[আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এর একক অঙ্গ সংগঠন] কার্যালয়: ৩২১ দেওয়ান বাজার, দিদার মার্কেট, চট্টগ্রাম। ১ আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ (কমি:), চেয়ারম্যান–০১৮১৯-৩১৭৬২৮ ২ আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, সি. ভাইস চেয়ারম্যান–০১৮১৯-৩১২১১০ ৩ আলহাজ্ব এম.এ. হামিদ, ভাইস চেয়ারম্যান–০১৭১৩-১০০০৯৫ ৪ আলহাজ্ব রহমত আলী (কমি:), (ঢাকা) ভাইস চেয়ারম্যান–০১৯১১-৩০৩৮৫৮ ৫ মুহাম্মদ শাহজাদ ইবনে দিদার, মহাসচিব– ০১৭১৫-৮৪৭৩৭৪ ৬ আলহাজ্ব (এড.) মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, যুগ্ম মহাসচিব– ০১৮১৯-৩৩৪৬০৮ ৭ মাহবুবুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব– ০১৮১৯-৩২৪৫৭৯ ৮ আলহাজ্ব আব্দুল মালেক বুলবুল, (ঢাকা ) যুগ্ম মহাসচিব– ০১৭১৩-০৩৮৮৪৮ ৯ আলহাজ্ব এস.এম. মাহবুব এলাহী সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক–০১৮১৯-৩৭১৩৮৯ ১০ অধ্যাপক রিদওয়ান আশরাফী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক–০১৭২০-৬৮৮১৯৪ ১১ আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দীন সবুর, অর্থ সম্পাদক–০১৬৭৮-০৬২৫০১
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ
একটি সমাজ সংস্কার মূলক অরাজনৈতিক আন্দোলন। সমাজ সংস্কারের পূর্বশর্ত হলো ব্যক্তি সংস্কারমূলক পদক্ষেপ; অর্থাৎ যারা এই সমাজ সংস্কারে নেতৃত্ব দেবে প্রথমে তাদের আত্মশুদ্ধি নিশ্চিতকরণ। এজন্যে গাউসিয়া কমিটির পরিকল্পনা হলো- ১. গাউসুল আ’যম জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র সিল্সিলাহর কামিল প্রতিনিধির হাতে বায়’আত ও সবক গ্রহণের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির এ পাঠশালায় অন্তর্ভুক্তকরণ। ২. গাউসিয়া কমিটির সদস্য বানিয়ে তাদেরকে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তারা ধীরে ধীরে আমিত্ব, হিংসা বিদ্বেষ, লোভ-লালসা ও অহঙ্কারমুক্ত পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে পরিণত হয়। ৩. সুন্নীয়তের আক্বীদা এবং ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির সাথে সাথে উভয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় মৌলিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নেতৃত্বের উপযোগী কর্মি হিসেবে গড়ে তোলা। ৪. সুন্নীয়ত ও ত্বরীকতের দায়িত্ব পালনে, বিশেষতঃ মাদরাসা, আনজুমান এবং মুর্শিদে বরহক্বের নির্দেশের প্রতি আস্থাশীল এবং মুর্শিদের বাতলানো পথে নিবেদিত হয়ে নবী প্রেমিক এবং খোদাপ্রাপ্তির পথ সুগম করার অনুশীলনে নিরলসভাবে এগিয়ে চলার শপথ গ্রহণ করা।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো সিলসিলার দাওরা বিশেষত ত্বরিকতের নতুন ভাই বোনদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও নসীহতের ব্যবস্থা করা। এ ধরনের অনুষ্ঠান কোন অঞ্চলে হুজুর কেবলা’র মাহফিল এবং বায়াতী কার্যক্রম সম্পন্ন হবার অব্যবহিত পরেই করতে হয় যাতে নবাগত পীর ভাই-বোনরা তাদের জীবনের এ নতুন আধ্যাত্মিক অধ্যায় সুন্দর ও সহজভাবে গ্রহণ করে অগ্রসর হতে পারে। এ মাহফিল সিলসিলাহ’র সবক নসীহত, দ্বীনি খিদমত, আনজুমানের আনুগত্য করা এবং খতমে গাউসিয়া,গেয়ারভী শরীফ, মাদরাসা-খানকা পরিচিতি সহ প্রয়োজনীয় করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে শিক্ষা-প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা মাহফিলটি একই সাথে নুতন-পুরাতনদের পরিচিতি ও মিলন মেলা হিসেবে পরিণত করা। একে আমরা পীর ভাই-বোনদের সম্মেলন নাম দিয়ে প্রতি বছর প্রতিটি কমিটির আওতায় অন্তত একবার আয়োজন করা উচিত বলে মনে করি।
