَآ اِلٰہَ اِلَّا اللّٰہُ وَحْدَہٗ لَاشَرِیْکَ لَہٗ وَاشْھَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُہٗ وَرَسُوْلُہٗ

উচ্চারণঃ আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা শারীকা লাহূ ওয়াশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদান্‌ আবদুহূ ওয়া রসূ-লুহূ।

অর্থ ঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিশ্চয়ই তাঁর প্রিয় বান্দা ও রসূল।

৩. কালেমা-ই তাওহীদ (আল্লাহ্‌র একত্বে বিশ্বাসের বাক্য)

لَآاِلٰہَ اِلَّا اَنْتَ وَاحِدًا لَّاثَانِیَ لَکَ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللّٰہِ اِمَامُ  الْمُتَّقِیْنَ رَسُوْلُ رَبِّ الْعَالَمِیْنَ

উচ্চারণ ঃ লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়া-হিদাল লা- সা-নিয়া লাকা মুহাম্মাদুর রসূ-লুল্লা-হি ইমামুল মুত্তাক্বী-না রসূ-লু রব্বিল আ-লামীন।

অর্থ ঃ (হে মা’বূদ) তুমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। তুমি একক, অদ্বিতীয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসূল, ধর্মভীরুদের ইমাম ও বিশ্বরবের প্রেরিত।

৪.কালেমা-ই তামজীদ  (আল্লাহ্‌র সম্মান ও গুণবাচক বাক্য)

لَآ اِلٰہَ اِلَّا اَنْتَ نُوْرًا یَّھْدِی اللّٰہُ لِنُوْرِہٖ مَنْ یَّشَآءُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللّٰہِ اِمَامُ الْمُرْسَلِیْنَ وَخَاتَمُ النَّبِیِّیْن

উচ্চারণ ঃ লা-ইলা-হা ইল্লা-আন্‌তা নূ-রাইঁ ইয়াহ্‌দিল্লা-হু লিনূ-রিহী মাইঁ ইয়াশা-উ, মুহাম্মাদুর রসূ-লিল্লা-হি ইমামুল মুরসালী-না ওয়া খা-তামুন্‌ নাবিয়্যী-ন।

অর্থ ঃ (হে মা’বূদ) তুমি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তুমি জ্যোতির্ময়। আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা নূরের দিকে চালিত করেন। আল্লাহর প্রেরিত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম রসূলগণের ইমাম এবং নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ।

৫. কালেমা-ই  রদ্দে কুফর (কুফর খণ্ডন বাক্য)

اَللّٰھُمَّ اِنِّیْ ٓاَعُوْذُبِکَ مِنْ اَنْ اُشْرِکَ بِکَ شَیْءًا اَنَا اَعْلَمُ بِہٖ وَاسْتَغْفِرُکَ لِمَا اَعْلَمُ بِہٖ وَمَا لَآ اَعْلَمُ بِہٖ تُبْتُ عَنْہُ وَتَبَرَّأتُ مِنَ الْکُفْرِ وَالشِّرْکِ وَالْمَعَاصِیْ کُلِّھَا وَاَسْلَمْتُ وَاٰمَنْتُ وَاَقُوْلُ اَنْ لَّآاِلٰہَ اِلَّا اللّٰہُ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللّٰہِ

উচ্চারণ ঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’ঊ-যুবিকা মিন আন্‌ উশ্‌রিকা বিকা শাইআওঁ ওয়া আনা আ’লামু বিহী, ওয়াস্‌তাগ্‌ফিরুকা লিমা আ’লামু বিহী ওয়া মা- লা-আ’লামু বিহী তুবতু আনহু ওয়া তাবার্‌রা’তু মিনাল কুফ্‌রি ওয়াশ্‌ শির্‌কি ওয়াল মা’আ-সী কুল্লিহা, ওয়া আসলামতু ওয়া আ-মানতু ওয়া আক্বূ-লু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রসূ-লুল্লা-হ্‌।

অর্থ ঃ  হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি যেন আমার জানা মতে কাউকেও তোমার সাথে অংশীদার না করি। আমার জানা-অজানা গুনাহ্‌ হতে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তা থেকে তাওবা করছি। কুফর, শির্‌ক ও অন্যান্য সমস্ত গুনাহ্‌ হতেও পবিত্র থাকছি এবং মেনে নিয়েছি ও মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেছি যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কোন মা’বূদ নেই, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্‌র রসূল।

উল্লেখ্য, নিম্নলিখিত কালেমা দুটিকেও যথাক্রমে ‘কলেমা-ই তাওহীদ’ ও ‘কলেমা-ই তামজীদ’ বলা হয় :

কলেমা-ই তাওহীদ

لَآاِلٰہَ اِلاَّاللّٰہُ وَحْدَہٗ لَاشَرِیْکَ لَہٗ لَہُ الْمُلْکُ وَلَہُ الْحَمْدُ یُحْیٖ وَیُمِیْتُ بِیَدِہِ الْخَیْرِ وَھُوَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ

কলেমা-ই তামজীদ

سُبْحَانَ اللّٰہِ وَالْحَمْدُ لِلّٰہِ وَلَآ اِلٰہَ الاَّ اللّٰہُ وَاللّٰہُ اَکْبَروَلَاحَوْلَ وَلَاقُوَّۃَ اِلاَّ بِاللّٰہِ الْعَلِیِّ الْعَظِیْمِ

নামায শিক্ষা