১৯৭৫ সন থেকে তাঁরই নির্দেশে শুরু হয়েছে চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে ‘জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর মতো একটি শরীয়ত সম্মত বর্ণাঢ্য মিছিলের কর্মসূচী; যাতে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ শামিল হয়ে এ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ সংস্কারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বিশেষ করে গাউসে পাক’র স্মরণে প্রতি মাসের গেয়ারভী শরীফ এবং খতমে গাউসিয়া শরীফসহ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলায়হি’র যুগান্তকারী মসলকে আ’লা হযরত প্রচার-প্রসারের যে যাত্রা হযরত সিরিকোটী হুযূরের হাতে শুরু হয় তা তাঁর হাতে লাভ করে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। মোট কথা ১৯৮৬ পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই গাউসে পাকের এই কাফেলায় শামিল হয় দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। দেশের আনাচে কানাচে চলতে থাকে এ মিশনের কার্যক্রম। এ বিশাল কর্মী বাহিনীকে একটি সাংগঠনিক শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করে, দ্বীনের সাহায্যের কাজে নিয়োজিত করে তাদের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য গাউসে যামান তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলায়হি ১৯৮৬ সনে নির্দেশ দিলেন ‘গাউসিয়া কমিটি’ প্রতিষ্ঠা করতে।
আনজুমানের আনুগত্য
‘গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মূলত আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার অংগ সংগঠন। তাই সর্বক্ষেত্রে আনজুমানের আনুগত্য করা এবং আনজুমান প্রদত্ত নিয়মিত ঐ অনিয়মিত, তাৎক্ষণিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়া আমাদের দায়িত্ব। শাহৎনশাহে সিরিকোট বলেছেন, ‘‘আনজুমান চালানা হুকুমত চালানা।’’ হুযূর কেবলা তাহের শাহ্ মাদ্দাযিল্লুহুল আলী বলেছেন- ‘‘হুকুমত কেলিয়ে ফৌজ কা জরুরত হ্যায়- গাউসিয়া কমিটি আনজুমান কী ফৌজ হ্যায়’। তাই বর্তমানে গাউসিয়া কমিটির প্রত্যেকটি কর্মি আনজুমানের একেকজন ফৌজ বা সৈনিক। ইনশাল্লাহ, আমাদের জন্য এমন এক শুভদিন অপেক্ষা করছে- যেদিন এই ফৌজরা মিলিত হবে ইমাম মাহদী আলায়হিস্ সালামের ফৌজদের কাফেলায়। হুজুর গাউসে জামান তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলায়হি বলেছেন- ‘মেরে বাচ্চা মাহ্দী আলায়হিস্ সালাম কী ফৌজ বনেঙ্গে আউর দাজ্জাল কে সাথ জেহাদ করেঙ্গে’।
আসুন `গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র সদস্য হয়ে এ মহামিশনে নিজেকে শামিল করি। নিশ্চিত করি দুনিয়া আখেরাতের উচ্চতর সম্মান-শান্তি ও কল্যাণ। আ-মঃ-ন! বেহুরমতে সাআয়্যদিল মুরসালিন সাল্লাল্লাহু তাজ্ঞআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম।